এম ডি এন মাইকেল
সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ছোট ভাই সরফোরাজ হোসেন মৃদুলকে চেক ডিজঅনার মামলায় ১ বছরের কারাদন্ড ও তিন কোটি ষাট লক্ষ টাকা আদায়ের রায় দিয়েছে আদালত। আজ রবিবার দুপুরে মেহেরপুর আদালতের যুগ্ম দায়রা জজ আদালতের রিচারক (২য়) কবির হোসেন এ রায় দেন।
মামলার বাদি দেবাশিশ বাগচি বলেন, ২০১৪ সালে ভাই ফরহাদ হোসেন এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর দেবাশীষ বাগচিকে ব্যবসায়িক অংশীদার নিয়ে শুরু করেন ঠিকেদারি ব্যবসা। শরফোরাজ আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়ে উঠলে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার চেক দিয়ে ব্যবসা থেকে সরিয়ে দেন দেবাশীষকে। সেই চেক ব্যাংকে ডিজঅনার হলে মৃদুলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করে দেবাশীষ। মৃদুলও দেবাশীষের নামে চেক চুরির মামলা করে পুলিশ দিয়ে হয়রানি করেন। বাড়িতে প্রশাসনের লোকজন পাঠিয়ে তার স্ত্রীকে মানসিক ও শাররিক নির্যাতন করে। এরপর স্বামী স্ত্রী বাধ্য হয়ে আত্মগোপনে চলে যান। ৫ আগস্ট দেশের পরিবর্তন হলে তারা আত্মগোপন থেকে ফিরে আসে। তিনি আরো বলেন, আদালতের রায়ে খুশি হয়েছি। আমি আশা করি আদালতের মাধ্যমে দ্রুত পাওনা টাকা পাবো।
মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাড. খ.ম. ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল ও আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন এম এ মতিন। উল্লেখ্য সরফরাজ হোসেন মৃদুল ২০১২ সালেও মেহেরপুর জেলা শহরের মহিলা কলেজমোড় সংলগ্ন প্রধান সড়কে ‘ওষুধ বিপনী’ নামে এক ফার্মেসির কর্মচারী ছিলেন।
দিনাতিপাত করতেন অতিকষ্টে। রেশনের দোকানে লাইনে দাঁড়িয়েও পণ্য নিতে দেখা গেছে তাকে। ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার ভাই সাবেক জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নৌকার মনোনয়ন পেয়ে এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর মৃদুলের ভাগ্য বদলে যায়। ২০১৫ সালে ভাগিয়ে নেন জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়কের পদ। এরপর আর তাকে পেছনে তাকাতে হয়নি। টেন্ডারবাজি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে বনে যান শত কোটি টাকার মালিক।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.