ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo লালমনিরহাটে পিডিবিএফ কর্মচারীদের ৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ Logo জাতিসংঘের আইনের উপর ভিত্তি করে আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা ও ন্যায্যতা সমুন্নত রাখতে হবে : সি Logo চীনা শেনচৌ ২০ নভোযান মহাশূন্যে যাত্রা করবে Logo গাইবান্ধায় কালবৈশাখী ঝড়ে পড়া ঘর মেরামতে বৃত্তবানদের এগিয়ে আসার আহবান Logo লালমনিরহাটে ‘৩৬ জুলাই’ নামের আইনজীবী সমিতির নতুন জেলা হল রুম উদ্বোধন Logo রাণীনগরে সম্মিলিত কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রনয়ন সভা অনুষ্ঠিত Logo অপহৃত শ্রীলঙ্কার তিন নাগরিককে মোল্লাহাট থেকে উদ্ধার Logo “দ্যা এশিয়ান রেনেসাঁস” বইটি অনূদিত করেছেন কচুয়ার আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ Logo চাঁদপুরের কচুয়ার আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী নিশিসহ ৪জন গ্রেফতার Logo বুড়িচংয়ে বিদুৎস্পৃষ্ট হয়ে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার সামনে মেয়র প্রার্থীর উপর হামলা

রাকিবুল ইসলাম, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের সামনেই মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়েছে তার প্রতিদ্বন্দী মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা। এসময় মেয়রকে প্রায় ১০ মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখে বাদশার সমর্থকরা। এক পর্যায়ে তারা উপজেলা সম্মেলন কক্ষের দরজা, জানালা ভাঙচুর ও চেয়ার ছোঁড়াছোঁড়ি করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার বেলা ১১ টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আবুল বাশার বাদশাকে মৌখিক ভাবে সতর্ক করেছে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার উপজেলা সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করছিলেন রিটার্নিংকর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাজাল্লি ইসলাম, রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই মেয়র প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে নিজের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের নিয়ে বসে ছিলেন রফিকুল ইসলাম।
এসময় আবুল বাশার বাদশা লোকজন নিয়ে সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করে রফিককে আসন ছেড়ে পেছনে গিয়ে বসতে বলেন। রফিক চেয়ার ছাড়তে রাজি না হলে বাদশা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং রফিকুলের গায়ে ধাক্কা দেন। এসময় রফিকের সমর্থকরা ঘটনার প্রতিবাদ জানালে বাদশার সঙ্গে আসা লোকজন রফিকের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। পরে বাদশার লোকজন সম্মেলন কক্ষের দরজা, জানালা ও প্রজেক্টর ভাংচুর করেন।
এসময় উপজেলা পরিষদ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাদশা বহিরাগত ভাড়া করে এনে নির্বাচন করছে। তাতেও ভোটারদের মধ্যে নিজের কোন প্রভাব তৈরি করতে পারছে না। নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে সে প্রতীক বরাদ্দের সময় আমার এবং আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে। ওরা প্রশাসনের সামনেই আমার উপর হামলা করার দুঃসাহস দেখায়। নির্বাচন যেন অবাদ ও সুষ্ঠু হয়, বহিরাগতরা যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

আবুল বাশার বাদশা বলেন, বসা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ওরা রিফুজি, ওরা সামনে বসবে কেন? তাই আমি তাদেরকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দিয়েছি। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। এটা যেনো আর না হয় সেদিকে দৃষ্টি আছে। জেলা রিটানিং অফিসার ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, অনাকাঙ্খিত একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আমার আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ ব্যাপারে বাদশাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

লালমনিরহাটে পিডিবিএফ কর্মচারীদের ৩ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিক্ষোভ

SBN

SBN

প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তার সামনে মেয়র প্রার্থীর উপর হামলা

আপডেট সময় ০২:৫৯:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ জুন ২০২৪

রাকিবুল ইসলাম, রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে প্রতীক বরাদ্দের সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের সামনেই মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলামের উপর হামলা চালিয়েছে তার প্রতিদ্বন্দী মেয়র প্রার্থী দেওয়ান আবুল বাশার বাদশা। এসময় মেয়রকে প্রায় ১০ মিনিট অবরুদ্ধ করে রাখে বাদশার সমর্থকরা। এক পর্যায়ে তারা উপজেলা সম্মেলন কক্ষের দরজা, জানালা ভাঙচুর ও চেয়ার ছোঁড়াছোঁড়ি করে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সোমবার বেলা ১১ টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আবুল বাশার বাদশাকে মৌখিক ভাবে সতর্ক করেছে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব প্রাপ্ত জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইস্তাফিজুল হক আকন্দ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সোমবার উপজেলা সম্মেলন কক্ষে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করছিলেন রিটার্নিংকর্মকর্তা। উপজেলা নির্বাচন অফিসার তাজাল্লি ইসলাম, রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহাসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন। প্রতীক বরাদ্দের আগে থেকেই মেয়র প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত স্থানে নিজের প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীদের নিয়ে বসে ছিলেন রফিকুল ইসলাম।
এসময় আবুল বাশার বাদশা লোকজন নিয়ে সম্মেলন কক্ষে প্রবেশ করে রফিককে আসন ছেড়ে পেছনে গিয়ে বসতে বলেন। রফিক চেয়ার ছাড়তে রাজি না হলে বাদশা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং রফিকুলের গায়ে ধাক্কা দেন। এসময় রফিকের সমর্থকরা ঘটনার প্রতিবাদ জানালে বাদশার সঙ্গে আসা লোকজন রফিকের সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি হয়। পরে বাদশার লোকজন সম্মেলন কক্ষের দরজা, জানালা ও প্রজেক্টর ভাংচুর করেন।
এসময় উপজেলা পরিষদ এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাদশা বহিরাগত ভাড়া করে এনে নির্বাচন করছে। তাতেও ভোটারদের মধ্যে নিজের কোন প্রভাব তৈরি করতে পারছে না। নিজের পরাজয় নিশ্চিত জেনে সে প্রতীক বরাদ্দের সময় আমার এবং আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়েছে। ওরা প্রশাসনের সামনেই আমার উপর হামলা করার দুঃসাহস দেখায়। নির্বাচন যেন অবাদ ও সুষ্ঠু হয়, বহিরাগতরা যেন নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।

আবুল বাশার বাদশা বলেন, বসা নিয়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ওরা রিফুজি, ওরা সামনে বসবে কেন? তাই আমি তাদেরকে চেয়ার থেকে উঠিয়ে দিয়েছি। রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেছে। এটা যেনো আর না হয় সেদিকে দৃষ্টি আছে। জেলা রিটানিং অফিসার ইস্তাফিজুল হক আকন্দ বলেন, অনাকাঙ্খিত একটি ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আমার আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এ ব্যাপারে বাদশাকে মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে।