ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহীতে পুলিশ লাইন্সের শৌচাগার থেকে পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার Logo মাঠের রাস্তায় জামাই শাশুড়ির বাঁশের বেড়া: বিপাকে দুই গ্রামের কৃষক Logo অধ্যাপক ড. তামিজী চেয়ারম্যান, অধ্যাপক ড. হামিদা সেক্রেটারি জেনারেল Logo এনসিপির লোকজন আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়েছে : কায়কোবাদ Logo রাজশাহীতে মেয়েকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা, গ্রেপ্তার ২ Logo মুরাদনগরে মাছ কাটা নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীকে খুন করে থানায় স্বামী Logo খুনিদের বিচার আর দেশের সংস্কার ছাড়া জনগণ নির্বাচন মেনে নেবে না- ডাঃ শফিকুর রহমান Logo বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যেই এ সরকার কাজ করছে- পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা Logo সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর? Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার

কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে আদালত অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করা হচ্ছে

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদের মধ্যে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের পিতা কিংবা দাদা-নানা কেউই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই।তারা সে সময় জীবনের ভয়ে যুদ্ধে না গিয়ে পাক বাহিনীর সাথে আঁতাত করেছে, সুবিধাভোগ করেছে।পক্ষান্তরে আমাদের পিতারা জীবন বাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ ও লাল-সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অনেকেই শাহাদাত বরণ করেছেন,পঙ্গুত্ববরণ করেছেন এবং মা-বোনেরা সম্ভ্রব হারিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ায় বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।আর এর নেতৃত্বে ছিলেন এদেশীয় রাজাকার-আলবদর-আলশামস্।এদেরকে সেদিন প্রত্যক্ষভাবে যারা সহযোগীতা করেছিলেন তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনীরা আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে।তারা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আদালত অবমাননা করছে।আদালতের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছে, যা অপরাধ।একই সাথে তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে।মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করছে। এধরণের ঘৃণ্য অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে যেতে অনুরোধ করছি।এ সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণকে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানরা মাঠে নেমে এর মোকাবেলা করবো বলে সংগঠনের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন।

বক্ততারা বলেন,যারা আন্দোলন করছে তাদেরকে মাঠে নামিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।তারা টার্গেট করে মুক্তিযোদ্ধার কোটা নিয়ে কটাক্ষ করছে এবং অশালীন কথা বলছে।তারা বলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোটা ব্যবস্থা আছে।প্রতিযোগিতামূলক প্রিলিমিনারী,লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পর কোটার বাস্তবায়ন করা হয়।প্রিলিমিনারী ও লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য কোন চাকুরী প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা সুবিধা কোন দিনই পায়নি।নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন বলেন কোটা সুবিধা নয়,বরং নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি হলেই মেধাহীনরা চাকুরী পায়।এ জন্য স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

৯ই জুলাই ২০২৪ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে আমার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির এতে সভাপতিত্বে করেন।সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যানের মাঝে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার নুরুজ্জামান ভুট্টো,এড. সাইফুল বাহার মজুমদার, লুবনা খানম, বাউবি ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ মন্ডল রানা, সহ-সভাপতি এড.আব্দুর রশিদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক রুবিনা ইয়াসমিন অন্তরা, মোঃ ইকরামুল হক, প্রচার সম্পাদক ইঞ্জি.অনি সামদানী চৌধুরী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য জাকির হোসেন, মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিব নুর ইসলাম,ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিলন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হাসান গাজী, উত্তরের সহ-সভাপতি সুমন শেখ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আইনজীবী কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. গোলাম কিবরিয়া, সুপ্রিম কোর্ট বার শাখার সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন আকন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাজী সাইফুল ইসলাম,মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মোঃ নুরুল ইসলাম বাবু সহ মহানগরের বিভিন্ন থানা, বিভিন্ন উপজেলা ও জেলার নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা আরও বলেন,মুক্তিযোদ্ধা কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান ও তাদের সন্তানদের অধিকার।মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

আপলোডকারীর তথ্য

রাজশাহীতে পুলিশ লাইন্সের শৌচাগার থেকে পুলিশ কনস্টেবলের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

