ঢাকা ০৮:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ জুলাই ২০২৪, ৫ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা Logo ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা’র সহধর্মীনি এডভোকেট সিগমা হুদার ইন্তেকাল Logo আমতলীতে ২য় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক আটক Logo বাঘাইছড়িতে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ মিছিল Logo সরাইলে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ Logo ভাঙ্গায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৩ আহত ৪০ Logo রূপসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ Logo সদরপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া Logo যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাসিম এর মুত‍্যু বার্ষিকী পালিত

খেলা দেখতে স্কুলের ল্যাপটপ-প্রজেক্টর না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর

শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা -ফ্রান্স ফাইনাল খেলা দেখার জন্য ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর না দেওয়ায় এক স্কুল শিক্ষককে চড় থাপ্পড় দিয়ে লাঞ্চিত করেছে ইউপি সদস্যসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ওই ইউপি সদস্য রাকিব হাসানের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। লাঞ্চিত শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তিল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। রোববার বেলা ১১ টার দিকে ওই বিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, রোববার বেলা ১১ টার দিকে তিনি স্কুলের অফিস কক্ষে বসে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরির কাজ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন তার অফিসে প্রবেশ করে। তারা বিশ^কাপের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য স্কুলের প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ দাবি করে। তিনি তাদেরকে বলেন, ল্যাপটপে রেজাল্ট তৈরির কাজ চলছে। ফলে দেয়া যাবে না। তাছাড়া এটি স্কুলের অভন্তরিন জিনিস এটি তিনি দিতে পারেন না। দিলে সেটি প্রধান শিক্ষকের এখতিয়ার।
এরপর প্রজেক্টর না দেওয়ায় তারা উচ্চ স্বরে প্রথমে গালমন্দ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য রাকিব আমাকে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। এ সময় তার সাথে থাকা হামিদুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন ও মাসুম আমাকে টেনে হিচড়ে স্কুলের বাইরে নিয়ে যায়।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাকিব হাসান জানান, প্রধান শিক্ষক আমাকে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর দিতে চেয়েছিল। তাই আমরা স্কুলে গিয়েছিলাম কিন্তু শিক্ষক আনোয়ার হোসেন দিতে চাইনি। এরপর আমরা চলে এসেছি। তাকে মেরেছি এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
তিল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম জানান, ঘটনা যখন ঘটে তখন তিনি স্কুলে ছিলেন না। পরে স্কুলে গিয়ে জানতে পারেন ওই শিক্ষককে লাঞ্চিত করা হয়েছে। তখন তিনি শিক্ষক আনোয়ারকে স্কুলে নিয়ে এসে ঘটনাটি শুনেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাহিন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই শিক্ষককে লাঞ্জিত করার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন তারা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন। তবে শিক্ষককে লাঞ্চিত করাটা দুঃখজনক।
কালীগঞ্জ থানার এস আই সিকান্দার আবু জাফর জানান, দুপুরে ওই শিক্ষক থানায় একটি জিডি করেছেন। এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

খেলা দেখতে স্কুলের ল্যাপটপ-প্রজেক্টর না দেওয়ায় শিক্ষককে মারধর

আপডেট সময় ০২:৩০:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২২

শাহিনুর রহমান পিন্টু, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা -ফ্রান্স ফাইনাল খেলা দেখার জন্য ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর না দেওয়ায় এক স্কুল শিক্ষককে চড় থাপ্পড় দিয়ে লাঞ্চিত করেছে ইউপি সদস্যসহ তার সহযোগীরা। এ ঘটনায় ওই ইউপি সদস্য রাকিব হাসানের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। লাঞ্চিত শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার তিল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। রোববার বেলা ১১ টার দিকে ওই বিদ্যালয় চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
শিক্ষক আনোয়ার হোসেন জানান, রোববার বেলা ১১ টার দিকে তিনি স্কুলের অফিস কক্ষে বসে বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল তৈরির কাজ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য রাকিব হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন তার অফিসে প্রবেশ করে। তারা বিশ^কাপের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য স্কুলের প্রজেক্টর ও ল্যাপটপ দাবি করে। তিনি তাদেরকে বলেন, ল্যাপটপে রেজাল্ট তৈরির কাজ চলছে। ফলে দেয়া যাবে না। তাছাড়া এটি স্কুলের অভন্তরিন জিনিস এটি তিনি দিতে পারেন না। দিলে সেটি প্রধান শিক্ষকের এখতিয়ার।
এরপর প্রজেক্টর না দেওয়ায় তারা উচ্চ স্বরে প্রথমে গালমন্দ করতে থাকে। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্য রাকিব আমাকে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে। এ সময় তার সাথে থাকা হামিদুল ইসলাম, সাদ্দাম হোসেন ও মাসুম আমাকে টেনে হিচড়ে স্কুলের বাইরে নিয়ে যায়।
তবে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাকিব হাসান জানান, প্রধান শিক্ষক আমাকে ল্যাপটপ ও প্রজেক্টর দিতে চেয়েছিল। তাই আমরা স্কুলে গিয়েছিলাম কিন্তু শিক্ষক আনোয়ার হোসেন দিতে চাইনি। এরপর আমরা চলে এসেছি। তাকে মেরেছি এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
তিল্লা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলাম জানান, ঘটনা যখন ঘটে তখন তিনি স্কুলে ছিলেন না। পরে স্কুলে গিয়ে জানতে পারেন ওই শিক্ষককে লাঞ্চিত করা হয়েছে। তখন তিনি শিক্ষক আনোয়ারকে স্কুলে নিয়ে এসে ঘটনাটি শুনেন।
উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) শাহিন আক্তার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ওই শিক্ষককে লাঞ্জিত করার ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এখন তারা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন। তবে শিক্ষককে লাঞ্চিত করাটা দুঃখজনক।
কালীগঞ্জ থানার এস আই সিকান্দার আবু জাফর জানান, দুপুরে ওই শিক্ষক থানায় একটি জিডি করেছেন। এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।