ঢাকা ০১:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo কবিরহাটে ফিরোজা হত্যাকান্ডের প্রধান দুই আসামিকে গ্রেপ্তার Logo বাগেরহাটে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ Logo সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ মান্নান কারাগার থেকে ওসমানী হাসপাতালে Logo বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি করে দিলেন প্রধান শিক্ষক Logo সেই আয়রন ব্রীজের পাশেই নির্মিত হতে যাচ্ছে কাঠের পুল Logo মোংলায় জামায়াতে ইসলামীর মন্দির পরিদর্শন ও মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo কুমিল্লায় জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কর্মী সমাবেশ Logo চট্টগ্রাম বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবসায়ী গ্রুপের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে বিজয়ী আমির ভূঁইয়া Logo বরুড়া খেলা দেখতে এসে লাশ হয়ে ফিরলেন শিক্ষার্থী সামীম

অভয়নগরে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধুর আত্নহত‍্যা

  • যশোর প্রতিনিধিঃ
  • আপডেট সময় ০২:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • ১৭৭ বার পড়া হয়েছে

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের সইতে না পেরে এক গৃহবধূ ট্রেনের নীচে ঝাঁপদিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নির্ভরযোগ‍্য সত্র থেকে জানা যায়, বাবার সাথে মোবাইলে কথা বলতে বলতে শনিবার দুপুর বারটার দিকে উপজেলার রাজঘাট রেলক্রসিংয়ের পাশে খুলনাগামী বেতনা ট্রেনের নীচে ঝাঁপদিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

নিহত গৃহবধুর নাম সুমাইয়া বেগম (২২)। তিনি উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের আলী হোসেন চুন্নির ছেলে রকি শেখের স্ত্রী এবং খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙা গ্রামের মহিরুল ইসলামের মেয়ে।

নিহতের পিতা মহিরুল ইসলাম বাবলু জানান, গত তিন বৎসর পুর্বে রকির সাথে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। আমি তাদের এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপরও তারা আমার মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করতো। গত বছর গলায় ছুরি দিয়ে আমার মেয়েকে রকি মেরে ফেলতে গিয়েছিলো।

আমি সংবাদ পেয়ে মেয়েকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি এবং মামলা করি। পরে সুমাইয়ার শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকজন আমার বাড়ি এসে আলোচনা করে মামলা মিমাংসা করে মেয়েকে আবার নিয়ে যায়। এরপর থেকে ওর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন অব্যাহতভাবে নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে। নির্যাতন সইতে না পেরে সে ট্রেনে কেটে আত্মহত্যা করেছে।

তিনি আরো বলেন, সুমাইয়া আত্মহত্যার আগে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের কথা বলছিল। তখন প্রায় দুপুর বারটা বাজে। আমি তাকে মোবাইলে বারবার শান্ত হওয়ার অনুরোধ করছিলাম। সে আমাকে বলেছিলো বাবা তোমার নাতীকে দেখে রেখো। তখন মোবাইলে আমি ট্রেন আসার শব্দ শুনছিলাম। হঠাৎ একটি শব্দ শুনলাম। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একটুপর জানতে পারি সে ট্রেনে ঝাঁপদিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

SBN

SBN

অভয়নগরে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধুর আত্নহত‍্যা

আপডেট সময় ০২:৩২:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের সইতে না পেরে এক গৃহবধূ ট্রেনের নীচে ঝাঁপদিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নির্ভরযোগ‍্য সত্র থেকে জানা যায়, বাবার সাথে মোবাইলে কথা বলতে বলতে শনিবার দুপুর বারটার দিকে উপজেলার রাজঘাট রেলক্রসিংয়ের পাশে খুলনাগামী বেতনা ট্রেনের নীচে ঝাঁপদিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।

নিহত গৃহবধুর নাম সুমাইয়া বেগম (২২)। তিনি উপজেলার বাঘুটিয়া গ্রামের আলী হোসেন চুন্নির ছেলে রকি শেখের স্ত্রী এবং খুলনা জেলার ফুলতলা উপজেলার বেজেরডাঙা গ্রামের মহিরুল ইসলামের মেয়ে।

নিহতের পিতা মহিরুল ইসলাম বাবলু জানান, গত তিন বৎসর পুর্বে রকির সাথে সুমাইয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে আমার মেয়েকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। আমি তাদের এক লক্ষ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। তারপরও তারা আমার মেয়েকে পাশবিক নির্যাতন করতো। গত বছর গলায় ছুরি দিয়ে আমার মেয়েকে রকি মেরে ফেলতে গিয়েছিলো।

আমি সংবাদ পেয়ে মেয়েকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি এবং মামলা করি। পরে সুমাইয়ার শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকজন আমার বাড়ি এসে আলোচনা করে মামলা মিমাংসা করে মেয়েকে আবার নিয়ে যায়। এরপর থেকে ওর স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন অব্যাহতভাবে নির্যাতন চালিয়ে যেতে থাকে। নির্যাতন সইতে না পেরে সে ট্রেনে কেটে আত্মহত্যা করেছে।

তিনি আরো বলেন, সুমাইয়া আত্মহত্যার আগে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলছিল। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতনের কথা বলছিল। তখন প্রায় দুপুর বারটা বাজে। আমি তাকে মোবাইলে বারবার শান্ত হওয়ার অনুরোধ করছিলাম। সে আমাকে বলেছিলো বাবা তোমার নাতীকে দেখে রেখো। তখন মোবাইলে আমি ট্রেন আসার শব্দ শুনছিলাম। হঠাৎ একটি শব্দ শুনলাম। এরপর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। একটুপর জানতে পারি সে ট্রেনে ঝাঁপদিয়ে আত্মহত্যা করেছে।