এম.ডি.এন.মাইকেল
৪ই সেপ্টেম্বর -২৪ইং তারিখে দৈনিক মুক্তি লড়াই পত্রিকার অন-লাইন ভার্সন ও প্রিন্ট ভার্সনে দুর্নীতির যুবরাজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর দুর্নীতির যুবরাজ খ্যাত সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে বলেন সাংবাদিক সাহেব আপনি আমার অনিয়ম দুর্নীতির যেই সংবাদটি প্রকাশিত করেছেন সেই সাংবাদটি আপনাদের দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার অনলাইন ভার্সন থেকে সরিয়ে ফেলুন কারণ আপনার প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর আমার অফিসের বস আমাকে অনেক গালমন্দ করেছেন।
তিনি আরও বলেন আমার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদটি কেন মন্ত্রণালয় পাঠালেন।সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলামকে প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন আপনার অনিয়ম দুর্নীতির প্রকাশিত সংবাদটি কি মিথ্যে? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়ে, উল্টো তিনি প্রতিবেদককে বলেন আপনি আমার ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের কোন কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির আর কোনো সংবাদ প্রকাশিত করবেন না এই জন্য আমরা আপনাকে একটা সম্মানজন অনারিয়াম প্রদান করব! দুর্নীতির যুবরাজ খ্যাত সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম এর এমন বক্তব্যে একটা বিষয় দিনের আলোর মত পরিষ্কার যে সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয় রয়েছে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট।
প্রশ্ন জাগে সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম তার এবং তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সদস্যদের অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত না করার জন্য সন্তোষজনক অনারিয়াম বলতে কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়। সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলামের অনিয়ম-দুর্নীতির সাংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তার অনিয়ম দুর্নীতির ঠিকাদার সিন্ডিকেট সদস্য,সাংবাদিক,রাজনৈতিক নেতা গংরা প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে দুর্নীতির যুবরাজ খ্যাত যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সহকারি প্রকৌশলী আনিসুল ইসলামের অনিয়ম দুর্নীতির সাংবাদটি সরিয়ে ফেলার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করেন।
প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে চাপ সৃষ্টি করা সেই সকল ব্যক্তি ও সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলামের কথোপকথন এর রেকর্ড সংরক্ষিত।
বিগত সরকারের আমলে সরকারি আধা সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলোতে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কারণে প্রতিটা সেক্টরে দুর্নীতিবাজরা নিজেদের ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সেই সকল প্রতিষ্ঠানগুলোর কতিপয় কর্মকর্তা কর্মচারীরা দুর্নীতির সিন্ডিকেট তৈরী করে হাতিয়ে নিয়েছেন দেশের লক্ষ কোটি টাকার উপরে। বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠনের পর থেকে একে একে বেরিয়ে আসছে বিভিন্ন সেক্টরের দুর্নীতিবাজদের অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি।তেমনি এইবার বেরিয়ে আসছে আরেক মহাদুর্নীতিবাজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের দুর্নীতির যুবরাজ খ্যাত সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলামের নাম।
অনুসন্ধানে জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের মহা দুর্নীতিবাজ সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলাম দীর্ঘ বছর একই জায়গায় চাকরি করার সুবাদে অনিয়ম দুর্নীতির জন্য গড়ে তোলেন নিজস্ব ঠিকাদারি সিন্ডিকেট।তার সেই সকল সিন্ডিকেটের বাইরে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয় থেকে অন্য ঠিকাদারদের লাইসেন্সের যোগ্যতা থাকার পরেও কাজ পাওয়া ছিলো অন্ধের দেশে চশমা বিক্রি করার সমান।
