সম্প্রতি নাউরুর প্রেসিডেন্ট ডেভিড রানিবক আদেয়াং চীনের কুয়াংতুং প্রদেশে চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি)-র সিজিটিএন-কে এক একান্ত সাক্ষাৎকার দেন।
সাক্ষাৎকারে আদেয়াং বলেন, এখানে আমার পূর্বপুরুষরা কোন পরিস্থিতিতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলোতে এসেছিলেন, তা আমি এখানে এসে জানতে পেরেছি। তিনি বলেন, ছিকান থানার চংকু গ্রামে তাঁর মাতামহ সিথু নুয়ান বাও থাকতেন। গ্রামের একটি বড় বটগাছের নিচে প্রেসিডেন্ট আদেয়াং মৌসুমি ফল খান এবং গ্রামবাসীদের সাথে আড্ডা দেন।
আদেয়াং সাংবাদিককে বলেন, গত বছর যখন নাউরু ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু হয়, তখন আমি ও প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং বেইজিংয়ে এক সাক্ষাতে মিলিত হই। সেই সময়, আমি তাঁকে আমাকে চীনে শিকড় খুঁজে পেতে সাহায্য করার অনুরোধ জানাই। প্রেসিডেন্ট সি'র সাহায্য ও সমর্থনেই আমি এখানে আসতে পেরেছি।
তিনি বলেন, এখানে আমি দয়ালু মানুষ ও সুন্দর গ্রামাঞ্চল দেখেছি। এখানকার মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে এবং এই ভূমি ও তাঁদের দেশকে ভালোবাসে। আমি মনে করি, নাউরু ও চীনের নেতা হিসেবে, প্রেসিডেন্ট সি ও আমার লক্ষ্য হলো সেতুবন্ধন গড়ে তোলা, আমাদের দুই সরকার ও জনগণকে আরও কাছাকাছি আনা, এবং একটি অভিন্ন ভবিষ্যত গড়ে তোলা। এটিই প্রেসিডেন্ট সি কর্তৃক প্রস্তাবিত মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ গড়ে তোলার ধারণা। গত বছর আমি ও প্রেসিডেন্ট সি সাক্ষাতে দু’দেশের সম্পর্কের প্রাথমিক সাফল্য অর্জনের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।
চীনা সরকার কর্তৃক সহায়তাপ্রাপ্ত নাউরু স্পোর্টস সেন্টার প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান কিছুদিন আগে অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রকল্পটি নাউরুর ক্রীড়ার মান সম্পূর্ণরূপে বদলে দেবে। একই সাথে চীন আমাদের নতুন বন্দর ও ফটোভোলটাইক বিদ্যুত উৎপাদন প্রকল্প তৈরিতেও সহায়তা করছে, যা নবায়নযোগ্য শক্তির ৫০ শতাংশ অর্জন করবে। আমরা ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, চীনের সাথে কূটনৈতিক পুনরুদ্ধার করেছি। আমরা ‘এক-চীননীতি’-তে অবিচল থাকবো।
সূত্র : ছাই-আলিম-ওয়াং হাইমান, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.