ঢাকা ০৮:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর? Logo স্ত্রীর নাম ব্যবহার করে শুমারির টাকা আত্মসাৎ পরিসংখ্যান কর্মকর্তার Logo বান্দরবানে ঐতিহ্যবাহী মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবে পার্বত্য উপদেষ্ট Logo দ্রব্যমূল্য সহনীয় রেখে দেশ ও জনগনের জন্য কাজ করতে হবে- সাবেক এমপি হাফিজ ইব্রাহিম Logo চিন পিংয়ের প্রিয় উপাখ্যান’: ইতিহাসের গভীর জ্ঞানের এক উজ্জ্বল প্রকাশ Logo মালয়েশিয়া-চীন সম্পর্কের উচ্চ স্তরের প্রতিফলন : রাজা ইব্রাহিম Logo কুয়ালালামপুরে চীন-মালয়েশিয়া মানব ও সাংস্কৃতিক বিনিময় অনুষ্ঠান Logo ময়মনসিংহ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার অর্থনীতির অঞ্চল বাতিল ঘোষণার প্রসঙ্গে Logo সুন্দরবনে অস্ত্র ও গোলাবারুদ’সহ আটক-২ Logo বুড়িচংয়ে তিন জুয়ারীর ৭ দিনের জেল

ফুলবাড়ীতে অসুস্থ ছাগলের পঁচা মাংস বিক্রির অভিযোগে জরিমানা

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী বাজারে অসুস্থ ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমাল তাতক্ষণিক মোবাইল কোট এর মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর ২ টায় ফুলবাড়ী বাজারে অসুস্থ ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করার খবর পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাল তমাল উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজার রহমান ও সেনেটারী ইন্সপেক্টর জগদীশ চন্দ্র এর মাধ্যমে জবাই করা ছাগলের মাংস পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মাংস বিক্রেতা মোঃ মমিনুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করেন। জবাইয়ের আগে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও তা ঠিকমত মানা হচ্ছেনা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও পৌরসভার দতারকীর অভাবে কতিপয় অসাধু কসাই বেশি মুনাফার লোভে অসুস্থ গরু ছাগল কম দামে কিনে এর মাংস বিক্রি করছে। খবর নিয়ে জানা যায়, ছাগলটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ ছিলো এবং ছাগলের আঘাতের স্থানে মাংসগুলোর পঁচন ধরেছিলো। মাংসের পঁচন থাকার পরেও কসাই মমিনুল ইসলাম তা বিক্রি করছিলেন।

চকচকা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি শুনেছি গরু ও ছাগল একসাথে বাধা ছিলো। সেখানেই ছাগলটি গরুর আঘাতে আহত হয়। অসুস্থ ছাগলটি কসাইয়ের নিকট বিক্রি করেছে।

উত্তর সুজাপুর গ্রামের ছাগল বিক্রেতা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ছাগলটি অসুস্থ ছিলো। গতকাল ছাগলটি গরুর আঘাতে আহত হয়েছিলো। আহত ছাগলটি ভালো হবেনা ভেবে কসাইয়ের নিকট বিক্রি করেছি।

চকচকা গ্রামের বাসিন্দা কসাই মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন, আমি অসুস্থ ছাগল কিনে জবাই করে বিক্রি করার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ আসে। তিনি ছাগলটি উপজেলায় নিয়ে আসতে বলেন। ছাগল আনার পর সেটাকে পুতে রাখতে বলেন আর ২০ হাজার টাকা জরিমান করেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ছাগলটির পরীক্ষার পর মনে হয়েছে কিছুদিন আগে ছাগলটি আঘাত পেয়েছে। আঘাতটি গরু কিংবা কুকুরের কামড়ে হতে পারে। আঘাতের স্থানের মাংসগুলোর পঁচন ধরেছে। আঘাতপ্রাপ্ত ছাগলটির মাংস খাওয়া যাবেনা বরং যতদ্রুত সম্ভব ছাগলটিকে মাটিতে পুতে রাখা দরকার।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র মোঃ মাহমুদ আলম লিটন বলেন, প্রতিদিন সকালে গরু-ছাগল জবাই করার সময় আমাদের সেনেটারী ইন্সপেক্টর ভিজিট করে সুস্থ পশুগুলোকে জবাই করার অনুমতি দেন। কিন্তু আজকে দুপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাংখিত। সাধারণত এই সময় আমাদের লোক থাকেনা। এই সুযোগটি তারা নিয়েছে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

সাবেক সিআইডি প্রধান মোহাম্মদ আলী’র বিশ্বস্ত সহযোগী দুর্নীতিবাজ ওসি ফারুক’র খুঁটির এতো জোর?

