ঢাকা ১২:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা Logo ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা’র সহধর্মীনি এডভোকেট সিগমা হুদার ইন্তেকাল Logo আমতলীতে ২য় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক আটক Logo বাঘাইছড়িতে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ মিছিল Logo সরাইলে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ Logo ভাঙ্গায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৩ আহত ৪০ Logo রূপসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ Logo সদরপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া Logo যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাসিম এর মুত‍্যু বার্ষিকী পালিত

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেশনজটের আশঙ্কা

মোঃ সাইফুল ইসলাম

শিক্ষাব্যবস্থায় সংকট এবং স্থবির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করা নিয়ে উপাচার্যের আলোচনার চিঠি প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। একই সাথে সিন্ডিকেটের গঠন করা দুইটি কমিটির প্রতিও অনাস্থা জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (২৬ মে ২০২৪ খ্রিঃ) দুপুর ১২ টায় বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এ এফ এম আব্দুল মঈনের সাথে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডঃ মোঃ আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান কে চিঠি দেন রেজিস্ট্রার মোঃ আমিরুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১মে থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি আন্দোলনে একাডেমির সকল কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষকরা। পরেই এই আন্দোলনের দাবি এক দফায় গিয়ে ঠেকে, শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনসহ নানান কর্মসূচি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভুত সমস্যায় সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় ও হল গুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে প্রশাসনের ফল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমির কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দ্রুত ক্লাস শুরু হবে এমন অপেক্ষায় এখনো হলে অবস্থান করছেন অনেক শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএফএম আব্দুল মঈন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার জন্যই আমরা শিক্ষক সমিতির সাথে আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। তারা সেই চিঠিতে সাড়া দেয়নি। তবে আলোচনার জন্য আমরা অপেক্ষায় রয়েছি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডঃ মোঃ আবু তাহের জানান, সিন্ডিকেটকে প্রভাবিত করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছেন উপাচার্য। এখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে – খোলার জন্য আমাদের সাথে আলোচনা করার দরকার নাই। যখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেছেন তখন তো কারো সাথে আলোচনা করে করেননি। আর আমরাও উপাচার্যের অপসারণ বা পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলনে আছি। এর আগে যখন আমরা আমাদের সাত দফা দাবি পূরণ চেয়েছিলাম তখন তো তিনি আমাদেরকে ডাকেননি। সেই জায়গায় আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার ব্যাপার আমাদেরকে ডাকছেন। আমাদের পরামর্শ আপনার দরকার নেই – বিশ্ববিদ্যালয় তো আপনি বন্ধ করেছেন। সে কারণে আমরা ওনার সাথে আলোচনায় সাড়া দিয়ে যাইনি। তার মানে এই নয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার ব্যাপারে আগ্রহ নেই।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান জানান, সিন্ডিকেটের গঠিত কমিটিতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাই রয়েছেন। একটা ছোট তদন্ত কমিটির মধ্যেও যদি এ ধরনের বিতর্কিত কার্যক্রম হয় শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে সত্যটা তুলে ধরতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রহসনের নাটক চলছে তদন্তের নামে।

এদিকে উপাচার্য শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা। তারা চান, উভয় পক্ষের আন্তরিকতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দেয়া হোক বিশ্ববিদ্যালয়।

আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় সেশনজটের আশঙ্কা

আপডেট সময় ০১:০২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

মোঃ সাইফুল ইসলাম

শিক্ষাব্যবস্থায় সংকট এবং স্থবির কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।

একাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করা নিয়ে উপাচার্যের আলোচনার চিঠি প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। একই সাথে সিন্ডিকেটের গঠন করা দুইটি কমিটির প্রতিও অনাস্থা জানিয়েছেন তারা।

রবিবার (২৬ মে ২০২৪ খ্রিঃ) দুপুর ১২ টায় বিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে উপাচার্য এ এফ এম আব্দুল মঈনের সাথে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডঃ মোঃ আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ মেহেদী হাসান কে চিঠি দেন রেজিস্ট্রার মোঃ আমিরুল হক চৌধুরী।

উল্লেখ্য সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১মে থেকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর আগে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি আন্দোলনে একাডেমির সকল কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষকরা। পরেই এই আন্দোলনের দাবি এক দফায় গিয়ে ঠেকে, শিক্ষক সমিতি উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করে ক্লাস পরীক্ষা বর্জনসহ নানান কর্মসূচি পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভুত সমস্যায় সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় ও হল গুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে প্রশাসনের ফল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমির কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দ্রুত ক্লাস শুরু হবে এমন অপেক্ষায় এখনো হলে অবস্থান করছেন অনেক শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এএফএম আব্দুল মঈন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করার জন্যই আমরা শিক্ষক সমিতির সাথে আলোচনার জন্য চিঠি দিয়েছিলাম। তারা সেই চিঠিতে সাড়া দেয়নি। তবে আলোচনার জন্য আমরা অপেক্ষায় রয়েছি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডঃ মোঃ আবু তাহের জানান, সিন্ডিকেটকে প্রভাবিত করে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দিয়েছেন উপাচার্য। এখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে হবে – খোলার জন্য আমাদের সাথে আলোচনা করার দরকার নাই। যখন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করেছেন তখন তো কারো সাথে আলোচনা করে করেননি। আর আমরাও উপাচার্যের অপসারণ বা পদত্যাগের দাবিতে এক দফা আন্দোলনে আছি। এর আগে যখন আমরা আমাদের সাত দফা দাবি পূরণ চেয়েছিলাম তখন তো তিনি আমাদেরকে ডাকেননি। সেই জায়গায় আপনি বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার ব্যাপার আমাদেরকে ডাকছেন। আমাদের পরামর্শ আপনার দরকার নেই – বিশ্ববিদ্যালয় তো আপনি বন্ধ করেছেন। সে কারণে আমরা ওনার সাথে আলোচনায় সাড়া দিয়ে যাইনি। তার মানে এই নয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার ব্যাপারে আগ্রহ নেই।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান জানান, সিন্ডিকেটের গঠিত কমিটিতে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারাই রয়েছেন। একটা ছোট তদন্ত কমিটির মধ্যেও যদি এ ধরনের বিতর্কিত কার্যক্রম হয় শিক্ষক সমিতির প্রতিনিধি হিসেবে আমাকে সত্যটা তুলে ধরতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রহসনের নাটক চলছে তদন্তের নামে।

এদিকে উপাচার্য শিক্ষক সমিতির দ্বন্দ্বে দীর্ঘদিন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকায় দীর্ঘ সেশনজটের আশঙ্কায় শিক্ষার্থীরা। তারা চান, উভয় পক্ষের আন্তরিকতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দেয়া হোক বিশ্ববিদ্যালয়।