![](https://muktirlorai.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মাদারগঞ্জ স্পেশাল নামে একটি যাত্রীবাহী চলন্ত বাসে যাত্রীদের জিম্মি করে স্বর্ণের চেইন,মোবাইল ফোন সহ ডাকাতি করে লুটপাটের সময় প্রতিবাদ করায় ৭ যাত্রীকে পিটিয়ে আহতের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আটজনের মধ্যে ৪ যুবককে গ্রেফতার করেছে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ।
বুধবার (৫ মার্চ) টাঙ্গাইল ও গাজীপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এদের কাছ থেকে একটি ছুরি ও একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার দলপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে মো. রতন (২১) একই উপজেলার মাইজবাড়ী গ্রামের জহু মিয়ার ছেলে আরিফ হোসেন (২৬) ভূঞাপুর উপজেলার ফলদা গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৫) এবং রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার খেরুয়া আলম গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে সুজন মিয়া (২২)। ডাকাতির ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ।
জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাদারগঞ্জ স্পেশাল পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি ঢাকা থেকে জামালপুরের মাদারগঞ্জে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে আটজনের ডাকাত দল যাত্রীবেশে গাড়িতে ওঠে। গত ৩ এপ্রিল রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। যাত্রীবেশে আটজন ডাকাত টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের ঘাটাইল উপজেলার মাতাবাড়ী জোড়া ব্রিজ নামক স্থানে পৌঁছালে অস্ত্রের মুখে বাসটি নিয়ন্ত্রণ নেয়।এরপর যাত্রীদের কাছে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণের চেইন ও মোবাইল ফোন নিয়ে পরে ডাকাত দল মধুপুরের রক্তিপাড়ার উত্তর পাশে নরকোণা এলাকায় নেমে পালিয়ে যায়। ডাকাতিকালে যাত্রীরা প্রতিবাদ করার চেষ্টা করলে ডাকাতদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে কয়েকজন আহত হন। ঘটনার পরে আরিফুর রহমান নামের বাসের এক যাত্রী মধুপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। মধুপুর থানা এবং টাঙ্গাইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) সমন্বয়ে একটি দল জড়িতদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান চালায়।
টাঙ্গাইল জেলা পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রথমে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করা হয়। বুধবার সকালে মো. রতনকে টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার মনতলা গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে লুণ্ঠিত একটি মোবাইল ফোন ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়। পরে রতনের দেওয়া তথ্যমতে সুজন মিয়া ও আরিফ হোসেনকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর উড়াল সেতুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দুপুর ১টার দিকে সাইফুল ইসলামকে আশুলিয়ার ফ্যান্টাসি কিংডমের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত ডাকাতির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তারা ৮ জন ডাকাতিতে অংশ নেন বলে জানিয়েছেন। ওই বাসে ৫০ জন যাত্রী ছিল। তারা ১৩টি মোবাইল ফোন, একটি স্বর্ণের চেইনসহ প্রায় ৩ লাখ টাকার মালামাল লুটপাত ও হামলা করে। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) গ্রেফতারকৃতদের আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হবে।