ঢাকা ০৯:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম Logo মোংলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষ, তদন্তে বিএনপি Logo ভোট দিতে এসে প্রান হারালেন মোটর শ্রমিক সদস্য Logo অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, আপনাদের ‘হানিমুন পিরিয়ড’ শেষ হয়েছে – আবু হানিফ Logo কুমিল্লায়  জাতীয় গন্থাগার দিবস উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ অনুষ্ঠান Logo কালীগঞ্জে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ৪ আহত ৪ Logo ঠাকুরগাঁওয়ে হঠাৎ পেট্রোল পাম্প বন্ধ, ভোগান্তিতে জনসাধারণ Logo রাঙ্গামাটিতে পানিতে ডুবে একজনের মৃত্যু Logo মুরাদনগরে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্ব, যুবতীকে টেঁটা বিদ্ধ করলেন চাচা Logo শেরপুর সদর -১ আসনে জামায়াত মনোনীত এমপি প্রার্থী হাফেজ রাশেদুল ইসলাম

বিএনপির সমাবেশ গোলাপবাগ মাঠে

ডেস্ক রিপোর্টঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

আজ (শুক্রবার) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের সাথে দেখা করে এসে ডিবি কার্যালয়ের সামনে তারা এ কথা জানান।

বিএনপির এই দুই নেতা আরও জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফ থেকে দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

ডা. জাহিদ বলেন, আমরা কমলাপুর স্টেডিয়াম চেয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে খেলা চলায় সম্ভব না। পুলিশের কাছে তারপর আমরা গোলাপবাগ মাঠের কথা বলেছিলাম, পুলিশ লিখিতভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করতে বলেছিল, আমরা লিখিত আবেদন করেছি। তারা অনুমতি দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করব। আগামীকাল গোলাপবাগে আমাদের সমাবেশ হবে। পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

পরে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, বিএনপির প্রস্তাবিত দাবির প্রেক্ষিতে তাদের গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, শনিবার বেলা ১১টায় সমাবেশ শুরু হবে।

১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য বিএনপি শুরু থেকেই নয়াপল্টনের সড়ক ব্যবহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। আর সরকার শুরু থেকেই বলে আসছিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

তবে সোহরাওয়ার্দীর বিষয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল বিএনপি। তারা আরামবাগ ও সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের মাঠের প্রস্তাব দিলেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি।

এরইমধ্যে বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। এতে একজন নিহতও হয়। সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ এবং ওই এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের হটিয়ে দিয়ে নিজেরা নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার পুলিশ কমিশনারের সাথে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকে তারা নয়াপল্টনের পরিবর্তে ঢাকার কমলাপুরে স্টেডিয়ামে সমাবেশের প্রস্তাব দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মিরপুরের বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এসবের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তুলে নেওয়ার ৮ ঘণ্টা পর ডিবি তাদের আটকের কথা স্বীকার করে। আর দুপুর আড়াইটার পর ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অনন্য ঘটনা : উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম

SBN

SBN

বিএনপির সমাবেশ গোলাপবাগ মাঠে

আপডেট সময় ১০:৫৩:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২২

ডেস্ক রিপোর্টঃ বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।

আজ (শুক্রবার) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধানের সাথে দেখা করে এসে ডিবি কার্যালয়ের সামনে তারা এ কথা জানান।

বিএনপির এই দুই নেতা আরও জানান, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফ থেকে দলের আবেদনের প্রেক্ষিতে গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশ করার অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।

ডা. জাহিদ বলেন, আমরা কমলাপুর স্টেডিয়াম চেয়েছিলাম, কিন্তু সেখানে খেলা চলায় সম্ভব না। পুলিশের কাছে তারপর আমরা গোলাপবাগ মাঠের কথা বলেছিলাম, পুলিশ লিখিতভাবে অনুমতির জন্য আবেদন করতে বলেছিল, আমরা লিখিত আবেদন করেছি। তারা অনুমতি দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসের গ্রেপ্তারের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এটা আইনগতভাবে মোকাবিলা করব। আগামীকাল গোলাপবাগে আমাদের সমাবেশ হবে। পুলিশ সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

পরে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা পুলিশ প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ জানান, বিএনপির প্রস্তাবিত দাবির প্রেক্ষিতে তাদের গোলাপবাগ মাঠে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, শনিবার বেলা ১১টায় সমাবেশ শুরু হবে।

১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য বিএনপি শুরু থেকেই নয়াপল্টনের সড়ক ব্যবহারের দাবি জানিয়ে আসছিল। আর সরকার শুরু থেকেই বলে আসছিল নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। বিএনপিকে সমাবেশ করতে হবে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

তবে সোহরাওয়ার্দীর বিষয়ে শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছিল বিএনপি। তারা আরামবাগ ও সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুলের মাঠের প্রস্তাব দিলেও পুলিশ তাতে রাজি হয়নি।

এরইমধ্যে বুধবার বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় বিএনপি নেতাকর্মীদের। এতে একজন নিহতও হয়। সংঘর্ষের পর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ এবং ওই এলাকা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের হটিয়ে দিয়ে নিজেরা নিয়ন্ত্রণে নেয়।

এরপর বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার পুলিশ কমিশনারের সাথে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দলের বৈঠকে তারা নয়াপল্টনের পরিবর্তে ঢাকার কমলাপুরে স্টেডিয়ামে সমাবেশের প্রস্তাব দেন। পুলিশের পক্ষ থেকে মিরপুরের বাংলা কলেজ মাঠে সমাবেশের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এসবের পর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তুলে নেওয়ার ৮ ঘণ্টা পর ডিবি তাদের আটকের কথা স্বীকার করে। আর দুপুর আড়াইটার পর ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশিদ জানান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও মির্জা আব্বাসকে পল্টন থানায় দায়ের করা একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।