ঢাকা ১২:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo চীনের উন্নয়নমুখী সরবরাহ-শৃঙ্খল বিদেশীদের জন্য নতুন সুযোগ Logo মার্কোস সরকার চীনের প্রতি পূর্ববর্তী সরকারের বাস্তববাদী নীতি পরিত্যাগ করেছে Logo বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ, ৭ দফায় জোর দাবি Logo জুলাই-আগষ্টের শহিদের স্মরণে ও আহতদের সু-স্বাস্থ্য কামনায় ঝিনাইগাতীতে দোয়া অনুষ্ঠিত Logo ফকিরহাটে ১২০০পিস ইয়াবাসহ এক নারী মাদক কারবারি আটক Logo সিলেটে এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার Logo চান্দিনায় ‘এক শহীদ, এক বৃক্ষ’ রোপণ কর্মসূচি পালিত Logo লালমনিরহাটে জাসাস এর মানববন্ধন Logo জুলাই- আগষ্ট গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীগনের স্মরণে বরুড়ায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিতউপলক্ষে Logo জাজিরায় হিরোইন ও গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ী আটক

থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

  • ডেস্ক রিপোর্টঃ
  • আপডেট সময় ১১:৩৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • ১৮২ বার পড়া হয়েছে

থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

‘থার্টি ফার্স্ট নাইট ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ঢাকা মহানগরীর নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।’

‘আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায়  তিনি এ সহযোগিতা চান। ‘

‘সভায় ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। ‘এ ছাড়া ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হয়ে থাকে। ‘এই দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ‘উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সকল নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’

‘সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। ‘

‘বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রাখা। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। ‘মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। ‘অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। ‘এ ছাড়া নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। ‘চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। ‘চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে প্রবেশ করা যাবে না।’

‘অন্যদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হবে। ‘কোনো উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। ‘পরিচয়পত্র ছাড়া এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ‘গুলশান, হাতিরঝিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ‘এ ছাড়া উৎসব দুটি উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে।’

‘উৎসব দুটি সুষ্ঠুভাবে উদযাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় উপস্থিত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন ও পরামর্শ দেন।’

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের উন্নয়নমুখী সরবরাহ-শৃঙ্খল বিদেশীদের জন্য নতুন সুযোগ

SBN

SBN

থার্টি ফার্স্ট নাইটের নিরাপত্তা নিয়ে যা বললেন ডিএমপি কমিশনার

আপডেট সময় ১১:৩৪:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

‘থার্টি ফার্স্ট নাইট ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ঢাকা মহানগরীর নাগরিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।’

‘আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপি সদর দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তৃতায়  তিনি এ সহযোগিতা চান। ‘

‘সভায় ডিএমপি কমিশনার সাজ্জাত আলী বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। ‘এ ছাড়া ইংরেজি ক্যালেন্ডারের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর দেশব্যাপী থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন হয়ে থাকে। ‘এই দুটি বড় উৎসবকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিএমপি নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ‘উৎসবগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সকল নগরবাসীর কাছে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’

‘সমন্বয় সভার শুরুতে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপারেশনস্) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব বড়দিন ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। ‘

‘বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে প্রত্যেকটি চার্চে ইউনিফর্মে ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রাখা। প্রতিটি চার্চে আর্চওয়ে দিয়ে দর্শনার্থীকে প্রবেশ করতে হবে। ‘মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশি করা হবে। ‘অনুষ্ঠানস্থল ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে। ‘এ ছাড়া নিরাপত্তায় থাকবে ফায়ার সার্ভিস ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যবস্থা। ‘চার্চ এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা থাকবে। ‘চার্চ এলাকায় কোনো ভাসমান দোকান বা হকার বসতে দেওয়া হবে না। কোনো প্রকার ব্যাগ নিয়ে চার্চে প্রবেশ করা যাবে না।’

‘অন্যদিকে থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিয়মিত টহল ও চেকপোস্ট বৃদ্ধির পাশাপাশি পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হবে। ‘কোনো উন্মুক্ত স্থানে আতশবাজি, পটকা ও ফানুস উড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। ‘পরিচয়পত্র ছাড়া এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ‘গুলশান, হাতিরঝিল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সমন্বিত ট্রাফিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ‘এ ছাড়া উৎসব দুটি উপলক্ষে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির পাশাপাশি গুজব ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সাইবার পেট্রোলিং জোরদারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো মনিটরিং করা হবে।’

‘উৎসব দুটি সুষ্ঠুভাবে উদযাপন ও সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বয় সভায় উপস্থিত বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, সশস্ত্র বাহিনী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, ঢাকা ওয়াসা, ডিপিডিসি, ফায়ার সার্ভিসসহ সরকারের বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মূল্যবান মতামত তুলে ধরেন ও পরামর্শ দেন।’