ঢাকা ০৯:৩৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালমনিরহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভুয়া ভাউচারে ২৫ লক্ষ টাকা আত্মসাত Logo হাতীবান্ধায় বিছানার নিচ থেকে মাদক উদ্ধার, যুবক আটক Logo নালিতাবাড়ীতে ইয়াবাসহ আটক যুবকের এক বছরের কারাদণ্ড Logo বুড়িচংয়ে কলেজ ছাত্র হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন Logo এ্যাম্বুলেন্স নিতিমালা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কুমিল্লায় মানববন্ধন Logo চীন-যুক্তরাষ্ট্র গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ইস্যুতে প্রাথমিক ঐকমত্যে Logo আসিয়ান-প্লাস সহযোগিতা পূর্ব এশিয়ার প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি: লি ছিয়াং Logo উদ্ভাবন, উন্মুক্ততা ও ভাগ করা উন্নয়ন: ওয়াশিংটনে সিএমজি’র বৈশ্বিক সংলাপ Logo ভারত-চীন ফ্লাইট পুনরায় চালু: চার বছর পর আকাশে নতুন সংযোগ Logo চট্টগ্রামে ব্যানার টানানোকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে যুবদলকর্মী নিহত

অভয়নগরে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধুর আত্নহত‍্যা

  • যশোর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় ০২:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের সইতে না পেরে এক গৃহবধূ ট্রেনের নীচে ঝাঁপদিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নির্ভরযোগ‍্য সত্র থেকে জানা যায়, বাবার সাথে মোবাইলে কথা বলতে বলতে শনিবার দুপুর বারটার দিকে উপজেলার রাজঘাট রেলক্রসিংয়ের পাশে খুলনাগামী বেতনা ট্রেনের নীচে ঝাঁপদিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

নিহত গৃহবধুর নাম সুমাইয়া বেগম (২২)। তিনি উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের আলী হোসেন চুন্নির ছেলে রকি শেখের স্ত্রী এবং খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙা গ্রামের মহিরুল ইসলামের মেয়ে।

নিহতের পিতা মহিরুল ইসলাম বাবলু জানান, গত তিন বৎসর পুর্বে রকির সাথে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। আমি তাদের এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপরও তারা আমার মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করতো। গত বছর গলায় ছুরি দিয়ে আমার মেয়েকে রকি মেরে ফেলতে গিয়েছিলো।

আমি সংবাদ পেয়ে মেয়েকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি এবং মামলা করি। পরে সুমাইয়ার শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকজন আমার বাড়ি এসে আলোচনা করে মামলা মিমাংসা করে মেয়েকে আবার নিয়ে যায়। এরপর থেকে ওর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন অব্যাহতভাবে নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে। নির্যাতন সইতে না পেরে সে ট্রেনে কেটে আত্মহত্যা করেছে।

তিনি আরো বলেন, সুমাইয়া আত্মহত্যার আগে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের কথা বলছিল। তখন প্রায় দুপুর বারটা বাজে। আমি তাকে মোবাইলে বারবার শান্ত হওয়ার অনুরোধ করছিলাম। সে আমাকে বলেছিলো বাবা তোমার নাতীকে দেখে রেখো। তখন মোবাইলে আমি ট্রেন আসার শব্দ শুনছিলাম। হঠাৎ একটি শব্দ শুনলাম। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একটুপর জানতে পারি সে ট্রেনে ঝাঁপদিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

লালমনিরহাট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে ভুয়া ভাউচারে ২৫ লক্ষ টাকা আত্মসাত

SBN

SBN

অভয়নগরে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধুর আত্নহত‍্যা

আপডেট সময় ০২:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের সইতে না পেরে এক গৃহবধূ ট্রেনের নীচে ঝাঁপদিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নির্ভরযোগ‍্য সত্র থেকে জানা যায়, বাবার সাথে মোবাইলে কথা বলতে বলতে শনিবার দুপুর বারটার দিকে উপজেলার রাজঘাট রেলক্রসিংয়ের পাশে খুলনাগামী বেতনা ট্রেনের নীচে ঝাঁপদিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

নিহত গৃহবধুর নাম সুমাইয়া বেগম (২২)। তিনি উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের আলী হোসেন চুন্নির ছেলে রকি শেখের স্ত্রী এবং খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙা গ্রামের মহিরুল ইসলামের মেয়ে।

নিহতের পিতা মহিরুল ইসলাম বাবলু জানান, গত তিন বৎসর পুর্বে রকির সাথে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। আমি তাদের এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপরও তারা আমার মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করতো। গত বছর গলায় ছুরি দিয়ে আমার মেয়েকে রকি মেরে ফেলতে গিয়েছিলো।

আমি সংবাদ পেয়ে মেয়েকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি এবং মামলা করি। পরে সুমাইয়ার শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকজন আমার বাড়ি এসে আলোচনা করে মামলা মিমাংসা করে মেয়েকে আবার নিয়ে যায়। এরপর থেকে ওর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন অব্যাহতভাবে নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে। নির্যাতন সইতে না পেরে সে ট্রেনে কেটে আত্মহত্যা করেছে।

তিনি আরো বলেন, সুমাইয়া আত্মহত্যার আগে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের কথা বলছিল। তখন প্রায় দুপুর বারটা বাজে। আমি তাকে মোবাইলে বারবার শান্ত হওয়ার অনুরোধ করছিলাম। সে আমাকে বলেছিলো বাবা তোমার নাতীকে দেখে রেখো। তখন মোবাইলে আমি ট্রেন আসার শব্দ শুনছিলাম। হঠাৎ একটি শব্দ শুনলাম। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একটুপর জানতে পারি সে ট্রেনে ঝাঁপদিয়ে আত্মহত্যা করেছে।