
মাহফুজুর রহমান, মুরাদনগর (কুমিল্লা)
কুমিল্লাার মুরাদনগরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে রাতের আধাঁরে ব্যবসায়ীর বসতবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (৫ই আগস্ট) উপজেলার বাঙ্গরা বাজার থানার টনকী ইউনিয়নের চৈনপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। এসময় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুটে নিয়ে বসতঘর, ড্রামট্রাক, মোটরসাইকেল, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এঘটনায় ব্যবসায়ীর প্রায় দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয় বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগীর পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন লিটন চৈনপুর গ্রামের মৃত ময়নাল হোসেনের ছেলে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর চলমান পরিস্থিতির সুযোগ কাজে লাগিয়ে পূর্বের শত্রুতার প্রতিশোধ নিতে এঘটনা ঘটিয়েছে বলে জানায় ভুক্তভোগীরা।
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন লিটন জানান, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর অস্থিরতার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আমাদের পূর্বশত্রু চৈনপুর গ্রামের লতিফ মিয়ার ছেলে আমির হোসেন লালন ও মোসলেম সরকারের ছেলে মামুনের নেতৃত্বে ২০/২৫জনের একদল সন্ত্রাসী ৫ই আগস্ট রাতে আমাদের বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ অর্থ, মূলবান কাগজপত্র, মোটরসাইকেল, কম্পিউটার সামগ্রী, আসবাবপত্রসহ মালামাল লুট ও ভাঙচুর চালিয়ে পরে বাড়ির চারপাশে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে বাড়িতে থাকা অবশিষ্ট সব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। শুধু বাড়িতে দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি সন্ত্রাসীরা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্টান চয়নিকা ব্রিক্সে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকটি ভেকু, অফিস ভংচুর করে সেখানে ১টি ড্রামট্রাকসহ অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। সারা রাত আগুন জ¦লার পর সকালে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। ততক্ষনে সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন বলেন শত্রুতার জের ধরেই আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট করে আগুল লাগিয়েছে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির হোসেন লালন ও তার সঙ্গীরা ভাগ্যক্রমে আমরা সেদিন বাড়িতে ছিলাম না, আমাদের পেলে তারা প্রাণে মেরে ফেলতো। আমরা এই ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আমির হোসেন লালন সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন দেলোয়ারের বাড়িতে আগুন দেয়ার ঘটনা শুনেছি। এঘটনার সাথে আমি জড়িত নই, কারা এই কাজ করেছে তা জানিনা।