ঢাকা ০২:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন কোনো দেশকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য নয় : মুখপাত্র মাও নিং Logo মানবজাতির অভিন্ন কল্যাণের সমাজ প্রতিষ্ঠা করবে : শেন ইউয়ে ইউয়ে Logo এশিয়া সোসাইটি চীন-মার্কিন সম্পর্কে সেতুবন্ধনের ভূমিকা পালন করে যাবে: ওয়াং ই Logo তথ্যচিত্র ‘ফ্যাব্রিক অব লাইভস’ চীনের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি Logo চীনে ৩ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ত্রিপক্ষীয় সংলাপ Logo ঝিনাইগাতীতে হাতীর আক্রমণে নিহত দুই পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান Logo মুরাদনগরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের পদত্যাগ দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ Logo সাজেকে বাবুধন চাকমার গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন Logo মতিঝিল থানা যুবদলের ত্যাগী নেতা বাবু’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার Logo সড়কে গতির ‘ভবিষ্যৎ’ অনিশ্চিত

উখিয়ায় শবে কদরে গরুর বদলে ঘোড়া জবাই: বিক্রির আগেই জব্দ মাংস

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে কক্সবাজারের উখিয়ায় লোকচক্ষুর অন্তরালে রাতের অন্ধকারে ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রির চেষ্টা করেছেন উখিয়ার এক কসাই।

তবে তার সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছেন হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

ঘটনাটি ঘটেছে উখিয়া উপজেলা হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা লাকরি বাজার এলাকায়।

এসময় চেয়ারম্যান ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান মরিচ্যা বাজারের মিয়াজন ফকিরের ছেলে কসাই মাহবুব আলম প্রকাশ (মাহাবু কসাই)। পরে ঘোড়ার মাথা ও লেজসহ মাংসগুলো জব্দ করেন উখিয়া থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, তার কাছে তথ্য ছিলো কক্সবাজারের বিচ এরিয়ায় কিছু অসুস্থ ঘোড়া মরিচ্যা বাজার এলাকায় আনা হচ্ছে। কিন্তু কি জন্য আনা হচ্ছে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম না। তাই বিষয়টি নিয়ে গত দুইদিন ধরে বিভিন্নজনকে সোর্স হিসেবে কাজে লাগিয়েছি। পরে পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে মরিচ্যা বাজারে ঘোড়া জবাই করা হয়েছে এমন খবর পাওয়া মাত্রই দেরি না করে ঘটনাস্থলে এর সত্যতা পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশকে খবর দিয়ে মাংসগুলো জব্দ করা হয়।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গরু মাংসের নামে ঘোড়া জবাই করে বিক্রির চেষ্টাকালে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আমরা মাংস জব্দ করেছি। এসময় অভিযুক্ত কসাই পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস জানান, আপনার ইউনিয়ন পরিষদে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।
সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিনোদনের জন্য ঘোড়ার গায়ে চড়ার ব্যবস্থা আছে। সেই ঘোড়া গুলো অসুস্থ হলে অসাধু কসাইরা সহজ সরল মানুষের মনে আঘাত দেওয়ার জন্য ঘোড়া গুলো জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবন কোনো দেশকে চ্যালেঞ্জ করার জন্য নয় : মুখপাত্র মাও নিং

SBN

SBN

উখিয়ায় শবে কদরে গরুর বদলে ঘোড়া জবাই: বিক্রির আগেই জব্দ মাংস

আপডেট সময় ০৮:২০:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৩

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে কক্সবাজারের উখিয়ায় লোকচক্ষুর অন্তরালে রাতের অন্ধকারে ঘোড়া জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রির চেষ্টা করেছেন উখিয়ার এক কসাই।

তবে তার সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছেন হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী।

ঘটনাটি ঘটেছে উখিয়া উপজেলা হলদিয়াপালং ইউনিয়নের মরিচ্যা লাকরি বাজার এলাকায়।

এসময় চেয়ারম্যান ও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান মরিচ্যা বাজারের মিয়াজন ফকিরের ছেলে কসাই মাহবুব আলম প্রকাশ (মাহাবু কসাই)। পরে ঘোড়ার মাথা ও লেজসহ মাংসগুলো জব্দ করেন উখিয়া থানা পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, তার কাছে তথ্য ছিলো কক্সবাজারের বিচ এরিয়ায় কিছু অসুস্থ ঘোড়া মরিচ্যা বাজার এলাকায় আনা হচ্ছে। কিন্তু কি জন্য আনা হচ্ছে সেই ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলাম না। তাই বিষয়টি নিয়ে গত দুইদিন ধরে বিভিন্নজনকে সোর্স হিসেবে কাজে লাগিয়েছি। পরে পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে মরিচ্যা বাজারে ঘোড়া জবাই করা হয়েছে এমন খবর পাওয়া মাত্রই দেরি না করে ঘটনাস্থলে এর সত্যতা পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশকে খবর দিয়ে মাংসগুলো জব্দ করা হয়।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, গরু মাংসের নামে ঘোড়া জবাই করে বিক্রির চেষ্টাকালে স্থানীয় চেয়ারম্যানের সহযোগিতায় আমরা মাংস জব্দ করেছি। এসময় অভিযুক্ত কসাই পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। তবে তাকে আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

স্থানীয় চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস জানান, আপনার ইউনিয়ন পরিষদে কেউ অপরাধ করে পার পাবে না।
সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিনোদনের জন্য ঘোড়ার গায়ে চড়ার ব্যবস্থা আছে। সেই ঘোড়া গুলো অসুস্থ হলে অসাধু কসাইরা সহজ সরল মানুষের মনে আঘাত দেওয়ার জন্য ঘোড়া গুলো জবাই করে গরুর মাংস বলে বিক্রি করে।