ঢাকা ১১:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ২৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ওয়াসিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না Logo মোংলায় সার্ভিস বাংলাদেশের নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত Logo হিজলায় ইউপি সদস্য আটক Logo সড়কের গর্ত, খানাখন্দ সংস্কার পুরোদমে চলমান, নভেম্বরে মিলবে সুফল Logo যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব দুর্নীতির মাধ্যমে কোটিপতি (পর্ব-২) Logo ব্রাহ্মণপাড়ায় আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo বুড়িচংয়ে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ও প্রশমন দিবসে র‌্যালি ও আলোচনা সভা Logo কালীগঞ্জে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত Logo হজযাত্রীদের প্রাথমিক নিবন্ধন ২৩ অক্টোবর মধ্যেই শেষ করতে হবে Logo ভাওয়ালে এশিয়া ছিন্নমূল মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশনের জন্মদিন উদযাপন

নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে প্রধান শিক্ষককে পেটালেন আ.লীগ নেতা

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় নুরুন্নবী নামের একজন প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তার নাম রোকনুজ্জামান রোকন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্যঘোষিত আংশিক কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী নুরুন্নবী রৌমারি উপজেলার ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে তা ধরা পড়ে সিসি ক্যামরায়।

ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে নুরুন্নবী বাদী হয়ে রোকনুজ্জামানসহ দুজনের নামোল্লেখ করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযাগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমাজসহ সব মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে তার সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান ও আসাদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুর রশিদসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যান তিনি। কাজ শেষে অফিসের দোতলা থেকে নেমে উপজেলা চত্বরে গেলে রোকনুজ্জামান ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে প্রথম পলি বাস কাউন্টারে আটকে রাখেন। এসময় তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে মোটরসাইকেলে করে তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রার বিদ্যালয়ে অফিস কক্ষে নিয়ে যান এবং ঘটনা খুলে বলতে থাকেন। এসময় রোকনুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড়থাপ্পর ও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।

এক পর্যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ার থেকে উঠে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে থামান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে শিক্ষক নুরুন্নবীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।

প্রধান শিক্ষককে পেটানোর বিষয়টি স্বীকার করে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, নিয়াগ সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে ওই প্রধান শিক্ষক আমাকে দালাল বলেছেন। এসময় আমি নিজেকে সংযত রাখতে না পেরে তাকে দুটো থাপ্পর মেরেছি।

রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রোকনুজ্জামান ওই প্রধান শিক্ষককে আমার অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে কথা বলার সময় হঠাৎ তাকে (প্রধান শিক্ষক) চড়থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এটা তিনি মোটেও ঠিক করেননি। বড় মাপের অন্যায় করেছেন।

এ ঘটনায় রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে জানানো হয়েছে। শিগগির তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ওয়াসিমকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না

SBN

SBN

নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে প্রধান শিক্ষককে পেটালেন আ.লীগ নেতা

আপডেট সময় ০৪:৩৭:৪৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৩

ডেস্ক রিপোর্টঃ কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় নুরুন্নবী নামের একজন প্রধান শিক্ষককে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তার নাম রোকনুজ্জামান রোকন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্যঘোষিত আংশিক কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী নুরুন্নবী রৌমারি উপজেলার ফুলকারচর নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। পরে তা ধরা পড়ে সিসি ক্যামরায়।

ঘটনার দিন রাত ৮টার দিকে নুরুন্নবী বাদী হয়ে রোকনুজ্জামানসহ দুজনের নামোল্লেখ করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযাগ দায়ের করেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক সমাজসহ সব মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবীর অভিযোগ, বিদ্যালয়ের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে তার সাথে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রোকনুজ্জামান ও আসাদুল ইসলামের বিরোধ চলে আসছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী আব্দুর রশিদসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যান তিনি। কাজ শেষে অফিসের দোতলা থেকে নেমে উপজেলা চত্বরে গেলে রোকনুজ্জামান ও তার সহযোগীরা তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে প্রথম পলি বাস কাউন্টারে আটকে রাখেন। এসময় তারা তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন। পরে মোটরসাইকেলে করে তাকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রার বিদ্যালয়ে অফিস কক্ষে নিয়ে যান এবং ঘটনা খুলে বলতে থাকেন। এসময় রোকনুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে চড়থাপ্পর ও কিল-ঘুষি মারতে থাকেন।

এক পর্যায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চেয়ার থেকে উঠে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে থামান এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে শিক্ষক নুরুন্নবীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়।

প্রধান শিক্ষককে পেটানোর বিষয়টি স্বীকার করে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক রোকনুজ্জামান রোকন বলেন, নিয়াগ সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে ওই প্রধান শিক্ষক আমাকে দালাল বলেছেন। এসময় আমি নিজেকে সংযত রাখতে না পেরে তাকে দুটো থাপ্পর মেরেছি।

রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু হোরায়রা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, রোকনুজ্জামান ওই প্রধান শিক্ষককে আমার অফিস কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে কথা বলার সময় হঠাৎ তাকে (প্রধান শিক্ষক) চড়থাপ্পড়, কিল-ঘুষি মারতে থাকেন। এটা তিনি মোটেও ঠিক করেননি। বড় মাপের অন্যায় করেছেন।

এ ঘটনায় রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধ সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে জানানো হয়েছে। শিগগির তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।