ঢাকা ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত Logo আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের Logo বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং উৎসব Logo একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন ঘোষণায় জনগণের অভিপ্রায় উপেক্ষা করা হয়েছে.. জামায়াত Logo গণভোটে যে চার প্রশ্ন থাকবে Logo জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট… প্রধান উপদেষ্টা Logo জাজিরায় নুসার উদ্যোগে জেন্ডার–বান্ধব স্যানিটেশনে শিক্ষার্থী ব্রিগেড সক্রিয়করন Logo ঈশ্বরগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ চিনির ট্রাকের আগুন (ভিডিও) Logo জাজিরায় নারী গোষ্ঠী ও নেটওয়ার্ককে নুসা’র পুরস্কার প্রদান

পর পর ১০ বিয়ে করে ৭১ লাখ টাকা দেনমোহর আদায় করে মিম

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার নসিবঞ্জ নুহালী এলাকার মরজিনা আক্তার মিম (৩২) পর পর ১০ টি বিয়ে করে এলাকায় চাঞ্চ্যল্য সৃষ্টি করেছেন। বিয়ে করার কয়েক মাস পরেই তিনি স্বামীকে তালাক দেন। এটাই তার ব্যবসা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার মোজাম্মেল হকের ১ম মেয়ে মরজিনা আক্তার মিম একে একে ১০ টি বিয়ে করেছেন।

প্রথম বিয়ে করেন ২০১৭ সালে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বাকডোকরা গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আলীর সাথে। তাকে ৫ মাস পরেই তালাক দিয়ে ৭ লাখ টাকা মোহরানা আদায় করেন। ২০১৮ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কহরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র শাহদাত হোসেন কে বিয়ে করেন। ২ মাস পরেই তাকে তালাক দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর আদায় করেন। ২০১৯ সালে রাণীশংকৈল উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে জমিরুলকে বিয়ে করেন। ১ মাসের মাথায় তালাক দিয়ে ৯ লক্ষ টাকা দেনমোহর আদায় করেন। আবার ২০১৯ সালে ওই এলাকার পাশের গ্রামের মখলেসুরের পুত্র আফতাবর রহমানকে বিয়ে করেন। ২৫ দিন পরে ১২ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তালাক দেয়। ২০২০ সালে দিনাজপুর বালুবাড়ি এলাকার আকতারুজ্জামান বাবুর সাথে বিয়ে করেন। ১ মাস পরেই ৬ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তাকেও তালাক দেন।আবারো ২০২০ সালে দিনাজপুর রাণীগঞ্জ এলাকার আব্দুল কাদের এর সাথে বিয়ে করেন। দেড় মাস সংসার করে ৮ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তাকেও তালাক দেয়। ২০২০ সালের শেষের দিকে কুড়িগ্রামের মোকলেসুর রহমানকে বিয়ে করে ৪৫ দিন সংসার করে ১১ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তাকে তালাক দেয়।

অপরদিকে পীরগঞ্জ উপজেলার চাঁদগাঁও গ্রামের রজব আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম এর সাথে ২০২১ সালে ২৭ই নভেম্বর বিয়ে হয়। এই বিয়েতে ৮ লক্ষ ৯ হাজার টাকা দেনমোহর ধরা হয়। অবশেষে এই পাত্রের সাথেও তালাক করার জন্য মেয়েটি পাত্রের পরিবারকে চাঁপ দেওয়া শুরু করেছে। মেয়েটি তার বাপের বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর পরিবারের সকলকে মামলা দেওয়ার চাঁপ দিচ্ছে, না হলে দেনমোহর পরিশোধ করে তালাক দিতে বলতেছে।

মেয়েটির সবশেষ পাত্র রবিউল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মেয়েটির এতগুলো বিয়ে হয়েছে আমার জানা ছিল না। পারিবারিক ভাবেই বিবাহ হয়েছে। মেয়েকে যেদিন দেখতে গিয়েছিলাম সেদিনই জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। আর দেনমোহর ও বেশি টাকা লেখা হয়। বিয়ের প্রথম থেকেই মেয়েটি সমস্যা করতেছিল। বেশিরভাগ সময় তার বাবার বাসায় থাকতো। ৩ মাস পরেই আমাকে কোন কারণ ছাড়াই তালাক দিবে জানায়। পরে আমি খবর নিয়ে তার আগেও ১০ টা বিয়ে হয়েছে সেটা জানতে পারি। এখন সে দেনমোহর এর টাকার জন্য আর তালাক এর জন্য আমাকে ও আমার পরিবারকে চাঁপ দিচ্ছে।

এ বিষয়ে মেয়ের বাবা সহ দুই চেয়ারম্যান নিয়ে পীরগঞ্জ থানায় বসা হলে মেয়ের বাবা বলেন, আমার মেয়ের ১০ টা বিয়ে তাতে তার কি সমস্যা। মেয়ের সাথে সংসার না করলে মোহরানার টাকা দিয়ে আমার মেয়েকে তালাক দেক।

মরজিনা আক্তার মিম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কোন ছেলে আমার মন মত না। সেজন্য কারো সাথেই সংসার টিকে নাই আমার।

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার ৯নং সেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান বলেন, আমি নতুন চেয়ারম্যান হয়েছি। একটি মেয়ের এতগুলো বিয়ে আমার জানা ছিল না। বিষয়টি জানার পরে আমি মেয়ে বাবাকে ডেকেছিলাম। কিন্তু তার কথা বলার ধরণ ভালো না। বিষয়গুলো পরে দেখা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত

