
এরশাদুল হক, ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জে গানে গানে বাউল কামাল পাশা (কামাল উদ্দিন) এঁর ১২৪ তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল ৫ টা হতে রাত ১টা পর্যন্ত জেলা শিল্পকলা একাডেমীর হাছনরাজা মিলনায়তনে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও জেলা শিল্পকলা একাডেমির তালিকাভূক্ত সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ সুনামগঞ্জ এর উদ্যোগে এক আলোচনা সভা ও বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ। জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদের সভাপতি মোঃ সেলিম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক সাংবাদিক আল-হেলালের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ৭১ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশীদ, ২৪ এর জুলাই যোদ্ধা মোঃ জহুর আলী, জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি মোঃ হাসান চৌধুরী, সাংবাদিক হোসাইন মাহমুদ শাহীন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বাউল দলের জেলা কমিটির আহবায়ক গীতিকবি নজরুল ইসলাম, প্রবীণ গীতিকার আব্দুল আজিজ চৌধুরী, বাউল দলের সাবেক আহবায়ক বাউল আশরাফ আলী মোড়ল, সুরমা ইউপি সদস্যা মোছা: তানজিনা বেগম ও বাউল কামাল পাশা সংস্কৃতি সংসদ সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গীতিকার নির্মল কর জনিসহ স্থানীয় সংস্কৃতিসেবীগন।
পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কামালগীতি পরিবেশন করেন প্রবীণ বাউল শিল্পী আব্দুল রব আব্দুল্লাহ, যোবায়ের বখত সেবুল, সাংবাদিক বাউল আল হেলাল, বাউল শফিকুন নূর, বাউল আমজাদ পাশা, বাউল আলাউদ্দিন, বাউল আব্দুস সালাম ভান্ডারী, বাউল আব্দুল কাইয়ূম, বাউল তোরাব হোসেন, বাউল রুখসানা ভান্ডারী, বাউল তানজিনা বেগম, গীতিকার আসাদ আলী, বাউল আব্দুল আলীম, শিল্পী শাহানা আক্তার, বাউল আইন উদ্দিন, বাউল শফিক মিয়া ও বাউল সাদিক খানসহ স্থানীয় শিল্পীবৃন্দ।
সভায় বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার ৫ প্রধান লোককবির মধ্যমণি বাউলকবি কামাল পাশা। বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে বৃটিশ আমলে পালা গানের প্রবক্তা ও মালজুড়া গানে অপ্রতিদ্বদ্বী হওয়ায় ১৯৬৪ সালে সুনামগঞ্জ আর্টস কাউন্সিল ও মহকুমা প্রশাসন কর্তৃক তিনি গানের স¤্রাট উপাধিতে ভূষিত হন।
গত সরকারের শাসনামলে জেলা প্রশাসন এই লোকায়িত কবি প্রতিভাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করার জন্য একাধারে ৯ বার ও স্বাধীনতা পূরস্কারে ভূষিত করার জন্য ৫বার সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করলেও ফ্যাসিস্ট সরকার মহান এই সংগীতগুরুকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না দিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে বৈষম্যমূলক আচরন করেছে।
বক্তারা নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রাষ্ট্র ও সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনিয়ম,দুর্নীতি ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংস্কারের পক্ষে শুদ্ধ সংগীত রচয়িতা বাউল কামাল পাশাকে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দানের জন্য সরকারের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মুক্তির লড়াই ডেস্ক : 























