মো: নাজমুল হোসেন ইমন, মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫ হাজার ৫৬৬টি। আর বেসরকারি স্কুলের সংখ্যা প্রায় ৫৭ হাজার। নতুন নীতিমালার মাধ্যমে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারণ, বেসরকারি ৯০ ভাগ প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেরই সরকারি একাডেমিক স্বীকৃতি ও নিবন্ধন নেই।প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ বলেন, আমরা মনে করি, বেসরকারি স্কুলগুলোর তত্ত্বাবধান করা প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। একাডেমিক স্বীকৃতির বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিস পর্যায়ে নিস্পত্তি হবে এবং নিবন্ধনের বিষয়টি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস পর্যায়ে নিস্পত্তি হবে। নীতিমালাটি শীগগিরই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অনুমোদন পাবে বলে আশা করেন প্রাথমিক শিক্ষা সচিব।
সরকারি নিবন্ধন না থাকায় বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বেতন নিয়ে নানা অরাজকতার অভিযোগ রয়েছে। বছর বছর বেতন বৃদ্ধিই শুধুই নয়, বেশিরভাগ বেসরকারি প্রাথমিকেই প্রতি মাসে বেতনের মাত্রা ওঠানামা করে। আবার স্কুলের মাধ্যমে বই কিনতে বাধ্য করে বাজারের চেয়ে দ্বিগুণ দাম নেয়ার অভিযোগও রয়েছে।নতুন নীতিমালায় এসব ক্ষেত্রে লাগাম টানতে চায় মন্ত্রণালয়। শিক্ষার্থীদের বেতনের ভারসাম্য আনতে চায় এবং বইয়ের ভারও কমাতে চায়। প্রস্তাবিত নীতিমালা অনুযায়ী এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তক বাধ্যতামুলকভাবে পড়াতে হবে। পালন করতে হবে সকল জাতীয় দিবস।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.