ঢাকা ১২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি Logo বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে শক্তিশালী রাষ্ট্র গড়ার লক্ষ্যে চীন Logo ইউনিট ৭৩১: সংগঠিত রাষ্ট্রীয় অপরাধের অকাট্য প্রমাণ Logo আবুধাবিতে ওয়াং ই–শেখ আবদুল্লাহ বৈঠক Logo ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১: বিজয়ের একেবারে দ্বারপ্রান্তে—রণাঙ্গনে চূড়ান্ত আঘাতের দিন Logo বুড়িচং উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগ নেতা গ্রেফতার Logo বিএনপি-জামায়াত নিধন করা ওসি জাবীদ এখন ঝিনাইদহ পিবিআইতে Logo সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ জাহাঙ্গীর আলম, পিতৃহারা হলো তিন বছরের ইরফান Logo রক্তের কালিতে লেখা ১৪ ডিসেম্বর—শোক ও গৌরবের শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস Logo হাদির উপর গুলির ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন থেকে ফেরার পথে ২ জনকে কুপিয়ে জখম

বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

গোদাগাড়ীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে বিজিবির কাছ থেকে মহিষ ছিনতাই

মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে দুটি ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে মহিষ ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে। পরে দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিজিবি রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পের মো. শাহ আলম বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মো. মুকুল (৫৫), তার ছেলে হাসান (২৮), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. আক্কাশ (৫৯), তার জামাতা মো. জীবন (৩৩), মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. বাবলু (৫০), তার ছেলে মো. ডলার (৩২), একই গ্রামের নয়ন (৩৫), বিজয়নগর গ্রামের হামিদ (৩৫), মো. জনি (৩৫), তার ভাই মো. টনি (৩৩), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. জনি (৪০) ও পবার গহমাবোনা গ্রামের সিজার (৩০)।

এদের মধ্যে জনি ও টনি দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই টুনুর ছেলে। ৫ আগস্টের পর তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপকর্মের অভিযোগ আছে। আক্কাস দেওপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। বাবলু ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

ঘাটিয়াল বাবলু চোরাপথে ভারতীয় গরু-মহিষ আনার ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ আছে। নয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। পবা থেকে যাওয়া সিজারও ঘাটিয়াল এবং হুণ্ডি কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিজিবি সদস্যরা খবর পায় যে নাজিরপুর গ্রামের গরু-মহিষের ব্যবসায়ী মুকুল ভারত থেকে চোরাই পথে দুটি মহিষ এনে বাড়ির পাশের জঙ্গলে রেখেছে। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা অভিযানে যায়। তখন মুকুল কৌশলে পালিয়ে যায়। মুকুলকে না পেলেও বিজিবি সদস্যরা মহিষ দুটি জব্দ করে গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পে আসছিল।

আসার পথে রাজাবাড়ী এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র, অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করে এবং মহিষ নিয়ে যেতে বাধা দেয়।

তারা হুমকি দেয়, মহিষ ছেড়ে না দিলে বিজিবি সদস্যদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে। এক পর্যায়ে তারা অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের অস্ত্র ঠেকিয়ে ধাক্কা দেয় এবং কিল-ঘুষি মেরে টেনেহিঁচড়ে মহিষ দুটি ছিনিয়ে নেয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর এ মামলা করা হয়।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আক্কাশের মোবাইলে ফোন করা হলে তার ভাই মো. শরীফ ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই বাড়িতে নাই। মহিষ নিয়ে আসলে কী হয়েছে আমি সঠিক বলতে পারব না।’

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘বিজিবিকে মারধর করে ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা ছিনিয়ে নেওয়া মহিষ দুটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের অর্থনীতি: চাপ সামলেও শক্তিশালী অগ্রগতি

SBN

SBN

বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে

গোদাগাড়ীতে অস্ত্র ঠেকিয়ে বিজিবির কাছ থেকে মহিষ ছিনতাই

আপডেট সময় ১২:১৪:৪৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের অস্ত্র ঠেকিয়ে মারধর করে দুটি ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি ও যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে মহিষ ছিনতাইয়ের এ ঘটনা ঘটে। পরে দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বিজিবি রাজশাহীর ১ ব্যাটালিয়নের রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পের মো. শাহ আলম বাদী হয়ে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেছেন।

মামলার আসামিরা হলেন উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের মো. মুকুল (৫৫), তার ছেলে হাসান (২৮), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. আক্কাশ (৫৯), তার জামাতা মো. জীবন (৩৩), মোল্লাপাড়া গ্রামের মো. বাবলু (৫০), তার ছেলে মো. ডলার (৩২), একই গ্রামের নয়ন (৩৫), বিজয়নগর গ্রামের হামিদ (৩৫), মো. জনি (৩৫), তার ভাই মো. টনি (৩৩), বিয়ানাবোনা গ্রামের মো. জনি (৪০) ও পবার গহমাবোনা গ্রামের সিজার (৩০)।

এদের মধ্যে জনি ও টনি দেওপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদুল হাই টুনুর ছেলে। ৫ আগস্টের পর তাদের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপকর্মের অভিযোগ আছে। আক্কাস দেওপাড়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য ও ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি। বাবলু ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি।

ঘাটিয়াল বাবলু চোরাপথে ভারতীয় গরু-মহিষ আনার ব্যবস্থা করেন বলে অভিযোগ আছে। নয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। পবা থেকে যাওয়া সিজারও ঘাটিয়াল এবং হুণ্ডি কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বিজিবি সদস্যরা খবর পায় যে নাজিরপুর গ্রামের গরু-মহিষের ব্যবসায়ী মুকুল ভারত থেকে চোরাই পথে দুটি মহিষ এনে বাড়ির পাশের জঙ্গলে রেখেছে। খবর পেয়ে বিজিবি সদস্যরা অভিযানে যায়। তখন মুকুল কৌশলে পালিয়ে যায়। মুকুলকে না পেলেও বিজিবি সদস্যরা মহিষ দুটি জব্দ করে গোদাগাড়ী উপজেলার রাজাবাড়ী বিশেষ ক্যাম্পে আসছিল।

আসার পথে রাজাবাড়ী এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র, অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের ওপর হামলা করে এবং মহিষ নিয়ে যেতে বাধা দেয়।

তারা হুমকি দেয়, মহিষ ছেড়ে না দিলে বিজিবি সদস্যদের লাশ ফেলে দেওয়া হবে। এক পর্যায়ে তারা অতর্কিতভাবে বিজিবি সদস্যদের অস্ত্র ঠেকিয়ে ধাক্কা দেয় এবং কিল-ঘুষি মেরে টেনেহিঁচড়ে মহিষ দুটি ছিনিয়ে নেয়। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর এ মামলা করা হয়।

ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে থাকায় তাদের সঙ্গে কথা বলা যায়নি। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা আক্কাশের মোবাইলে ফোন করা হলে তার ভাই মো. শরীফ ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভাই বাড়িতে নাই। মহিষ নিয়ে আসলে কী হয়েছে আমি সঠিক বলতে পারব না।’

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘বিজিবিকে মারধর করে ভারতীয় মহিষ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা ছিনিয়ে নেওয়া মহিষ দুটি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।