খুলনা জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির মার্চ মাসের সভা ১৯ মার্চ (রবিবার) সকালে জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে তাঁর সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ৬০টি সরকারি দপ্তরের সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ জানান, আজ থেকে সপ্তাহব্যাপী ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদের কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানো হবে। করোনার টিকার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ডোজ প্রায় সম্পন্ন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) তাপস কুমার পাল বলেন, খুলনা জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। গত মাস থেকে এপর্যন্ত ৫২টি মামলা হয়েছে, নিষ্পপ্তি হয়েছে আটটি। মাহে রমজান উপলক্ষে বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনশত ছয়জন ওয়ারেন্ট আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয় এমন গুজব না ছড়ায় এর জন্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজর রাখা হচ্ছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, খুলনা জেলায় অনাবাদি পতিত জমি আছে ১০ হাজার ৯৭৫ হেক্টর এর মধ্যে ১৩ শতাংশ জমিকে নতুন করে চাষের আওতায় আনা হয়েছে। চলমান বোরো মৌসুমে জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আবাদ হয়েছে। খুলনা জেলায় ৭০ হাজারের বেশি কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে দুই হাজার কৃষকের মাঝে পাটবীজ বিতরণ করা হবে।
সভাপতির বক্তৃতায় জেলা প্রশাসক বলেন, মাহে রজমানে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ রাখতে বাজার মনিটরিং জোরদার করা হবে। ভেজাল খাদ্যদ্রব্য যেন বিক্রি না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নজর রাখতে বলেন। উপকূলীয় অঞ্চলের কৃষি জমিতে নদীর লবণক্ত পানি প্রবেশ করতে না পারে সে দিকে নজর রাখা প্রয়োজন। সরকারের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রমগুলো যথাসময়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা করতে হবে। সরকারি সকল দপ্তরের মধ্যে কাজের মধ্যে সমন্বয় থাকতে হবে।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কুমার মন্ডল, বিভিন্ন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।