SBN

SBN

ফুলবাড়ীতে অসুস্থ ছাগলের পঁচা মাংস বিক্রির অভিযোগে জরিমানা

আপডেট সময় ০৫:৫২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুন ২০২৪

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি

দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ী বাজারে অসুস্থ ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাহ তমাল তাতক্ষণিক মোবাইল কোট এর মাধ্যমে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) দুপুর ২ টায় ফুলবাড়ী বাজারে অসুস্থ ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রি করার খবর পেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর মোঃ আল কামাল তমাল উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজার রহমান ও সেনেটারী ইন্সপেক্টর জগদীশ চন্দ্র এর মাধ্যমে জবাই করা ছাগলের মাংস পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার পর অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় মাংস বিক্রেতা মোঃ মমিনুল ইসলামকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করেন। জবাইয়ের আগে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার নিয়ম থাকলেও তা ঠিকমত মানা হচ্ছেনা। উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর ও পৌরসভার দতারকীর অভাবে কতিপয় অসাধু কসাই বেশি মুনাফার লোভে অসুস্থ গরু ছাগল কম দামে কিনে এর মাংস বিক্রি করছে। খবর নিয়ে জানা যায়, ছাগলটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ ছিলো এবং ছাগলের আঘাতের স্থানে মাংসগুলোর পঁচন ধরেছিলো। মাংসের পঁচন থাকার পরেও কসাই মমিনুল ইসলাম তা বিক্রি করছিলেন।

চকচকা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আমি শুনেছি গরু ও ছাগল একসাথে বাধা ছিলো। সেখানেই ছাগলটি গরুর আঘাতে আহত হয়। অসুস্থ ছাগলটি কসাইয়ের নিকট বিক্রি করেছে।

উত্তর সুজাপুর গ্রামের ছাগল বিক্রেতা মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ছাগলটি অসুস্থ ছিলো। গতকাল ছাগলটি গরুর আঘাতে আহত হয়েছিলো। আহত ছাগলটি ভালো হবেনা ভেবে কসাইয়ের নিকট বিক্রি করেছি।

চকচকা গ্রামের বাসিন্দা কসাই মোঃ মমিনুল ইসলাম বলেন, আমি অসুস্থ ছাগল কিনে জবাই করে বিক্রি করার সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ আসে। তিনি ছাগলটি উপজেলায় নিয়ে আসতে বলেন। ছাগল আনার পর সেটাকে পুতে রাখতে বলেন আর ২০ হাজার টাকা জরিমান করেন।

উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের উপ-সহকারী প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ছাগলটির পরীক্ষার পর মনে হয়েছে কিছুদিন আগে ছাগলটি আঘাত পেয়েছে। আঘাতটি গরু কিংবা কুকুরের কামড়ে হতে পারে। আঘাতের স্থানের মাংসগুলোর পঁচন ধরেছে। আঘাতপ্রাপ্ত ছাগলটির মাংস খাওয়া যাবেনা বরং যতদ্রুত সম্ভব ছাগলটিকে মাটিতে পুতে রাখা দরকার।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র মোঃ মাহমুদ আলম লিটন বলেন, প্রতিদিন সকালে গরু-ছাগল জবাই করার সময় আমাদের সেনেটারী ইন্সপেক্টর ভিজিট করে সুস্থ পশুগুলোকে জবাই করার অনুমতি দেন। কিন্তু আজকে দুপুরে যে ঘটনা ঘটেছে তা অনাকাংখিত। সাধারণত এই সময় আমাদের লোক থাকেনা। এই সুযোগটি তারা নিয়েছে।