ঢাকা ০৫:৪৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২২ জুলাই ২০২৪, ৬ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা Logo ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা’র সহধর্মীনি এডভোকেট সিগমা হুদার ইন্তেকাল Logo আমতলীতে ২য় শ্রেণির মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ, ধর্ষক আটক Logo বাঘাইছড়িতে ছাত্রলীগের প্রতিবাদ মিছিল Logo সরাইলে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের সাথে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ Logo ভাঙ্গায় দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-৩ আহত ৪০ Logo রূপসায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন Logo শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরাদনগরে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ Logo সদরপুরে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সাথে পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া Logo যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাসিম এর মুত‍্যু বার্ষিকী পালিত

তালতলীতে স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী পেলেন দুস্থদের ভিজিডি কার্ড

বরগুনার তালতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের স্ত্রীর নামে দুস্থদের ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর্থিক স্বচ্ছল এই পরিবার প্রতি মাসে ভিজিডির ৩০ কেজি করে চাল তুললেও বঞ্চিত হচ্ছেন অসহায় ও দুস্থরা। হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ভিজিডি কার্ড বিতরণে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে তালতলীর বড়বগী ইউনিয়নে।

প্রাপ্ত অভিযোগ থেকে জানা যায়,উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহ নেওয়াজ সেলিম মেনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার স্ত্রী সালমা বেগমের নামে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভিজিডি কার্ড হয়েছে। তিনি এই ভিজিডি কার্ড দিয়ে চালও তুলে নিচ্ছেন।এলাকার এক হত দরিদ্র ভুক্তভোগী এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার তিনসন্তান থাকলেও আয়-রোজগারের করার কোনো মাধ্যম নেই।অথচ তার নামে ভিজিডি নেই। তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীর স্ত্রীও ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের চূড়ান্ত তালিকায় ৩ নং ওয়ার্ডের তালুকদার পাড়া গ্রামে ৪২ নম্বর সিরিয়ালে ভিজিডির কার্ডধারী সালমা বেগমের নামে একটি ভিজিডি কার্ড রয়েছে। সেই কার্ড থেকে ২০২৩-২৪ সালের ভিজিডির চালও পাচ্ছেন। সালমা বেগমের পরিবার বেশ স্বচ্ছল।স্বামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

এবিষয়ে বড়বগী ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন (আলম মুন্সী) বলেন,তিনি এ তালিকা করেননি এ তালিকা করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।এ বিষয়ে তিনি বলতে পারবেন।

তালতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল বলেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া অভিযোগ পাওয়ার পরে ঐ শিক্ষকের স্ত্রীর নামের ভিজিডির কার্ডটি বাতিল করা হবে। নতুন কারও নামে কার্ড তৈরি করা হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, এইটাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন, ভিজিডি কার্ডের নামের তালিকা দেওয়ার সময় ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী সুপারিশ করা হয়েছে। ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নাম থাকে না। এজন্য এই ভুল গুলো হয়। তিনি আরও বলেন পরিচয় গোপন করে এমন কিছু হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

কুমিল্লা- সিলেট মহাসড়ক অবরুদ্ধ করে রেখেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা

তালতলীতে স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী পেলেন দুস্থদের ভিজিডি কার্ড

আপডেট সময় ০২:৪৫:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ এপ্রিল ২০২৩

বরগুনার তালতলীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের স্ত্রীর নামে দুস্থদের ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আর্থিক স্বচ্ছল এই পরিবার প্রতি মাসে ভিজিডির ৩০ কেজি করে চাল তুললেও বঞ্চিত হচ্ছেন অসহায় ও দুস্থরা। হতদরিদ্র পরিবারের জন্য বরাদ্দকৃত সরকারি ভিজিডি কার্ড বিতরণে এমন অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে তালতলীর বড়বগী ইউনিয়নে।

প্রাপ্ত অভিযোগ থেকে জানা যায়,উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের তিন নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহ নেওয়াজ সেলিম মেনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। তার স্ত্রী সালমা বেগমের নামে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ভিজিডি কার্ড হয়েছে। তিনি এই ভিজিডি কার্ড দিয়ে চালও তুলে নিচ্ছেন।এলাকার এক হত দরিদ্র ভুক্তভোগী এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তার তিনসন্তান থাকলেও আয়-রোজগারের করার কোনো মাধ্যম নেই।অথচ তার নামে ভিজিডি নেই। তবে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবীর স্ত্রীও ভিজিডি কার্ড পেয়েছেন।
মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের চূড়ান্ত তালিকায় ৩ নং ওয়ার্ডের তালুকদার পাড়া গ্রামে ৪২ নম্বর সিরিয়ালে ভিজিডির কার্ডধারী সালমা বেগমের নামে একটি ভিজিডি কার্ড রয়েছে। সেই কার্ড থেকে ২০২৩-২৪ সালের ভিজিডির চালও পাচ্ছেন। সালমা বেগমের পরিবার বেশ স্বচ্ছল।স্বামী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

এবিষয়ে বড়বগী ইউপি পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন (আলম মুন্সী) বলেন,তিনি এ তালিকা করেননি এ তালিকা করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান।এ বিষয়ে তিনি বলতে পারবেন।

তালতলী উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রূপ কুমার পাল বলেন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চূড়ান্ত তালিকা তৈরি করা হয়েছে। তাছাড়া অভিযোগ পাওয়ার পরে ঐ শিক্ষকের স্ত্রীর নামের ভিজিডির কার্ডটি বাতিল করা হবে। নতুন কারও নামে কার্ড তৈরি করা হবে।

তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা ভিজিডি কমিটির সভাপতি সিফাত আনোয়ার তুমপা বলেন, এইটাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট আসার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো স্বজনপ্রীতি হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবির জোমাদ্দার বলেন, ভিজিডি কার্ডের নামের তালিকা দেওয়ার সময় ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী সুপারিশ করা হয়েছে। ভোটার আইডি কার্ডে স্বামীর নাম থাকে না। এজন্য এই ভুল গুলো হয়। তিনি আরও বলেন পরিচয় গোপন করে এমন কিছু হয়ে থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।