মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বিশেষ প্রতিনিধি
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, হাতি সংরক্ষণে সরকার দীর্ঘমেয়াদি কার্যক্রম গ্রহণ করবে। স্বল্পমেয়াদী কার্যক্রমের আওতায় হাতির প্রাকৃতিক আবাসস্থল উন্নয়ন, নিরাপদ প্রজনন ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, হাতির সংখ্যা নিরূপণ ও গবেষণা, এবং মানুষ-হাতি দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হবে।
এছাড়াও, হাতি সংরক্ষণে জনসচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম জোরদার করা হবে। হাতি বসবাসের এলাকা চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেট ও রংপুর বিভাগের কয়েকটি জেলায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হাতি সংরক্ষণ প্রকল্প বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। সভায় তিনি হাতি সংরক্ষণ এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বন অধিদপ্তর বাস্তবায়িতব্য এ বিশেষ কর্মসূচির আওতায় হাতির খাদ্য উপযোগী গাছের বাগান সৃজন, জলাধার খনন, এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে সৌরবিদ্যুৎ চালিত বেড়া নির্মাণসহ বেশ কিছু কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও, হাতি-মানুষ দ্বন্দ্ব নিরসনে বায়োফেন্সিং নির্মাণ, এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম গঠন, এবং হাতি পর্যবেক্ষণের জন্য টাওয়ার নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে। তিনি বলেন, হাতি সংরক্ষণ দেশের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ। এ কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়িত হলে মানুষের জানমাল সুরক্ষার পাশাপাশি হাতির অস্তিত্বও টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বন সংরক্ষক, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি সংস্থা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কামরুজ্জামান জনি
Copyright © 2025 Muktirlorai | মুক্তির লড়াই. All rights reserved.