সুত্রে আরো জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের দুর্নীতির যুবরাজ খ্যাত সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলাম ১০% কমিশন অগ্রিম নেওয়ার পর তার পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিয়েছেন, এবং তার পছন্দের ঠিকাদাররা নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে হাতিয়ে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা এতে করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারের প্রায় কয়েক হাজার কোটি টাকা। আনিসুল ইসলাম এর অনিয়ম দুর্নীতির সিন্ডিকেট ঠিকাদারদের মধ্যে অন্যতম তানিমা এন্টারপ্রাইজ, সনেক্স এন্টারপ্রাইজ সহ ১০ থেকে ১৫ টি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলামের পূর্বের বছরগুলো
থেকে অদ্যাবধি যতগুলো দরপত্র আহবান করা হয়েছিল এবং সেই সকল দরপত্রের বিপরীতে যেই সকল ঠিকাদারীর প্রতিষ্ঠানকে তিনি ১০% কমিশন অগ্রিম গ্রহণ করার পরে কাজ পাইয়ে দিয়েছিলেন ওই সকল প্রতিষ্ঠান গুলোর মালিকদের নাম ঠিকানা সহ সম্পূর্ণ কাগজ পত্র নিয়ে সেনাবাহিনীর মাধ্যমে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হলে বেরিয়ে আসবে সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম গংদের নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির থলের বিড়াল।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় দুর্নীতির যুবরাজ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের মোঃ আনিসুল ইসলাম অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার মোহাম্মদপুর ও আদাবরে রয়েছে কয়েকটি আলিশান বাড়ি এর মধ্যে মোহাম্মদপুরে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন রয়েছে।এবং তিনি যে বাড়িতে বর্তমানে বসবাস করেন সেই বাড়ীর বাইরের অংশ নির্মাণ করার পরে ভিতরের অংশে প্রায় কয়েক কোটি টাকা খরচ করে লাগিয়েছেন সম্পূর্ণ বিদেশী সরঞ্জামাদি।
এছাড়াও নিজ জন্মস্থান ঝিনাইদহ রয়েছে নামে বেনামে সম্পত্তি সহ বিভিন্ন ব্যাংকে স্ত্রী পুত্র কন্যা ও নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার এফডিআর।সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলামের এই সকল বাড়ীর বিষয় নিয়ে মোহাম্মদপুর ও আদাবরে বসবাসরত (আনিসুল ইসলামের দুর্নীতি টাকা গড়ে তোলা বাড়ির আশেপাশের) বেশ কয়েক জন বাসিন্দাদের কথা বলে জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয় কর্মরত প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।
আনিসুল ইসলামের পদ পদবী অনুযায়ী সরকারি চাকরির বেতন স্কেল অনুপাতে তার বেতন আনুমানিক ৬০ হাজার টাকার বেশি হওয়ার নয়,কিন্তু এই ৬০ টাকা বেতন পাওয়ার পরে তার পারিবারিক খরচ ও ছেলে মেয়ের পড়া লেখার খরচ করার পরে যেই পরিমান টাকা থাকে সেই টাকায় মোহাম্মদপুর ও আদাবরের মতো জায়গায় জমি কিনে কয়েকটি বাড়ি করা কোনদিন সম্ভব নয়,তার এই সকল দৃশ্যমান বাড়ি অবশ্যই অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় করেছেন, তারা আরও বলেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুর্নীতিবাজ সহকারী প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে ইতিহাসে তাদের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
সহকারী প্রকৌশলী মো: আনিসুল ইসলামের সীমাহীন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী ও ঠিকাদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে বলেন সাংবাদিক ভাই সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলাম আপাদমস্তক একজন মহা দুর্নীতিবাজ,আর এই সব অনিয়ম দুর্নীতির জন্য তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব ঠিকাদারি সিন্ডিকেট, তার সিন্ডিকেটের বাহিরে যোগ্যতা থাকার পরেও অন্য কোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পাওয়ার নজির নেই বিগত সরকারের আমলে।তার ওই সকল সিন্ডিকেট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ঠিকাদারি কাজের আগেই অগ্রিম ১০% হারে কমিশন নিতেন যাহা যুব উন্নয়নের প্রধান কার্যালয়ে ওপেন সিক্রেট।তারা আরো বলেন ঘুষ ও দুর্নীতির টাকা অফিস থেকে নেওয়ার সময় ক্রিম কালারের লেদারের একটি ব্যাগ ব্যবহার করতেন।এবং প্রতিদিন অফিসে আসার পর নাস্তা দুপুরের খাবার বিকালের নাস্তা পরিবারের মোবাইল খরচ সব কিছুর ব্যয় ভার বহন করতো তার অনিয়ম দুর্নীতির সিন্ডিকেট ঠিকাদার সদস্যরা।
