ঢাকা ১১:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫, ২৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo মাতৃত্ব নয় বরং মাকে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে মহিমান্বিত করুন : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী Logo ৮ বছরে ও সড়কে সংস্কারের ছোঁয়া লাগেনি কোরপাই মনঘাটা-আবিদপুর সড়কে Logo আওয়ামীলীগ পালিয়েছে বলায় বিএনপির ৪কর্মীকে কুপিয়ে জখম Logo সেন্টমার্টিনে কোস্ট গার্ডের সপ্তাহ ব্যাপী জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সেবামূলক কার্যক্রম গ্রহণ Logo হিজলায় ড্রেজার বাল্কহেড ও নগদ টাকা সহ ৬ দুষ্কৃতিকারীকে আটক Logo নারায়ণগঞ্জে প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের অবৈধ চিংড়ির রেণু জব্দ Logo লাকসাম প্রেসক্লাবে বদিউল আলম সভাপতি. ফারুক আল শারাহ সম্পাদক নির্বাচিত Logo আস-সুন্নাহ’র ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শেরপুরে ঘর প্রদান Logo নতুন গানে আকাশের সঙ্গী অন্তরা Logo ইউএসবি স্পেসালাইজড হাসপাতালের পরিচালক প্রশাসনের দায়িত্ব গ্রহন করলেন মানবিক ডাক্তার রেজাউল হক জুয়েল

কবিতীর্থ দৌলতপুরে “নজরুল সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয়”কারার দাবী

মুরাদনগর প্রতিনিধি: জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও নার্গিসের জন্মভূমি ও কবিতীর্থ কুমিল্লার দৌলতপুর আজও চরমভাবে অবহেলিত রয়ে গেছে। ১৯২১ সালে আলী আকবর খান আর কবি নজরুল কলকাতায় পাশাপাশি থাকতেন। আলী আকবর খান কবি নজরুলকে তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দৌলতপুরে নিয়ে আসেন। বেড়াতে এসে আলী আকবর খানের বোনের মেয়ে সৈয়দা আসার খানমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কবি।
গভীর ভালোবাসায় আচ্ছন্ন হয়ে ইরানি এক সাদা গুল্মপুষ্পের নামে কবি তার নাম দিলেন নার্গিস। কবি দৌলতপুরে বসেই ১৬০টি গান এবং ১২০টি কবিতা রচনা করেন। দীর্ঘ দুই মাসের আবেগঘন প্রেমের পর নার্গিসের সঙ্গে পরিণয়ের রাতেই এক অভিমানে কবি তাকে ত্যাগ করে চলে যান। তবে কবির মানসলোকে নার্গিস ছিলেন দীর্ঘকাল। ১৯৩৭ সালে কলকাতার চিৎপুর থেকে কবি নার্গিসকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন, ‘তোমার ওপর আমি কোনো জিঘাংসা পোষণ করি না এ আমি সকল অন্তর দিয়ে বলছি। আমার অন্তর্যামী জানেন তোমার জন্য আমার হৃদয়ে কি গভীর ক্ষত, কি অসীম বেদনা!

তুমি এই আগুনের পরশ মানিক না দিলে আমি ‘অগ্নিবীণা’ বাজাতে পারতাম না। আমি ধুমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত হতে পারতাম না। তোমার যে কল্যাণ রূপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, যে রূপকে আমার জীবনের সর্বপ্রথম ভালোবাসার অঞ্জলি দিয়েছিলাম, সে রূপ আজো স্বর্গের পারিজাত-মন্দিরের মতো চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে।’
কোম্পানীগঞ্জ ও নবীনগরের রাস্তার বাংগরা বাজার এর পরেই কবিতীর্থ দৌলতপুরের অবস্থান,এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির নামে হয়নি কোনো প্রতিষ্ঠান। নেই কবির একটি ম্যুরালও।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কবির ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নজরুল পয়েন্ট্রি ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এসব কথা তুলে ধরেন, তারা কবিতীর্থ দৌলতপুরে কবি নজরুল নামে “সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয়” স্হাপন করার জোর দাবি জানান। মাহমুদুল হাসান নিজামী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গণি, এম মিরাজ হোসেন, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, আসলাম সানী, কবি মুজাহিদ পাটুয়ারী, নজরুল বাঙালি, এডভ্যোকেট আলহাজ্ব মোহাম্মদ উল্লা পলাশ, সিহাব রিফাত আলম, শামসুল হক বাবু, সাইফুর রহমান বকুল (নজরুল নিকেতন), একরামুল হক দিপু, কবি আলিম, কবি সাইফ সাদী,আনোয়ার হাছান খোকন, সাংবাদিক আশিক সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে জাতীয় কবিতা মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে আন্তর্জাতিক নজরুল পয়েন্ট্রি ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ ভারত, রাশিয়া, নেপালের আন্তর্জাতিক নজরুল গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাতৃত্ব নয় বরং মাকে ব্যক্তিমানুষ হিসেবে মহিমান্বিত করুন : অধ্যাপক ড. মু. নজরুল ইসলাম তামিজী

