ঢাকা ০৪:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিককে হুমকি

বদলগাছীতে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম

মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো

নওগাঁ জেলার বদলগাছী মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ২১২২জন উপকারভোগীর মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা কাগজে কলমে থাকলে ও চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দেওয়া ভিজিএফ চাল গত ১৩ জুন বিতরণে করছিলেন সকাল ১০ টা থেকে টানা ২ টা প্রর্যন্ত।রউপকারভোগীদের সাড়ে ৮ কেজি থেকে ৯ কেজি প্রর্যন্ত চাল বিতরণ করেছেন চেয়ারম্যান।

খাওয়ার বিরতির পর বৈকাল সাড়ে ৩ টায় সাধারণ কার্ড ধারীদের উপস্থিতি কম ছিল। ঘরের দরজা বন্ধ করে ভিতর থেকে মুরগির ফিডের বস্তা ভর্তি চাল কতিপয় ব্যাক্তি পিঠে করে বারংবার বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন ভিডিও ধারন করতেছিলেন দৈনিক ইনকিলাব ও দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি এনামুল কবীর এনাম।বিষয়টি চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের নজরে পড়লে চেয়ারম্যান প্রথমে বলে চাল বিতরণের কোন নিউজ যদি কোন সাংবাদিক প্রকাশ করে তাহলে তাকে ধরে এনে টাংগিয়ে পিঠের চামরা তুলে নিবে। তখন সাংবাদিক এনামুল কবির এনাম বলেন কোন সাংবাদিক মানে আমি তো এখানে আছি। তখন চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ হোসেন বলে চাল ৪ বালতি নিয়ে চলে যাও। তখন সাংবাদিক চেয়ারম্যান দেওয়া ঐ চাল নিতে না চাওয়ায়। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও নিউজ প্রকাশ করলে ধরে এনে টাংগিয়ে পিঠের চামরা তুলে নেওয়ার হুমকি দেন।

স্হানীয় এলাকাবাসী মাসুদ রানা, সোহেল, আলম সহ কয়েক জন জানান প্রত্যেক উপকার ভোগীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলে ও বাস্তবে সাড়ে ৮ কেজি থেকে ৯ কেজি প্রর্যন্ত চাল বিতরণ করেছেন চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদের ভিতর থেকে সাদা বস্তার মধ্যে চাল ভর্তি করে বস্তা বস্তা চাল বের করে নিয়ে যাচ্ছিল। সাংবাদিক এরকম অনিয়ম হলে ভিডিও করবে দোষের কিছু হতে পারেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন বলেন,চাল বিতরণের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করায় চেয়ারম্যান সাংবাদিক এনামুল কবির এনামকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও নিউজ প্রকাশ করলে মারধর করার হুমকি দিয়েছে।

এবিষয়ে মিঠাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে ফোন দিলে চেয়ারম্যান ফোন রিসিভ করে বলেন আমি ব্যাস্ত আছি পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।পরে ফোন দিলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

ট্যাগ অফিসার প্রেমকুমারের মোবাইল ফোনে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি উপস্থিত ছিলাম না, ঘটনা ঘটে থাকলে দুঃখ জনক, তবে সচিবের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে নিবো।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ভিডিও ধারণ করায় সাংবাদিককে হুমকি

বদলগাছীতে ভিজিএফ চাল বিতরণে অনিয়ম

আপডেট সময় ১২:০৭:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ জুন ২০২৪

মোঃ সোহেল আমান, রাজশাহী ব্যুরো

নওগাঁ জেলার বদলগাছী মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় ২১২২জন উপকারভোগীর মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা কাগজে কলমে থাকলে ও চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার দেওয়া ভিজিএফ চাল গত ১৩ জুন বিতরণে করছিলেন সকাল ১০ টা থেকে টানা ২ টা প্রর্যন্ত।রউপকারভোগীদের সাড়ে ৮ কেজি থেকে ৯ কেজি প্রর্যন্ত চাল বিতরণ করেছেন চেয়ারম্যান।

খাওয়ার বিরতির পর বৈকাল সাড়ে ৩ টায় সাধারণ কার্ড ধারীদের উপস্থিতি কম ছিল। ঘরের দরজা বন্ধ করে ভিতর থেকে মুরগির ফিডের বস্তা ভর্তি চাল কতিপয় ব্যাক্তি পিঠে করে বারংবার বহন করে নিয়ে যাচ্ছিল। এমন ভিডিও ধারন করতেছিলেন দৈনিক ইনকিলাব ও দৈনিক অপরাধ অনুসন্ধান পত্রিকার বদলগাছী উপজেলা প্রতিনিধি এনামুল কবীর এনাম।বিষয়টি চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের নজরে পড়লে চেয়ারম্যান প্রথমে বলে চাল বিতরণের কোন নিউজ যদি কোন সাংবাদিক প্রকাশ করে তাহলে তাকে ধরে এনে টাংগিয়ে পিঠের চামরা তুলে নিবে। তখন সাংবাদিক এনামুল কবির এনাম বলেন কোন সাংবাদিক মানে আমি তো এখানে আছি। তখন চেয়ারম্যান মোঃ ফিরোজ হোসেন বলে চাল ৪ বালতি নিয়ে চলে যাও। তখন সাংবাদিক চেয়ারম্যান দেওয়া ঐ চাল নিতে না চাওয়ায়। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও নিউজ প্রকাশ করলে ধরে এনে টাংগিয়ে পিঠের চামরা তুলে নেওয়ার হুমকি দেন।

স্হানীয় এলাকাবাসী মাসুদ রানা, সোহেল, আলম সহ কয়েক জন জানান প্রত্যেক উপকার ভোগীকে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলে ও বাস্তবে সাড়ে ৮ কেজি থেকে ৯ কেজি প্রর্যন্ত চাল বিতরণ করেছেন চেয়ারম্যান। ইউনিয়ন পরিষদের ভিতর থেকে সাদা বস্তার মধ্যে চাল ভর্তি করে বস্তা বস্তা চাল বের করে নিয়ে যাচ্ছিল। সাংবাদিক এরকম অনিয়ম হলে ভিডিও করবে দোষের কিছু হতে পারেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন বলেন,চাল বিতরণের অনিয়মের তথ্য সংগ্রহ করায় চেয়ারম্যান সাংবাদিক এনামুল কবির এনামকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও নিউজ প্রকাশ করলে মারধর করার হুমকি দিয়েছে।

এবিষয়ে মিঠাপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে জানতে ফোন দিলে চেয়ারম্যান ফোন রিসিভ করে বলেন আমি ব্যাস্ত আছি পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেন।পরে ফোন দিলে তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।

ট্যাগ অফিসার প্রেমকুমারের মোবাইল ফোনে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি উপস্থিত ছিলাম না, ঘটনা ঘটে থাকলে দুঃখ জনক, তবে সচিবের কাছ থেকে বিষয়টি জেনে নিবো।