ঢাকা ০৭:৩৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফুলবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এম এ কাইয়ুমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিশিষ্ট চিকিৎসক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এম এ কাইয়ুমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বেলা ২ টায় জানাজা নামাজের পূর্বে ফুলবাড়ী জিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অফ অনার প্রদান করেন। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী, ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মোঃ মাহমুদ আলম লিটন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লিয়াকত আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসার উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবাসয়ী ও সমাজসেবক বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এ.জেড.এম রেজওয়ানুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক জেলা আমির মোঃ আফতাব উদ্দিন মোল্লা, দিনাজপুর জেলা দক্ষিণের বর্তমান জেলা আমির মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা নামাজ পড়ান মরহুমের বড় জামাতা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি সাইন্সের ডিন প্রফেসর ডঃ এটিএম মাহবুব এলাহী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল ৮.৪৫ টায় চিকিৎসারত অবস্থায় ঢাকার ইভার কেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তিনি ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলার প্রথম এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার। তিনি ১৯৬৫ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস (MBBS) পাশ করার পর ১৯৬৬ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৬৭-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন। তারপর তাঁর পিতার পরামর্শে সরকারি চাকুরি ছেড়ে নিজ উপজেলা ফুলবাড়ীতে এসে জনগনের চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। নিজ এলাকার গরীব অসহায় রোগিদের অল্প মূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। একজন ভাল মানুষ, একজন দীনদার, পরহেজগার মানুষ এবং ভালো চিকিৎসক হিসেবে এলাকায় তাঁর ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে।

ডাঃ এমএ কাইয়ুম একজন বহুগুণের অধিকারী ছিলেন। তিনি একজন গুণি মানুষ। তিনি ভালো চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি একজন ভালো সংগঠক ছিলেন, তিনি দায়ী ইলাল্লাহ এর কাজ করেছেন এবং তিনি ছিলেন একজন উন্নত চিন্তার সমাজ সংস্কারক। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম ইসলামি সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ফুলবাড়ী উপজেলার আমির হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দিনাজপুর-৫ আসনের জাতীয় সংসদের নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। ডাঃ এমএ কাইয়ুম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার সময় যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা এবং শরনার্থীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন। তিনি একজন গর্বিত পিতাও তাঁর দুই ছেলের মধ্যে একজন লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান এবং আরেকজন ফিজিওথেরাপির ডাক্তার। সাত মেয়ের মধ্যে তিন জনই এমবিবিএস ডাক্তার, একজন সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক, একজন সরকারী স্কুলের শিক্ষক, একজন প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক। বিশিষ্ট এই চিকিৎসকের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সুধিসমাজ শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপনসহ শোক প্রকাশ করেছেন।

ফুলবাড়ীতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এম এ কাইয়ুমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

আপডেট সময় ০৫:১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ জুন ২০২৩

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে বিশিষ্ট চিকিৎসক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ এম এ কাইয়ুমকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) বেলা ২ টায় জানাজা নামাজের পূর্বে ফুলবাড়ী জিএম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে পুলিশের একটি চৌকস দল গার্ড অফ অনার প্রদান করেন। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মাদ জাফর আরিফ চৌধুরী, ফুলবাড়ী পৌরসভার মেয়র মোঃ মাহমুদ আলম লিটন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ লিয়াকত আলী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ ইসার উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবাসয়ী ও সমাজসেবক বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এ.জেড.এম রেজওয়ানুল হক, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক জেলা আমির মোঃ আফতাব উদ্দিন মোল্লা, দিনাজপুর জেলা দক্ষিণের বর্তমান জেলা আমির মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও বিভিন্ন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। জানাজা নামাজ পড়ান মরহুমের বড় জামাতা সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি সাইন্সের ডিন প্রফেসর ডঃ এটিএম মাহবুব এলাহী।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকাল ৮.৪৫ টায় চিকিৎসারত অবস্থায় ঢাকার ইভার কেয়ার হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। তিনি ছিলেন ফুলবাড়ী উপজেলার প্রথম এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার। তিনি ১৯৬৫ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস (MBBS) পাশ করার পর ১৯৬৬ সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর ১৯৬৭-১৯৬৯ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে কর্মরত ছিলেন। তারপর তাঁর পিতার পরামর্শে সরকারি চাকুরি ছেড়ে নিজ উপজেলা ফুলবাড়ীতে এসে জনগনের চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। নিজ এলাকার গরীব অসহায় রোগিদের অল্প মূল্যে চিকিৎসা প্রদান করে সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। একজন ভাল মানুষ, একজন দীনদার, পরহেজগার মানুষ এবং ভালো চিকিৎসক হিসেবে এলাকায় তাঁর ব্যাপক পরিচিতি ও সুনাম রয়েছে।

ডাঃ এমএ কাইয়ুম একজন বহুগুণের অধিকারী ছিলেন। তিনি একজন গুণি মানুষ। তিনি ভালো চিকিৎসা সেবা প্রদানের পাশাপাশি একজন ভালো সংগঠক ছিলেন, তিনি দায়ী ইলাল্লাহ এর কাজ করেছেন এবং তিনি ছিলেন একজন উন্নত চিন্তার সমাজ সংস্কারক। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম ইসলামি সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ফুলবাড়ী উপজেলার আমির হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি দিনাজপুর-৫ আসনের জাতীয় সংসদের নির্বাচনেও অংশ নিয়েছেন। ডাঃ এমএ কাইয়ুম একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতার সময় যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা এবং শরনার্থীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়েছিলেন। তিনি একজন গর্বিত পিতাও তাঁর দুই ছেলের মধ্যে একজন লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান এবং আরেকজন ফিজিওথেরাপির ডাক্তার। সাত মেয়ের মধ্যে তিন জনই এমবিবিএস ডাক্তার, একজন সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক, একজন সরকারী স্কুলের শিক্ষক, একজন প্রাইমারি প্রধান শিক্ষক। বিশিষ্ট এই চিকিৎসকের মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও সুধিসমাজ শোকাহত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপনসহ শোক প্রকাশ করেছেন।