ঢাকা ০৪:১০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ওবায়দুল কাদের আমার বাসায় না এসে বিদেদেশ পালিয়েছে : মির্জা ফখরুল Logo খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু Logo খাগড়াছড়িতে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দুদের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় Logo সিএমজি’র ‘রিটেন ইন দ্য স্কাই: মাই চায়না স্টোরি’ কার্যক্রম Logo দক্ষিণ চীন সাগরে উস্কানির পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে Logo সিলেটের গোয়াইনঘাট রাতারগুল হারাচ্ছে পর্যটন আকর্ষণ Logo কৃষি ও গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে চীন অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয় Logo চীনা দ্রব্যে মার্কিন শুল্কারোপের পিছনে রাজনৈতিক অর্থ খুবই সুস্পষ্ট Logo মেধাবীরা কেন সাংবাদিকতা ছাড়ছেন Logo খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল

আমদানি বন্ধের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে 

মো: নাজমুল হোসেন ইমন, মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিতে অন্তত ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।ঈদের পরই নতুন করে কয়েক দফা দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে মসলাজাতীয় পণ্য। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দর। পিছিয়ে নেই আদা, রসুন ও জিরা।এক বিক্রেতা বলেন, ঈদের আগে পেঁয়াজ, রসুন, আদার মূল্য কম ছিল। তবে পরে অনেক বেড়ে গেছে।

এক ক্রেতা জানান, মুরগি, মাংস মাসে একবার কেনা হয়। আর কিনতেই পারি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে চলা কঠিন হবে।

অপর ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের দাম একটু কমলে ভালো হয়। এতে চলা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। খাওয়া কমিয়ে দিতে হচ্ছে।

তবে দাম বাড়ার পেছনে খুচরা ব্যবসায়ীরা কোনো কারণ খুঁজে না পেলেও আমদানিকারকরা বলছেন, পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে দাম বাড়ছে। তাদের আশঙ্কা, আমদানি বন্ধ থাকলে সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।

দেশ কৃষকদের উৎপাদন করা পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে গত ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। আমদানি বন্ধ থাকায় গত তিন সপ্তাহে হিলিতে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে রাজধানীর বাজারগুলোয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়।

আগে থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া আদা ও রসুনের দামও বেড়েছে। দেশি ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি আদা কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আমদানি করা আদা কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টিসিবির গতকালের বাজারদরের তালিকায়ও পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রমাণ মিলেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজধানীর বাজারগুলোয় গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, বর্তমানে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। আর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। আমদানি করা রসুন আগের নির্ধারিত দামে কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ওবায়দুল কাদের আমার বাসায় না এসে বিদেদেশ পালিয়েছে : মির্জা ফখরুল

SBN

SBN

আমদানি বন্ধের অজুহাতে পেঁয়াজের দাম বেড়েই চলেছে 

আপডেট সময় ০৬:০১:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মে ২০২৩
মো: নাজমুল হোসেন ইমন, মহানগর প্রতিনিধি, ঢাকা: সপ্তাহ ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোতে কেজিতে অন্তত ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম।ঈদের পরই নতুন করে কয়েক দফা দাম বেড়েছে নিত্যপণ্যের। প্রতিযোগিতায় এগিয়ে মসলাজাতীয় পণ্য। সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ২০ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দর। পিছিয়ে নেই আদা, রসুন ও জিরা।এক বিক্রেতা বলেন, ঈদের আগে পেঁয়াজ, রসুন, আদার মূল্য কম ছিল। তবে পরে অনেক বেড়ে গেছে।

এক ক্রেতা জানান, মুরগি, মাংস মাসে একবার কেনা হয়। আর কিনতেই পারি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে ভবিষ্যতে চলা কঠিন হবে।

অপর ক্রেতা বলেন, জিনিসপত্রের দাম একটু কমলে ভালো হয়। এতে চলা আমাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। খাওয়া কমিয়ে দিতে হচ্ছে।

তবে দাম বাড়ার পেছনে খুচরা ব্যবসায়ীরা কোনো কারণ খুঁজে না পেলেও আমদানিকারকরা বলছেন, পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় সরবরাহে কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়েছে। ফলে দাম বাড়ছে। তাদের আশঙ্কা, আমদানি বন্ধ থাকলে সামনে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে।

দেশ কৃষকদের উৎপাদন করা পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে গত ১৬ মার্চ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে দেশি পেঁয়াজের ওপর চাপ বেড়েছে। আমদানি বন্ধ থাকায় গত তিন সপ্তাহে হিলিতে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।

জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে খুচরা পর্যায়ে পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। দুই সপ্তাহ আগে রাজধানীর বাজারগুলোয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকায়।

আগে থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া আদা ও রসুনের দামও বেড়েছে। দেশি ও আমদানি করা রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। দেশি আদা কেজি ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা এবং আমদানি করা আদা কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

টিসিবির গতকালের বাজারদরের তালিকায়ও পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রমাণ মিলেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, রাজধানীর বাজারগুলোয় গত সপ্তাহের তুলনায় চলতি সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪৫ থেকে ৫৫ টাকা, বর্তমানে দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি। আর কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬৫ টাকায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি রসুন কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। আমদানি করা রসুন আগের নির্ধারিত দামে কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।