স্টাফ রিপোর্টার
দিনব্যাপী জমকালো ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে রোববার কুমিল্লা জেলার, বরুড়া উপজেলার, ঝলম ইউনিয়নের সিংগুর গ্রামে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাহস ইনটেলেক্ট ডেভেলপমেন্ট স্কুলের (ইংলিশ ভার্সন) ১৯তম প্রতিষ্ঠা দিবস এবং বার্ষিক ক্রীড় প্রতিযোগিতা ২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়! এ উপলক্ষে নানা রঙের বেলুন, ঘুড্ডি ও প্লে কার্ড দিয়ে বর্ণীল সাজে সাজানো হয় স্কুল আঙ্গিনা।
দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে বরুড়া উপজেলার ঝলম ইউনিয়নের সিংগুর গ্রামে প্রতিষ্ঠা করা হয় এই ইংলিশ ভার্সন স্কুলটি। গ্রামের বাচ্চাদের আধুনিক ও সময়োপযোগী শিক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে দক্ষ ও স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলার স্বপ্ন নিয়ে ২০০৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করেন শিক্ষানুরাগি ও সমাজসেবক জনাব নাজমুল হুদা রতন। শিশুদের শিক্ষার ভিত মজবুত করে গড়ার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত সাহস স্কুল ১৯ বছরে পদার্পণ করলো। সাহসের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতার ফাইনাল পর্ব ছিলো আজ।
সকাল দশটায় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশনার সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ কোরআন ও গীতা থেকে পাঠ করে যথাক্রমে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী ত্বোহা মজুমদার ও চতুর্থ শ্রেণির সোহা চক্রবর্তী।
এরপর প্রতিষ্ঠানের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মনির হোসেন। তিনি বলেন, সময় পরিক্রমায় পশ্চিম বরুড়ার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হয়ে উঠেছে সাহস ইন্টেলেক্ট ডেভেলপমেন্ট স্কুল। তিনি বলেন, অপার সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে জ্ঞানের বাতিঘর রূপে বরুড়াসহ সারা দেশে গৌরবজ্জ্বল আলোর শিখা ছড়িয়ে দিচ্ছে এই বিদ্যাপীঠটি। তিনি আরো বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং একইসাথে তাদেরকে আত্মবিশ্বাসী করে গড়ে তোলে।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন সহকারি প্রধান শিক্ষিকা আয়েশা আক্তার লিজা। তিনি তার বক্তব্য উল্লেখ করেন, সাহস স্কুল কোনো গতানুগতিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়। আমাদের সবকিছুই অন্যদের চেয়ে ভিন্ন। ব্যতিক্রমধর্মী কিন্তু আধুনিক ও সময়োপযোগী।
দিনভর অনুষ্ঠিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিদ্যালয়ের শতশত শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে চারপাশের পরিবেশ ছিল মুখরিত। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন খেলার পাশাপাশি ছিলো অভিভাবকদের পিলো পাসিং এবং শিক্ষকদের হাড়ি ভাঙ্গা খেলা।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে বিভিন্ন ইভেন্টে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হওয়া ক্ষুদে প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেষ্ট তুলে দেয়া হয়। এবছর, শ্রেণি ও বয়স ভিত্তিক ৩২ টি ইভেন্টে সর্বমোট ৯৮ জন পুরষ্কার পেয়েছেন।
উপস্থিত শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মিষ্টি বিতরণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় প্রতিষ্ঠা দিবস ও বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৫ এর অনুষ্ঠানমালা।
সাহস স্কুলের সকল শিক্ষকদের সার্বিক তত্বাবধানে আয়োজিত পুরো অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন শিক্ষক সুমিত্রা রানী দাস।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.