সাইফুল্লাহ নাসির, আমতলী (বরগুনা)
এ বছরের ২২ জুন ব্রীজ ভেঙ্গে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হওয়ার পর সেই আয়রন ব্রীজের পাশেই নির্মিত হতে যাচ্ছে কাঠের পুল।
গ্রামবাসীদের নিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মকবুল আহমেদ খান ও স্থানীয় প্রবীন ব্যক্তি মোঃ নান্নু মোল্লার উদ্যোগে ভেঙ্গে যাওয়া আয়রন ব্রীজের ২০০ ফুট দৈর্ঘ্য ৬ ফুট প্রস্থ এ কাঠেরপুল নির্মান করা হবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা ।
আমতলী উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব ও হলদিয়ার সন্তান মোঃ ইমরান খান বলেন, গত ২২ জুন ২০২৪ তারিখ হলদিয়াহাট আয়রন ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভেঙ্গে যাওয়ায় হলদিয়ায় বসবাসরত সাধারন মানুষের দুর্ভোগে পরে। এই আয়রন ব্রীজটি হলদিয়া ইউনিয়নের সাধারন মানুষের উপজেলা সদর,জেলা সহ দেশের সর্বত্র যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। কৃষকরা তাদের পন্য অতিরিক্ত খরচ বহন করে উপজেলা সদরের বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে কৃষকরা। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি।
বয়স্ক, বৃদ্ধ, শিশু ও নারীরা অসুস্থ হলে তাদের অনেক এলাকা ঘুরে উপজেলা শহরে যেতে হয় চিকিৎসা নিতে। কোন গর্ভবতী মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে হলে কষ্টের নেই শেষ। জনসাধারনের কষ্টের কথা চিন্তা করে আমরা জনসাধারনের সহযোগিতায় একটি কাঠেরপুল নির্মানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জনসাধারন তাতে সাড়া দিয়েছেন কেহ গাছ দিয়ে কেহ শ্রম দিয়ে আবার কেহ অর্থ দিয়ে এগিয়ে আসছেন কাঠেরপুল নির্মানে। আশা করি জনসাধারনের সহযোগিতায় অল্প সময়ের মধ্যে কাঠেরপুল নির্মান করা সম্ভব হবে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জননেতা মোঃ মকবুল আহমেদ খান বলেন,আয়রন ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ার পর হলদিয়া চাওড়া ইউনিয়নের সকল মানুষের চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। জনসাধারনের এ দুর্ভোগ লাঘবে সকলকে সঙ্গে নিয়ে কাঠেরপুল নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। জনসাধারনকে সাথে নিয়ে সীমিত সময়ের মধ্যে কাঠেরপুল নির্মান কাজ সমাপ্ত হবে।
স্থানীয় প্রবিন ব্যক্তি মোঃ নান্নু মোল্লা বলেন, জনসাধারন যেভাবে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছে তাতে কিছু দিনের মধ্যে কাঠেরপুল দিয়ে মানুষ চলাচল করতে পারবে।
ইউপি সদস্য মোঃ সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, কাঠেরপুল নির্মানে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে।এছাড়াও কাঠেরপুল নির্মানে প্রতিদিন শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় মনি মোল্লা,মতি মোল্লা,নান্নু প্যাদা,জাকির হোসেন.রাসেল প্যাদা,সাহা গাজীসহ গ্রামের অনেক লোকজন।
উল্লেখ্য,গত ২২ জুন দুপুরে বরের বাড়িতে বউভাতের দাওয়াতে যাওয়ার সময় হলদিয়াহাট ব্রিজটি ভেঙে একটি মাইক্রোবাস নদীতে পড়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়। তখন থেকে হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগে পড়ে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন মুঠোফোনে বলেন,ভেঙ্গে যাওয়া আয়রন ব্রিজের স্থলে গার্ডার ব্রীজ নির্মানের জন্য কাজ চলমান রয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2024 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.