ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে ভূমিহীনের নামে বরাদ্দকৃত সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দখলের অভিযোগ উঠেছে মানিক নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর ডিঘির পাড় গুচ্ছ গ্রামে আবদুল্লা নামে এক ভূমিহীন আশ্রয়ন প্রকল্পে ঘর পান বছর খানেক আগে।ঘর পাওয়ার পর জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ঢাকায় গিয়ে কিছুদিন গার্মেন্টসে কাজ করেন পরে সে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন। আশ্রয়ন প্রকল্পের পাওয়া ঘর দখল করে নিয়েছে একই গ্রামের মানিক নামে এক ব্যক্তি।ঘরে থাকা আসবাবপত্র সহ সমস্ত জিনিসপত্র বের করে দিয়েছেন ঘর দখল কারি প্রতিবেশী মানিক। এরপরে আব্দুল্লাহ ঘরে ঢুকতে গেলে বাধার শিকার হয়। বিভিন্ন দপ্তরে ঘর পাওয়ার আশায় ধন্যা দিচ্ছেন আবদুল্লা। তবে গত এক বছর আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই ঘরটির চাবি তুলে দেয় উপজেলা প্রশাসন আবদুল্লা নামে এক হতদরিদ্র ভূমিহীন এর হাতে।
ভূমিহীন আবদুল্লা ওই ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বার এর ছেলে। দখলকারী ব্যাক্তি একই গ্রামের মাজেদুরের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান আব্দুল্লাহ একজন প্রকৃত ভূমিহীন ও হতদরিদ্র ছেলে সে জীবন জীবিকার জন্য রাজধানীতে শ্রমিকের কাজ করে ছুটিতে গ্রামে আসলে সে ঘরে রাত্রি যাপন করত।
সে কাজের উদ্দেশ্যে রাজধানীতে গেলে ঘরে তার আপন ছোট ভাই থাকে এবং তার দীমাতা আকলিমা দেখা শুনা করে ঘরটি।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করে গত শুক্রবার দুপুরে মানিক ঘরের তালা ভাঙ্গে ঘরের ভিতরে আবদুল্লাহর আসবাবপত্র বের করে প্রবেশ করেন, খবর পেয়ে আবদুল্লা ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরে এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
অভিযুক্ত মানিকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তিনি ও ভূমিহীন তার থাকার ঘর না থাকায় তিনি ঘরের তালা ভাঙ্গে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেছেন।
স্থানীয় সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য সেলিনা বলেন, অন্য জনের ঘরের তালা ভাঙ্গে প্রবেশ করাটা সম্পূর্ণ বেআইনি। তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিচার দিলে ঘরটি ফিরে পাবেন।
নিজের ঘর ফিরে পেতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ পত্র জমা দেন আবদুল্লা।
উপজেলা নিবার্হী অফিসার শাহরিয়ার নজির বলেন, অভিযোগ পত্রটি পেয়েছি, বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ভূমিহীনকে ঘরটি বুঝে দেওয়া হবে।