ঢাকা ০৬:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo টাঙ্গাইল রংপুর মহাসড়কে বাস ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত১ Logo বুড়িচংয়ের শিবরাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের মিলন মেলা Logo তাহিরপুর সীমান্ত থেকে ২৪টি ইলেকট্রিক বিস্ফোরক ডেটোনেটর উদ্ধার Logo গলাচিপায় নদীতে নিখোঁজ দুই জেলের মৃতদেহ উদ্ধার Logo মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ সিমেন্টসহ দুই পাচারকারী আটক Logo রাজধানীতে অগ্নিকাণ্ড ও ভূমিকম্পে করণীয় বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত Logo নববর্ষ ঘিরে নানচিংয়ে ৬০টির বেশি বাণিজ্য ও পর্যটন অনুষ্ঠান Logo মায়ানমারে পাচারকালে বিপুল পরিমাণ ডিজেলসহ ৯ পাচারকারী আটক Logo টাঙ্গাইল জেলা নূরানী শিক্ষক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত নূরানী স্কলারশিপ–২০২৫ এর ফলাফল প্রকাশ Logo টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান আজাদ, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাকেরুল মওলা

বাংলাভাষাকে ধ্রপদী ভাষা ঘোষণার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

রোববার ১৯ মে ২০২৪ (৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১) বাংলাভাষাকে ধ্রæপদী ভাষা ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

প্রখ্যাত ভাষা-আন্দোলন গবেষক জ্ঞানভিত্তিক সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক এমএ বার্ণিকের স্বাক্ষরিত উক্ত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তান্তরের জন্য সংগঠনের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদিকা কবি জান্নাতুন নাঈমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রোববার সকালে সেখানে গমন করেন।

প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সাংবাদিক কবি আল মাহদী, সাংবাদিক নার্গিস রুবি, সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম জুয়েল ও ডা. আল-হাসান মোবারক।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ধ্রæপদী ভাষা (Classical Language) বলতে এমন সব ভাষাকে বোঝায় সেগুলো অত্যন্ত প্রাচীন (আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বা তারও বেশি বছর পুরনো), যাদের বৃহৎ ও অত্যন্ত সমৃদ্ধ প্রাচীন সাহিত্য আছে এবং যাদের প্রাচীন সাহিত্যের ঐতিহ্যটি অপর কোন সাহিত্যিক ঐতিহ্যের পরম্পরায় নয়, বরং স্বাধীন ও স্বাবলম্বীভাবে গড়ে ওঠেছে। তাই বাংলাভাষাকে ধ্রæপদী ভাষা হিসেবে ঘোষণা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য।
উক্ত স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ২১ অক্টোবর ১৯৪৮ তারিখে অনুষ্ঠিত অভিক্ত পাকিস্তানে, তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান শিক্ষা বোর্ডের এক বৈঠকে, উর্দু ভাষাকে ধ্রæপদী ভাষারূপে স্বীকৃতি দেয়া হয় (সূত্র: পূর্ব-পাকিস্তান শিক্ষাবোর্ড পত্র নং- ১৫০০১ তারিখ ৬ এপ্রিল ১৯৪৯)। বাংলাভাষাকে কোনঠাসা করার জন্য উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিলো, অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছর পরও বাংলাভাষা ধ্রæপদী ভাষার মর্যাদা লাভ করেনি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট এক পত্রে বাংলাভাষাকে ধ্রæপদী ভাষা ঘোষণার দাবি জানান। কিন্তু ভারত সরকার সে ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। এমতাবস্থায়, রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়া পরও, বাংলাদেশ কেন অপেক্ষা করবে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তাই বাংলাভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য অবিলম্বে বাংলাকে বাংলাদেশের ধ্রæপদী ভাষা ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয় বলে তারা মনে করেন।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গাইল রংপুর মহাসড়কে বাস ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত১

SBN

SBN

বাংলাভাষাকে ধ্রপদী ভাষা ঘোষণার দাবিতে স্মারকলিপি পেশ

আপডেট সময় ০৬:৪০:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

রোববার ১৯ মে ২০২৪ (৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১) বাংলাভাষাকে ধ্রæপদী ভাষা ঘোষণার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

প্রখ্যাত ভাষা-আন্দোলন গবেষক জ্ঞানভিত্তিক সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক এমএ বার্ণিকের স্বাক্ষরিত উক্ত স্মারকলিপি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের হস্তান্তরের জন্য সংগঠনের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদিকা কবি জান্নাতুন নাঈমের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রোববার সকালে সেখানে গমন করেন।

প্রতিনিধি দলের অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সাংবাদিক কবি আল মাহদী, সাংবাদিক নার্গিস রুবি, সাংবাদিক আশরাফুল ইসলাম জুয়েল ও ডা. আল-হাসান মোবারক।

স্মারকলিপিতে বলা হয়, ধ্রæপদী ভাষা (Classical Language) বলতে এমন সব ভাষাকে বোঝায় সেগুলো অত্যন্ত প্রাচীন (আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বা তারও বেশি বছর পুরনো), যাদের বৃহৎ ও অত্যন্ত সমৃদ্ধ প্রাচীন সাহিত্য আছে এবং যাদের প্রাচীন সাহিত্যের ঐতিহ্যটি অপর কোন সাহিত্যিক ঐতিহ্যের পরম্পরায় নয়, বরং স্বাধীন ও স্বাবলম্বীভাবে গড়ে ওঠেছে। তাই বাংলাভাষাকে ধ্রæপদী ভাষা হিসেবে ঘোষণা দেয়ার বিষয়টি বিবেচনাযোগ্য।
উক্ত স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ২১ অক্টোবর ১৯৪৮ তারিখে অনুষ্ঠিত অভিক্ত পাকিস্তানে, তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান শিক্ষা বোর্ডের এক বৈঠকে, উর্দু ভাষাকে ধ্রæপদী ভাষারূপে স্বীকৃতি দেয়া হয় (সূত্র: পূর্ব-পাকিস্তান শিক্ষাবোর্ড পত্র নং- ১৫০০১ তারিখ ৬ এপ্রিল ১৯৪৯)। বাংলাভাষাকে কোনঠাসা করার জন্য উক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিলো, অথচ বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ৫৩ বছর পরও বাংলাভাষা ধ্রæপদী ভাষার মর্যাদা লাভ করেনি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট এক পত্রে বাংলাভাষাকে ধ্রæপদী ভাষা ঘোষণার দাবি জানান। কিন্তু ভারত সরকার সে ব্যাপারে এখনো কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। এমতাবস্থায়, রাষ্ট্রভাষা বাংলা হওয়া পরও, বাংলাদেশ কেন অপেক্ষা করবে, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
তাই বাংলাভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য অবিলম্বে বাংলাকে বাংলাদেশের ধ্রæপদী ভাষা ঘোষণার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা বাঞ্ছনীয় বলে তারা মনে করেন।