বিশ্ব অর্থনীতি যখন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন হাইনান মুক্ত বাণিজ্য বন্দরে ‘দ্বীপজুড়ে স্বাধীন শুল্ক পরিচালনা’ চালু করা চীনের উচ্চমানের উন্মুক্তকরণ এগিয়ে নেওয়ার দৃঢ় সংকল্পের স্পষ্ট প্রকাশ এমন মত দিয়েছেন বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা।
তাদের মতে, এই উদ্যোগ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি গঠনে শক্তিশালী গতি সঞ্চার করবে।
কানাডার ওয়েস্টার্ন ট্রিনিটি ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য ফিলিপ লেয়ার্ড বলেন, হাইনানের দ্বীপজুড়ে স্বাধীন শুল্ক পরিচালনা চীনের উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণের একটি প্রতীকী ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তার মতে, এটি উচ্চমানের প্রাতিষ্ঠানিক উদ্ভাবনের প্রতিনিধিত্ব করে, যা বাণিজ্য, আন্তঃসীমান্ত মূলধন প্রবাহ এবং মানুষের যাতায়াত আরও সহজ করবে। এতে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান ও অংশীদারদের জন্য নতুন সুযোগও তৈরি হবে।
তিনি বলেন, চীন উন্মুক্ত বিশ্ব অর্থনীতির দৃঢ় সমর্থক ও সক্রিয় নির্মাতা।
ইন্দোনেশিয়ার জেন্টারা রিসার্চ ইনস্টিটিউটের কৌশলগত যোগাযোগ ও গবেষণা পরিচালক ক্রিস্টিন তিহিং বলেন, দ্বীপজুড়ে স্বাধীন শুল্ক পরিচালনা শুরু হলে মানুষের যাতায়াত আরও সহজ হবে, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ হয়ে উঠবে আরও প্রাণবন্ত।
রাশিয়ান ফেডারেশন কাউন্সিলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির প্রথম ভাইস চেয়ারম্যান ভ্লাদিমির জেনিসভ বলেন, হাইনানে মুক্ত বাণিজ্য বন্দর গড়ে তুলে চীন একাধিক অনুকূল নীতি ও নতুন বাণিজ্যিক সুযোগ সৃষ্টি করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বাণিজ্যের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাণিজ্যবিষয়ক মন্ত্রী থানি বিন আহমেদ আল জেয়ুদি বলেন, এটি চীনের উচ্চপর্যায়ের উন্মুক্তকরণ সম্প্রসারণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। হাইনান মুক্ত বাণিজ্য বন্দরের স্বাধীন শুল্ক পরিচালনা আমিরাতের বিনিয়োগকারীদের জন্যও অত্যন্ত আকর্ষণীয় বলে মনে করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আমিরাতের কোম্পানিগুলো হাইনানে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে এবং এই উদ্যোগ চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করবে।
সূত্র: চায়না মিডিয়া গ্রুপ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.