ঢাকা ০৮:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তালতলীতে স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী পেলেন দুস্থদের ভিজিডি কার্ড

বরগুনার তালতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের স্ত্রীর নামে দুস্থদের ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর্থিক স্বচ্ছল এই পরিবার প্রতি মাসে ভিজিডির ৩০ কেজি করে চাল তুললেও বঞ্চিত হচ্ছেন অসহায় ও দুস্থরা। হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ভিজিডি কার্ড বিতরণে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে তালতলীর বড়বগী ইউনিয়নে।

প্রাপ্ত অভিযোগ থেকে জানা যায়,উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহ নেওয়াজ সেলিম মেনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার স্ত্রী সালমা বেগমের নামে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভিজিডি কার্ড হয়েছে। তিনি এই ভিজিডি কার্ড দিয়ে চালও তুলে নিচ্ছেন।এলাকার এক হত দরিদ্র ভুক্তভোগী এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার তিনসন্তান থাকলেও আয়-রোজগারের করার কোনো মাধ্যম নেই।অথচ তার নামে ভিজিডি নেই। তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীর স্ত্রীও ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের চূড়ান্ত তালিকায় ৩ নং ওয়ার্ডের তালুকদার পাড়া গ্রামে ৪২ নম্বর সিরিয়ালে ভিজিডির কার্ডধারী সালমা বেগমের নামে একটি ভিজিডি কার্ড রয়েছে। সেই কার্ড থেকে ২০২৩-২৪ সালের ভিজিডির চালও পাচ্ছেন। সালমা বেগমের পরিবার বেশ স্বচ্ছল।স্বামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

এবিষয়ে বড়বগী ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন (আলম মুন্সী) বলেন,তিনি এ তালিকা করেননি এ তালিকা করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।এ বিষয়ে তিনি বলতে পারবেন।

তালতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল বলেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া অভিযোগ পাওয়ার পরে ঐ শিক্ষকের স্ত্রীর নামের ভিজিডির কার্ডটি বাতিল করা হবে। নতুন কারও নামে কার্ড তৈরি করা হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, এইটাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন, ভিজিডি কার্ডের নামের তালিকা দেওয়ার সময় ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী সুপারিশ করা হয়েছে। ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নাম থাকে না। এজন্য এই ভুল গুলো হয়। তিনি আরও বলেন পরিচয় গোপন করে এমন কিছু হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

তালতলীতে স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী পেলেন দুস্থদের ভিজিডি কার্ড

আপডেট সময় ০২:৪৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

বরগুনার তালতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের স্ত্রীর নামে দুস্থদের ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর্থিক স্বচ্ছল এই পরিবার প্রতি মাসে ভিজিডির ৩০ কেজি করে চাল তুললেও বঞ্চিত হচ্ছেন অসহায় ও দুস্থরা। হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ভিজিডি কার্ড বিতরণে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে তালতলীর বড়বগী ইউনিয়নে।

প্রাপ্ত অভিযোগ থেকে জানা যায়,উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহ নেওয়াজ সেলিম মেনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার স্ত্রী সালমা বেগমের নামে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভিজিডি কার্ড হয়েছে। তিনি এই ভিজিডি কার্ড দিয়ে চালও তুলে নিচ্ছেন।এলাকার এক হত দরিদ্র ভুক্তভোগী এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার তিনসন্তান থাকলেও আয়-রোজগারের করার কোনো মাধ্যম নেই।অথচ তার নামে ভিজিডি নেই। তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীর স্ত্রীও ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের চূড়ান্ত তালিকায় ৩ নং ওয়ার্ডের তালুকদার পাড়া গ্রামে ৪২ নম্বর সিরিয়ালে ভিজিডির কার্ডধারী সালমা বেগমের নামে একটি ভিজিডি কার্ড রয়েছে। সেই কার্ড থেকে ২০২৩-২৪ সালের ভিজিডির চালও পাচ্ছেন। সালমা বেগমের পরিবার বেশ স্বচ্ছল।স্বামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

এবিষয়ে বড়বগী ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন (আলম মুন্সী) বলেন,তিনি এ তালিকা করেননি এ তালিকা করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।এ বিষয়ে তিনি বলতে পারবেন।

তালতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল বলেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া অভিযোগ পাওয়ার পরে ঐ শিক্ষকের স্ত্রীর নামের ভিজিডির কার্ডটি বাতিল করা হবে। নতুন কারও নামে কার্ড তৈরি করা হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, এইটাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন, ভিজিডি কার্ডের নামের তালিকা দেওয়ার সময় ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী সুপারিশ করা হয়েছে। ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নাম থাকে না। এজন্য এই ভুল গুলো হয়। তিনি আরও বলেন পরিচয় গোপন করে এমন কিছু হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।