SBN

SBN

কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে আদালত অবমাননা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করা হচ্ছে

আপডেট সময় ০৬:৩৩:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ জুলাই ২০২৪

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন ‘আমার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ এর নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন তাদের মধ্যে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের পিতা কিংবা দাদা-নানা কেউই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে নাই।তারা সে সময় জীবনের ভয়ে যুদ্ধে না গিয়ে পাক বাহিনীর সাথে আঁতাত করেছে, সুবিধাভোগ করেছে।পক্ষান্তরে আমাদের পিতারা জীবন বাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে একটি স্বাধীন বাংলাদেশ ও লাল-সবুজের পতাকা উপহার দিয়েছে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অনেকেই শাহাদাত বরণ করেছেন,পঙ্গুত্ববরণ করেছেন এবং মা-বোনেরা সম্ভ্রব হারিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ায় বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।আর এর নেতৃত্বে ছিলেন এদেশীয় রাজাকার-আলবদর-আলশামস্।এদেরকে সেদিন প্রত্যক্ষভাবে যারা সহযোগীতা করেছিলেন তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনীরা আজ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কোটাবিরোধী আন্দোলনের ডাক দিয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করছে।তারা আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে আদালত অবমাননা করছে।আদালতের বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছে, যা অপরাধ।একই সাথে তারা বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে হেয়প্রতিপন্ন করে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে।মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আঘাত করছে। এধরণের ঘৃণ্য অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রশাসনকে কঠোর অবস্থানে যেতে অনুরোধ করছি।এ সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী জনগণকে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানরা মাঠে নেমে এর মোকাবেলা করবো বলে সংগঠনের নেতারা ঘোষণা দিয়েছেন।

বক্ততারা বলেন,যারা আন্দোলন করছে তাদেরকে মাঠে নামিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।তারা টার্গেট করে মুক্তিযোদ্ধার কোটা নিয়ে কটাক্ষ করছে এবং অশালীন কথা বলছে।তারা বলেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোটা ব্যবস্থা আছে।প্রতিযোগিতামূলক প্রিলিমিনারী,লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় কৃতকার্য হওয়ার পর কোটার বাস্তবায়ন করা হয়।প্রিলিমিনারী ও লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য কোন চাকুরী প্রত্যাশী বীর মুক্তিযোদ্ধা কোটা সুবিধা কোন দিনই পায়নি।নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন বলেন কোটা সুবিধা নয়,বরং নিয়োগ পরীক্ষায় দুর্নীতি হলেই মেধাহীনরা চাকুরী পায়।এ জন্য স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়ে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

৯ই জুলাই ২০২৪ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে আমার মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ হুমায়ুন কবির এতে সভাপতিত্বে করেন।সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যানের মাঝে বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার নুরুজ্জামান ভুট্টো,এড. সাইফুল বাহার মজুমদার, লুবনা খানম, বাউবি ছাত্র পরিষদের সভাপতি ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুর রশিদ মন্ডল রানা, সহ-সভাপতি এড.আব্দুর রশিদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক রুবিনা ইয়াসমিন অন্তরা, মোঃ ইকরামুল হক, প্রচার সম্পাদক ইঞ্জি.অনি সামদানী চৌধুরী, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক বেলাল আহমেদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম বিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য জাকির হোসেন, মানবাধিকার সংস্থার মহাসচিব নুর ইসলাম,ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সিনিয়র সহ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মিলন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো: হাসান গাজী, উত্তরের সহ-সভাপতি সুমন শেখ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আইনজীবী কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক এড. গোলাম কিবরিয়া, সুপ্রিম কোর্ট বার শাখার সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন আকন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাজী সাইফুল ইসলাম,মোঃ শহিদুল ইসলাম ও মোঃ নুরুল ইসলাম বাবু সহ মহানগরের বিভিন্ন থানা, বিভিন্ন উপজেলা ও জেলার নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা আরও বলেন,মুক্তিযোদ্ধা কোটা মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান ও তাদের সন্তানদের অধিকার।মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে ষড়যন্ত্র কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।