অন্যদিকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কর্মরত একজন অফিস সহকারী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন সহকারি প্রকৌশলী আনিসুল ইসলাম স্যার যখন অফিসে আসতেন সেই সময় থেকে অফিস থেকে বাসায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত ৩-৪ জন ব্যক্তিগত দেহরক্ষী স্যারের নিরাপত্তায় সর্বক্ষণ নিয়োজিত রাখতেন মাসিক বেতন দিয়ে।তারা আরো বলেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় যুব ও ক্রিড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা মহোদয় বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত করে এই মহা দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি এই সকল নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে জানতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো: আনিসুল ইসলামের মুঠোফোনে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও কোন সাড়া মেলেনি, পরবর্তীতে তার ব্যবহৃত নাম্বারে খুঁদে বার্তার মাধ্যমে অনিয়ম দুর্নীতির আংশিক ফিরিস্তি পাঠিয়ে বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে,তিনি প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে ফোন দিয়ে বলেন আমার অনিয়ম দুর্নীতির ডকুমেন্টগুলো নিয়ে আমার অফিসে আসেন আমি আপনার সেই সকল ডকুমেন্ট গুলো যাচাই-বাছাই করবো।সহকারি প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলাম এর এমন বক্তব্যে প্রতিবেদক তাকে অবগত করেন যে বিগত সরকার সাংবাদিকদের জন্য একটি আইন প্রণয়ন করেছিলেন সেই আইনে স্পষ্ট আকারে উল্লেখ আছে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত করলে সেই সাংবাদিক এর বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশিত করার জন্য মামলা করার সুযোগ রয়েছে, এবং মামলার পরে ওই সাংবাদিক আদালতে উক্ত সংবাদের বিপরীতে সকল তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণের সুযোগ রয়েছে।
সুতরাং আমি আপনার বিরুদ্ধে মিথ্যে সংবাদ প্রকাশিত করলে আপনি আমার বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন পরবর্তীতে আমি আদালতে সকল ডকুমেন্টগুলো উপস্থাপন করব।প্রতিবেদকের এমন কথা শুনে তিনি উচ্চস্বরে প্রতিবেদককে বলেন,রাখেন আপনার প্রেস এন্ড পাবলিকেশন অ্যাক্ট।পরবর্তীতে মিনিট চারেক পর প্রতিবেদকের হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে আবারও ফোন দিয়ে বলেন সাংবাদিক ভাই আমি সব সময় সাংবাদিকদের সন্মান করি,তাই বলছি আমার তখনকার কথায় আপনি কিছু মনে করবেন না এই বলে মুঠোফোন সংযোগ লাইন কেটে দেন।এহেন দুর্নীতিবাজ গংরা দেশ ও জাতির শত্রু। বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকারের কাছে জাতির প্রত্যাশা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর সহ সরকারি,আধা সরকারী,স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান,দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সহ যে সকল দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে বিভিন্ন সেক্টরে তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর সমন্বয় একটি চিরুনি অভিযান পরিচালনা করে দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করার দাবি জানান দেশের সকল সচেতন নাগরিক।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আনিসুল ইসলামের অনিয়ম দুর্নীতির টাকায় গড়ে তোলা সম্পদের অনুসন্ধান চলমান,,,,,,,,