সিলেট প্রতিনিধি
টানা কয়েক দিন ধরে সিলেট পরিবণ সেক্টর ধর্মঘটের হুকার দিয়ে আসছে। ৮ জুলাই ২০২৫ইং সকাল থেকে ৬ দফা দাবিতে সিলেটে পরিবহন শ্রমিকদের কর্মবিরতি চলছে। সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস মিনিবাস মালিক সমিতি এবং সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন বাস-মিনিবাস, কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়ন করে এ কর্মসূচি ঘোষণা করে।
রোববার ঘোষিত এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সিলেটে শুরু হয়েছে নেতায় নেতায় লড়াই। পরিবহন নেতাদের এক পক্ষ ধর্মঘটের পক্ষে এবং অন্য পক্ষ বিপক্ষে অবস্থান নেন। এতে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন যাত্রীসাধারণ।
তবে মঙ্গলবার সকাল সিলেট কদমতলি বাসস্ট্যান্ড থেকে কোন বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। সড়কে যাত্রীরাও ছিলেন তুলনামূলক কম। গাড়ি না পেয়ে অনেককে পায়ে হেঁটে পথ পাড়ি দিতে দেখা যায়।
পরিবহন ধর্মঘটের ৬ দাবি হছে: বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন আইন ২-১৮ এর ৩৬ ধারা প্রদত্ত ক্ষমতা বলে সরকার বাস মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০, ট্রাক পিকআপ কাভার্ডভ্যানের ক্ষেত্রে ১৫ ও সিএনজি ইমা ও লেগুনার ক্ষেত্রে ১৫ বছর ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করার প্রজ্ঞাপন বাতিল, সিলেটের সব পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও সনাতন পদ্ধতিতে বালু মহাল এবং পাথর কেয়ারি খুলে দেওয়া, বিআরটিএ কর্তৃক গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ছাড়পত্র বাতিল ও গণপরিবহনের উপর আরোপিত বর্ধিত ট্যাক্স প্রত্যাহার, সিলেটের সব ক্রাশার মিলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ বন্ধ, বিদ্যুতের মিটার ফেরত ও ভাঙচুরকৃত মিলের ক্ষতিপূরণ এবং গাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া পাথর বালুর ক্ষতিপূরণ, সিলেটের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদকে প্রত্যাহার এবং বালু পাথরসহ পণ্যবাহি গাড়ির চালকদের হয়রানি না করা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.