![](https://muktirlorai.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
মোঃ ইলিয়াছ আহমদ, বরুড়া
বাড়িতে বিয়ের দামামা। হাঁড়ি ভর্তি নানা প্রকার মুখরোচক খাবার। উপহার সামগ্রী নিয়ে প্রতিবেশীদের আগমন। চলছিলো দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক কিশোরীর বিষয়ের আয়োজন। এমন সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় বর।
ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের ভাউকসার গ্রামে।
জানা গেছে, রোববার একটি সামাজিক সংগঠনের এক কর্মী বরুড়া প্রেসক্লাবে খবর দিলে সাংবাদিকরা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নু এমং মারমা মং, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজুল ইসলাম চৌধুরী ও ভাউকসার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদকে অবহিত করেন।
সম্মলিত প্রচেষ্টায় বাল্য বিবাহটি প্রতিরোধ করা হয় অবিভাবকদের মুছলেকার মাধ্যমে। যদিও স্হানীয় কাজীর কোন সহোযোগিতা পাওয়া যায় নি। পাওয়া যায়নি স্হানীয় দায়িত্বশীলদের আন্তরিকতা।
স্থানীয়রা জানান, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর পালিয়ে যায়। আর কনেকে অন্য ঘরে লুকিয়ে রাখা হয়। পরে প্রশাসনের চাপে কনে ঘরে ফিরে আসে।
সূত্র জানয়, আপাতত বিয়েটি বন্ধ হলেও যে কোন সময় ঐ বরের সাথে বিয়ে হয়ে যাবে।
এ বিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নু এমং মারমা মং বলেন, আপনারা তথ্য দিয়ে সহোযোগিতা করুন।
আমি চেষ্টা করবো বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সর্বাত্বক চেষ্টা।