কক্সবাজার জেলাকে সুন্দরভাবে সাঁজাতে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও এসপায়ার টু ইনোভেট কর্তৃক ২দিন ব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার সময় অরুণোদয় বিশেষায়িত স্কুলের সম্মেলন কক্ষে ১৪-১৫ফেব্রুয়ারি ২দিন ব্যাপী জেলা ব্র্যান্ডিং কার্যক্রমের সক্ষমতা উন্নয়নে জেলা পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়নে হাতে কলমে প্রশিক্ষণ কর্মশালা আরম্ভ হয়।
প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালা জুমের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন এসপায়ার টু ইনোভেট প্রোগ্রামের প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ন কবীর।
এই সময় তিনি বলেন, কক্সবাজারটা হচ্ছে পর্যটনের রাজধানী। আপনারা যারা কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন, তারা সকলের পর্যটন রাজধানীর মানুষ। আপনাদের উচিত, পর্যটনের রাজধানীকে ব্র্যান্ডিং করা।
তিনি আরো বলেন, কক্সবাজারের আগে বা বাংলাদেশের আগে বিভিন্ন দেশ ব্র্যান্ডিং হয়েছে ২০০০সাল থেকে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আপনাদের ভূমিকা অপরিসীম। কক্সবাজার থেকে উৎপাদিত পণ্য পান, শুটকি, কাকরা দেশের মানুষের পাশাপাশি বিদেশিদের কাছেও ব্র্যান্ডিং করতে হবে। আপনাদের সময় মনোবল পারবে কক্সবাজারকে ব্র্যান্ডিং করতে। আপনাদের পাশাপাশি আমরা সারা বাংলাদেশকে ব্র্যান্ডিং করব।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) বিভীষণ কান্তি দাশের সঞ্চালনায় ২দিন ব্যাপী কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান।
তিনি বলেন, আপনারা ডেডিকেটেড যদি থাকেন, তাহলে লেগে থাকুন। সফলতা আসবে। আপনার কাছে জমে থাকা আইডিয়ার সাথে আজকের প্রশিক্ষণটা কাজে লাগান দেখবেন আপনি ডিজিটাল নাগরিক হয়েগেছেন।
তিনি আরো বলেন, ট্যূরিজমের সাথে নগরের অনেক বেশি সম্পর্ক থাকে। সে সম্পর্ক ঠিকে থাকে আপনাদের সার্ভিং এর মাধ্যমে। কক্সবাজার জেলা প্রশাসন কক্সবাজারকে ব্র্যান্ডিং করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাই দেশটি ২০৩১সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে উঠুক।
পান, শুটকি, কাঁকড়া ও পর্যটন নিয়ে কাজ করে এমন ৪০জন উদ্যোক্তা নিয়ে জেলা ব্র্যান্ডিং প্রশিক্ষণ কর্মশালা আরম্ভ হয়। ২য় ধাপে আরো ৪০জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এসপায়ার টু ইনোভেট, একশপ এর পক্ষে প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন মোঃ ওমর ফারুক ও আরিফুল ইসলাম।