পটুয়াখালী প্রতিনিধি
জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলার আসামি পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার বাসিন্দা কে নিজ এলাকা দশমিনা থেকে গ্রেফতার করেছে পটুয়াখালী র্যাব-৮ ও র্যাব-১ এর অভিযানকারী দল।
পটুয়াখালী র্যাব-৮, সিপিসি-১ জানান, পটুয়াখালী র্যাব-৮, সিপিসি-১ ও র্যাব-১, সিপিসি-১, এর একটি যৌথ অভিযানকারী দল সোমবার (১৯শে ফেব্রুয়ারী) বিকেল ৪:৪০ মিনিটের সময় দশমিনা উপজেলার আরোজবেগী এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোঃ ওমর ফারুক রাশেদ ওরফে রাশেদুল চৌকিদার (৪০), পিতা-মৃত মোশারেফ চৌকিদার, মাতা- মোছাঃ মাকছুদা বেগম, সাং- আরোজবেগী, থানা-দশমিনা, জেলা- পটুয়াখালীকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি থানার হাসড়া মাজালিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আব্দুল কাদের ওরফে মধূ (৩৮) পেশায় ছিলেন একজন অটো চালক। প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৩/১০/২০২৩ ইং তারিখ বিকেলে অটো রিক্সা নিয়ে বাড়ি হতে বাহির হয়। ঠিক সময় বাড়িতে না ফেরায় তার আত্বীয় স্বজনেরা তার ব্যাক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অনেক খোঁজাখুজির পরও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা সরিষাবাড়ি থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরি করেন।
উক্ত জিডি তদন্তাধীন সময় পুলিশ নিখোঁজের পরিবারকে ঝিনাই নদীর পারে ভেসে আসা একটি অজ্ঞাত লাশের সন্ধান দেয়। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা উক্ত লাশ নিখোঁজ আব্দুল কাদেরের বলে সনাক্ত করে। লাশ পেলেও পাওয়া যায়নি অটোরিক্সা ও মোবাইল। পরিবারের সদস্যরা ধারণা করেন অজ্ঞাত ব্যক্তিরা যোগসাজসে তাকে হত্যা করে ঝিনাই নদীতে ফেলে দিয়ে অটোরিক্সা ও মোবাইল নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে। পরবর্তীতে মৃত আঃ কাদেরের পরিবারের সদস্যরা অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
উক্ত ঘটনা র্যাবের নজরে আসলে র্যাব আসামিদের সনাক্ত এবং গ্রেফতারের লক্ষে ব্যাপক ছায়া তদন্ত শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় গ্রেফতারকৃত ওই আসামি কে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে সিডিএমএস এবং পিসিপিআর পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ী থানায় পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হস্তান্তর করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.