SBN

SBN

কবিতীর্থ দৌলতপুরে “নজরুল সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয়”কারার দাবী

আপডেট সময় ০২:৪০:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩

মুরাদনগর প্রতিনিধি: জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হলেও নার্গিসের জন্মভূমি ও কবিতীর্থ কুমিল্লার দৌলতপুর আজও চরমভাবে অবহেলিত রয়ে গেছে। ১৯২১ সালে আলী আকবর খান আর কবি নজরুল কলকাতায় পাশাপাশি থাকতেন। আলী আকবর খান কবি নজরুলকে তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার দৌলতপুরে নিয়ে আসেন। বেড়াতে এসে আলী আকবর খানের বোনের মেয়ে সৈয়দা আসার খানমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কবি।
গভীর ভালোবাসায় আচ্ছন্ন হয়ে ইরানি এক সাদা গুল্মপুষ্পের নামে কবি তার নাম দিলেন নার্গিস। কবি দৌলতপুরে বসেই ১৬০টি গান এবং ১২০টি কবিতা রচনা করেন। দীর্ঘ দুই মাসের আবেগঘন প্রেমের পর নার্গিসের সঙ্গে পরিণয়ের রাতেই এক অভিমানে কবি তাকে ত্যাগ করে চলে যান। তবে কবির মানসলোকে নার্গিস ছিলেন দীর্ঘকাল। ১৯৩৭ সালে কলকাতার চিৎপুর থেকে কবি নার্গিসকে উদ্দেশ্য করে লিখেছিলেন, ‘তোমার ওপর আমি কোনো জিঘাংসা পোষণ করি না এ আমি সকল অন্তর দিয়ে বলছি। আমার অন্তর্যামী জানেন তোমার জন্য আমার হৃদয়ে কি গভীর ক্ষত, কি অসীম বেদনা!

তুমি এই আগুনের পরশ মানিক না দিলে আমি ‘অগ্নিবীণা’ বাজাতে পারতাম না। আমি ধুমকেতুর বিস্ময় নিয়ে উদিত হতে পারতাম না। তোমার যে কল্যাণ রূপ আমি আমার কিশোর বয়সে প্রথম দেখেছিলাম, যে রূপকে আমার জীবনের সর্বপ্রথম ভালোবাসার অঞ্জলি দিয়েছিলাম, সে রূপ আজো স্বর্গের পারিজাত-মন্দিরের মতো চির অম্লান হয়েই আছে আমার বক্ষে।’
কোম্পানীগঞ্জ ও নবীনগরের রাস্তার বাংগরা বাজার এর পরেই কবিতীর্থ দৌলতপুরের অবস্থান,এখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে কবির নামে হয়নি কোনো প্রতিষ্ঠান। নেই কবির একটি ম্যুরালও।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কবির ১২৪তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত আন্তর্জাতিক নজরুল পয়েন্ট্রি ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এসব কথা তুলে ধরেন, তারা কবিতীর্থ দৌলতপুরে কবি নজরুল নামে “সাহিত্য বিশ্ববিদ্যালয়” স্হাপন করার জোর দাবি জানান। মাহমুদুল হাসান নিজামী সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল সিদ্দিকুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিমুল গণি, এম মিরাজ হোসেন, অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ পাটোয়ারী, আসলাম সানী, কবি মুজাহিদ পাটুয়ারী, নজরুল বাঙালি, এডভ্যোকেট আলহাজ্ব মোহাম্মদ উল্লা পলাশ, সিহাব রিফাত আলম, শামসুল হক বাবু, সাইফুর রহমান বকুল (নজরুল নিকেতন), একরামুল হক দিপু, কবি আলিম, কবি সাইফ সাদী,আনোয়ার হাছান খোকন, সাংবাদিক আশিক সহ প্রমুখ।
উল্লেখ্য যে জাতীয় কবিতা মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে আন্তর্জাতিক নজরুল পয়েন্ট্রি ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশ ভারত, রাশিয়া, নেপালের আন্তর্জাতিক নজরুল গবেষকগণ উপস্থিত ছিলেন।