প্রদীপ বসু
কলেজের সোশ্যালের উদ্বোধনী সংগীতে প্রথম দেখা রিহারসালে,
সারি সাজানোর সময় স্টেজে অবলীলায় হাত ধরে সামনের দিকে দাঁড় করিয়েছিলে।
তোমার সেই প্রথম স্পর্শে ছিলো না তেমন কোনো কিছুই,
মনে মনে ভেবেছিলাম অলীক স্বপ্নের মতো আরও কিছু।
গানের শেষে তুমি চলে গেলে এক অলীক জগতে রেখে,
অনেক দিন ধরে খুঁজেছি তোমাকে বন্ধুদের খবর থেকে...
শুধু বলেছিলে যাবার সময় হাসি মুখে আজ আসি,
কে জানতো সেদিন থেকে আজও সে কথা হয়ে যাবে বাসী।
সত্য কথনের মাঝে,হৃদয়ের খাঁজে জমে থাকা কিছু অভিমান,
আজ বুঝি সেও এখন নেহাতই পাহাড় প্রমান।
কলেজে পাস আউট তুমিও সদ্য একুশের দোরগোড়ায়,
তখন প্রথম বর্ষে আমি অষ্টাদশীর ছোঁয়ায়....
হটাৎ একদিন মুঠোফোনে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট,
করেও ছিলাম আন্দাজে একসেপ্ট।
মেসেঞ্জারে হাজার প্রশ্ন তার বেশি কথা এতো দিন পর,
মিলে মিশে একাকার হয়ে,শুধু দূরত্ব কমার অবসর।
লেখা কথা গুলো আলোচনার মাঝে,
উঠে এসেছিল কথা সেই সেদিনের সোশ্যালের সাঁঝে...
কিছুটা হলেও খুশির আলাপনে পারিনি হাত দুটি ধরতে টেনে,
জানি সেদিন না কিছু মনে করে সবটুকুই নিয়েছিলে মেনে।
মনে মনে ছিল সঙ্কোচের হাতছানি...
সে তুমি মানো কিংবা আমি মানি।
তাইতো তুমি আজো দেখে মুঠোফোনে সবুজ সংকেতে
বসে আছো আজও হয়ে সেই অভিমানী মনেতে।
কে প্রথমে বলবে মনের কথা খুলে,
এসো না যাই দুজনেই সংকোচ ভুলে।
আগামী সরস্বতী পূজার দিনে মনের আগোল তুলে,
বলবোই বলবো ভালোবাসি,ভালোবাসি তোমাকে যেও না ভুলে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.