ঢাকা ০৫:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে চাই : ওয়াং ই

  • আন্তর্জাতিক:
  • আপডেট সময় ০৮:২১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫১ বার পড়া হয়েছে

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ১৬ই ফেব্রুয়ারি গত শনিবার মিউনিখে জার্মান চ্যান্সেল ওলাফ শোলৎজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাকাৎকালে ওয়াং ই বলেন, কৌশলগত অংশীদার হিসেবে, চীন ও জার্মানি এবং চীন ও ইউরোপের উচিত ঐক্য, সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করা, মুক্ত বাণিজ্য নীতি মেনে চলা, বহুপাক্ষিকতা অনুশীলন করা এবং জাতিসংঘের কর্তৃত্ব রক্ষা করা। বহুমেরু বিশ্বে জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বাগত জানায় চীন। চীন জার্মানীর সাথে সার্বিক সহযোগিতা আরও গভীর করতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে, বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং একটি অশান্ত বিশ্বের জন্য আরও নিশ্চয়তা প্রদান করতে ইচ্ছুক।

ওয়াং ই বলেন, এ বছর হলো দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী। চীনা বৈদ্যুতিক যানবাহনের উপর ইইউ শুল্ক আরোপের বিষয়ে জার্মানির যুক্তিসঙ্গত এবং বাস্তববাদী মনোভাবের প্রশংসা করে চীন। আশা করা যায়, জার্মানি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চীন-ইইউ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন সমস্যা সঠিকভাবে সমাধানে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।

শোলৎজ বলেন, জার্মানি চীনের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় ও সকল স্তরে চীনের সাথে বিনিময়, সংলাপ ও যোগাযোগ জোরদার করতে এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করতে ইচ্ছুক। জার্মানি সুরক্ষাবাদের বিরোধিতা করে এবং শুল্কযুদ্ধের সাথে একমত নয়। ইইউ ও চীনের গঠনমূলক মনোভাব গ্রহণ করা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বৈদ্যুতিক যানবাহন নিয়ে বিরোধ সঠিকভাবে সমাধান করা এবং যৌথভাবে মুক্ত-বাণিজ্য ব্যবস্থা বজায় রাখার আশা প্রকাশ করে জার্মানি। তাঁরা ইউক্রেনের সংঘর্ষ নিয়ে মত বিনিময় করেন।

সূত্র: ছাই-হাশিম-ওয়াং হাইমান, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।

ট্যাগস
জনপ্রিয় সংবাদ

চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে চাই : ওয়াং ই

আপডেট সময় ০৮:২১:১৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ১৬ই ফেব্রুয়ারি গত শনিবার মিউনিখে জার্মান চ্যান্সেল ওলাফ শোলৎজের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাকাৎকালে ওয়াং ই বলেন, কৌশলগত অংশীদার হিসেবে, চীন ও জার্মানি এবং চীন ও ইউরোপের উচিত ঐক্য, সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করা, মুক্ত বাণিজ্য নীতি মেনে চলা, বহুপাক্ষিকতা অনুশীলন করা এবং জাতিসংঘের কর্তৃত্ব রক্ষা করা। বহুমেরু বিশ্বে জার্মানির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে স্বাগত জানায় চীন। চীন জার্মানীর সাথে সার্বিক সহযোগিতা আরও গভীর করতে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ইতিবাচক উন্নয়নকে উৎসাহিত করতে, বিশ্বব্যাপী শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এবং একটি অশান্ত বিশ্বের জন্য আরও নিশ্চয়তা প্রদান করতে ইচ্ছুক।

ওয়াং ই বলেন, এ বছর হলো দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী। চীনা বৈদ্যুতিক যানবাহনের উপর ইইউ শুল্ক আরোপের বিষয়ে জার্মানির যুক্তিসঙ্গত এবং বাস্তববাদী মনোভাবের প্রশংসা করে চীন। আশা করা যায়, জার্মানি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চীন-ইইউ অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য দ্বন্দ্বসহ বিভিন্ন সমস্যা সঠিকভাবে সমাধানে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।

শোলৎজ বলেন, জার্মানি চীনের সাথে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় ও সকল স্তরে চীনের সাথে বিনিময়, সংলাপ ও যোগাযোগ জোরদার করতে এবং দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কৌশলগত সহযোগিতা আরও গভীর করতে ইচ্ছুক। জার্মানি সুরক্ষাবাদের বিরোধিতা করে এবং শুল্কযুদ্ধের সাথে একমত নয়। ইইউ ও চীনের গঠনমূলক মনোভাব গ্রহণ করা, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বৈদ্যুতিক যানবাহন নিয়ে বিরোধ সঠিকভাবে সমাধান করা এবং যৌথভাবে মুক্ত-বাণিজ্য ব্যবস্থা বজায় রাখার আশা প্রকাশ করে জার্মানি। তাঁরা ইউক্রেনের সংঘর্ষ নিয়ে মত বিনিময় করেন।

সূত্র: ছাই-হাশিম-ওয়াং হাইমান, চায়না মিডিয়া গ্রুপ।