বটগাছের আছে আশ্চর্য জীবনীশক্তি। জমি যতই অনুর্বর হোক না কেন, এমনকি শিলা-পাথরও হোক না কেন, তা মাটি থেকে বেরিয়ে আকাশে গর্বের সঙ্গে দাঁড়াতে পারে।
২০০০ সালের ১২ মার্চ ৮৭ বছর বয়সী সি চোং শুইন এবং পরিবারের সদস্যরা শেনচেনে অবস্থিত বাসার বাগানে একসাথে একটি বটগাছ লাগান। তিনি আশেপাশের সহকর্মীদের বলেন, ‘আমিও শেনচেনে মুল প্রোথিত করবো।’
কুয়াংতোং প্রদেশের সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের প্রধান সূচনাকারী এবং গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে সি চোং শুইন এই বটগাছ লাগানোর মাধ্যমে এই মাটিতে শিকড় স্থাপনের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
কুয়াংতোং প্রদেশের প্রকৃত অবস্থার খোঁজখবর নেওয়ার পর তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে ধারাবাহিক উদ্ভাবনশীল প্রস্তাব উত্থাপন করেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সমর্থনও পান। কুয়াংতোং প্রদেশে দু’বছরব্যাপী কাজ করার সময় সি চোং শুইন অনেক অভূতপূর্ব কাজ করেছেন।
সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের শুরুতে, কুয়াংতোং প্রদেশের জনগণের মনকে মুক্তি দিতে এবং সংস্কারে নেতৃত্ব দিতে পিতার মহান অনুশীলন সি চিন পিংকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।
১৯৮২ সালে সি চিন পিং স্থানীয় অঞ্চলে চাকরির করার আবেদন করতে রাষ্ট্রীয় পরিষদের কার্যালয় এবং কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের কার্যালয় ত্যাগ করেন।
সি চিন পিং বলেন, চীনের উন্নয়নের সম্মুখীন বর্তমান দ্বন্দ্ব এবং চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করার মূল চাবিকাঠি হলো সার্বিকভাবে গভীর সংস্কার চালানো। এর অর্থ হলো, সংস্কারের জন্য গভীর জলে ছুটে যাওয়ার সাহস, শক্ত হাড় চিবানোর সাহস এবং বিপজ্জনক শোলের মধ্যে যাওয়ার সাহস ও অধ্যবসায়।
সি চোং শুইন এবং সি চিন পিং, পিতা ও পুত্রের মধ্যে আধ্যাত্মিক উত্তরাধিকার এবং কমিউনিস্টদের দুই প্রজন্মের সদস্যদের সংস্কার ও উদ্ভাবন চালানোর সাহস খুবই মনোমুগ্ধকর।
সূত্র: লিলি, চায়না মিডিয়া গ্রুপ
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.