ঢাকা ০৭:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা Logo ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা’র সহধর্মীনি এডভোকেট সিগমা হুদার ইন্তেকাল Logo আমতলীতে ২য় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক আটক Logo বাঘাইছড়িতে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ মিছিল Logo সরাইলে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ Logo ভাঙ্গায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৩ আহত ৪০ Logo রূপসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ Logo সদরপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া Logo যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাসিম এর মুত‍্যু বার্ষিকী পালিত

কক্সবাজারে একযুগ পর বাঁকখালী নদী দখল মুক্ত

কক্সবাজার পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্রের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী ৩শত একর জমি দুইদিনে অবৈধ দখল মুক্ত করেছে প্রশাসন। যেখানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৪শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রায় একযুগ আগে সরকার ঘোষিত নদী বন্দর বাস্তবায়নে জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে এ উচ্ছেদ অভিযান এবং সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার সময় উচ্ছেদের নেতৃত্বদানকারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবারও চলমান ছিল। এ পর্যন্ত নদীর তীরের ৩ শত একর জমির অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করা হয়েছে। যেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ৪ শতাধিক স্থাপনা।

তিনি জানান, নদীর তীরের প্যারাবন ধ্বংস করে ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল। উচ্চ আদালত থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদের আদেশ রয়েছে। যে নিদের্শ মতে, উচ্ছেদ অভিযান চলছে। নদীর সকল দখল উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।

তিনি আরো জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিততে উচ্ছেদ অভিযানে উদ্ধার হওয়া জমি বিআইডব্লিউটিএ এর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ পরিচালক নয়ন শীল জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার বিআইডব্লিউটিএ-কে বাঁকখালী নদী বন্দরের সংরক্ষক নিযুক্ত করে। প্রজ্ঞাপনে নদীর তীরের ৭২১ একর জমি বিআইডব্লিউটিএ কে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা ছিলো। পরে ওই সময়ের জেলা প্রশাসনের আপত্তির কারণে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভূমি পুণঃ যৌথ জরিপ করা হয়। জরিপে নির্ধারিত জমি হাইকোর্ট এক রীটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে রায় ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে নদী তীরের ভূমি বিআইডব্লিউটিএ-কে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। নানা কারণে তা বিলম্ব হলেও ইতিমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ পক্ষে পিলার লাগিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, বাঁকখালী নদী বন্দর নিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন দ্রুত এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

কক্সবাজারে একযুগ পর বাঁকখালী নদী দখল মুক্ত

আপডেট সময় ০৮:৩০:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ ২০২৩

কক্সবাজার পৌর এলাকার প্রাণকেন্দ্রের বাঁকখালী নদীর তীরবর্তী ৩শত একর জমি দুইদিনে অবৈধ দখল মুক্ত করেছে প্রশাসন। যেখানে অবৈধভাবে গড়ে উঠা ৪শতাধিক অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। প্রায় একযুগ আগে সরকার ঘোষিত নদী বন্দর বাস্তবায়নে জন্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে এ উচ্ছেদ অভিযান এবং সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার (০২ মার্চ) দুপুর সাড়ে ১২টার সময় উচ্ছেদের নেতৃত্বদানকারি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু সুফিয়ান জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া উচ্ছেদ অভিযান দ্বিতীয় দিনের মতো বুধবারও চলমান ছিল। এ পর্যন্ত নদীর তীরের ৩ শত একর জমির অবৈধ স্থাপনা দখল মুক্ত করা হয়েছে। যেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ৪ শতাধিক স্থাপনা।

তিনি জানান, নদীর তীরের প্যারাবন ধ্বংস করে ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছিল। উচ্চ আদালত থেকে অবৈধ দখল উচ্ছেদের আদেশ রয়েছে। যে নিদের্শ মতে, উচ্ছেদ অভিযান চলছে। নদীর সকল দখল উচ্ছেদ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে।

তিনি আরো জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর, বনবিভাগ, বিআইডব্লিউটিএ সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উপস্থিততে উচ্ছেদ অভিযানে উদ্ধার হওয়া জমি বিআইডব্লিউটিএ এর কাছে হস্তান্তর করা হবে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরিণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ পরিচালক নয়ন শীল জানিয়েছেন, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার বিআইডব্লিউটিএ-কে বাঁকখালী নদী বন্দরের সংরক্ষক নিযুক্ত করে। প্রজ্ঞাপনে নদীর তীরের ৭২১ একর জমি বিআইডব্লিউটিএ কে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা ছিলো। পরে ওই সময়ের জেলা প্রশাসনের আপত্তির কারণে ২০২০ সালের ২০ ডিসেম্বর ভূমি পুণঃ যৌথ জরিপ করা হয়। জরিপে নির্ধারিত জমি হাইকোর্ট এক রীটের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে রায় ঘোষণার ৬০ দিনের মধ্যে নদী তীরের ভূমি বিআইডব্লিউটিএ-কে বুঝিয়ে দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল। নানা কারণে তা বিলম্ব হলেও ইতিমধ্যে বিআইডব্লিউটিএ পক্ষে পিলার লাগিয়ে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কার্যক্রম চালাচ্ছে প্রশাসন।

প্রসঙ্গত, বাঁকখালী নদী বন্দর নিয়ে ইতিপূর্বে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ প্রতিবেদনও প্রকাশিত হওয়ার পর প্রশাসন দ্রুত এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।