SBN

SBN

পর পর ১০ বিয়ে করে ৭১ লাখ টাকা দেনমোহর আদায় করে মিম

আপডেট সময় ০৩:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২২

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার নসিবঞ্জ নুহালী এলাকার মরজিনা আক্তার মিম (৩২) পর পর ১০ টি বিয়ে করে এলাকায় চাঞ্চ্যল্য সৃষ্টি করেছেন। বিয়ে করার কয়েক মাস পরেই তিনি স্বামীকে তালাক দেন। এটাই তার ব্যবসা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

সরেজমিনে জানা যায়, পীরগঞ্জ উপজেলার মোজাম্মেল হকের ১ম মেয়ে মরজিনা আক্তার মিম একে একে ১০ টি বিয়ে করেছেন।

প্রথম বিয়ে করেন ২০১৭ সালে পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার বাকডোকরা গ্রামের মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন আলীর সাথে। তাকে ৫ মাস পরেই তালাক দিয়ে ৭ লাখ টাকা মোহরানা আদায় করেন। ২০১৮ সালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার কহরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিমের পুত্র শাহদাত হোসেন কে বিয়ে করেন। ২ মাস পরেই তাকে তালাক দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা দেনমোহর আদায় করেন। ২০১৯ সালে রাণীশংকৈল উপজেলার নয়নপুর গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে জমিরুলকে বিয়ে করেন। ১ মাসের মাথায় তালাক দিয়ে ৯ লক্ষ টাকা দেনমোহর আদায় করেন। আবার ২০১৯ সালে ওই এলাকার পাশের গ্রামের মখলেসুরের পুত্র আফতাবর রহমানকে বিয়ে করেন। ২৫ দিন পরে ১২ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তালাক দেয়। ২০২০ সালে দিনাজপুর বালুবাড়ি এলাকার আকতারুজ্জামান বাবুর সাথে বিয়ে করেন। ১ মাস পরেই ৬ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তাকেও তালাক দেন।আবারো ২০২০ সালে দিনাজপুর রাণীগঞ্জ এলাকার আব্দুল কাদের এর সাথে বিয়ে করেন। দেড় মাস সংসার করে ৮ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তাকেও তালাক দেয়। ২০২০ সালের শেষের দিকে কুড়িগ্রামের মোকলেসুর রহমানকে বিয়ে করে ৪৫ দিন সংসার করে ১১ লক্ষ টাকা দেনমোহর নিয়ে তাকে তালাক দেয়।

অপরদিকে পীরগঞ্জ উপজেলার চাঁদগাঁও গ্রামের রজব আলীর ছেলে রবিউল ইসলাম এর সাথে ২০২১ সালে ২৭ই নভেম্বর বিয়ে হয়। এই বিয়েতে ৮ লক্ষ ৯ হাজার টাকা দেনমোহর ধরা হয়। অবশেষে এই পাত্রের সাথেও তালাক করার জন্য মেয়েটি পাত্রের পরিবারকে চাঁপ দেওয়া শুরু করেছে। মেয়েটি তার বাপের বাড়িতে গিয়ে তার স্বামীর পরিবারের সকলকে মামলা দেওয়ার চাঁপ দিচ্ছে, না হলে দেনমোহর পরিশোধ করে তালাক দিতে বলতেছে।

মেয়েটির সবশেষ পাত্র রবিউল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, মেয়েটির এতগুলো বিয়ে হয়েছে আমার জানা ছিল না। পারিবারিক ভাবেই বিবাহ হয়েছে। মেয়েকে যেদিন দেখতে গিয়েছিলাম সেদিনই জোর করে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। আর দেনমোহর ও বেশি টাকা লেখা হয়। বিয়ের প্রথম থেকেই মেয়েটি সমস্যা করতেছিল। বেশিরভাগ সময় তার বাবার বাসায় থাকতো। ৩ মাস পরেই আমাকে কোন কারণ ছাড়াই তালাক দিবে জানায়। পরে আমি খবর নিয়ে তার আগেও ১০ টা বিয়ে হয়েছে সেটা জানতে পারি। এখন সে দেনমোহর এর টাকার জন্য আর তালাক এর জন্য আমাকে ও আমার পরিবারকে চাঁপ দিচ্ছে।

এ বিষয়ে মেয়ের বাবা সহ দুই চেয়ারম্যান নিয়ে পীরগঞ্জ থানায় বসা হলে মেয়ের বাবা বলেন, আমার মেয়ের ১০ টা বিয়ে তাতে তার কি সমস্যা। মেয়ের সাথে সংসার না করলে মোহরানার টাকা দিয়ে আমার মেয়েকে তালাক দেক।

মরজিনা আক্তার মিম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, কোন ছেলে আমার মন মত না। সেজন্য কারো সাথেই সংসার টিকে নাই আমার।

এ বিষয়ে পীরগঞ্জ উপজেলার ৯নং সেনগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান বলেন, আমি নতুন চেয়ারম্যান হয়েছি। একটি মেয়ের এতগুলো বিয়ে আমার জানা ছিল না। বিষয়টি জানার পরে আমি মেয়ে বাবাকে ডেকেছিলাম। কিন্তু তার কথা বলার ধরণ ভালো না। বিষয়গুলো পরে দেখা হবে।