
যশোর চৌগাছায় নির্মাণাধীন ভবনের উপর থেকে মাথায় ইট পড়ে শিশু শ্রেয়া বালার মৃত্যুর ঘটনায় রোববার (১৯ মার্চ) তার পিতা শংকর কুমার বালা ভবন মালিকসহ ৫ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন ভবনের মালিক পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হোমিও চিকিৎসক জিল্লুর রহমান (৬৫), ঘটনার সময় ভবনে কর্মরত রাজমিস্ত্রি উপজেলার পাতিবিলা ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের রেজাউল ইসলাম (৫০) ও তার ছেলে মাহফুজুর রহমান (২৫), সাইফুল ইসলাম (৩৫) এবং জগদীশপুর ইউনিয়নের স্বর্পরাজপুর গ্রামের বাসিন্দা জিয়াউর রহমান (৪৫)।
এ ঘটনায় ভবনের মালিক জিল্লুর রহমান ও মিস্ত্রি রেজাউল ইসলামকে প্রথমে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
শিশুটির স্বজনরা জানান, শনিবার (১৮ মার্চ) রাতে তার ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয় যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে। রাত ১০ টার দিকে মরদেহ নিয়ে উপজেলার নিরিবিলিপাড়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত সকলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে পৌরসভার পান্টিপাড়া মহাশ্মশানে শ্রেয়া বালার সৎকাজ সম্পন্ন হয়।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সবুজ শ্রেয়া বালার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা ও দুইজন গ্রেফতার নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার সকালে মায়ের সাথে শিশু শ্রেয়া বালা তার বিদ্যালয়ের শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে যায়। পড়া শেষে সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে মা তার সন্তানকে সাথে নিয়ে বাজারে তার বাবার দোকানে যাচ্ছিলেন। বাবার দোকানের সামনেই নির্মাণাধীন বহুতল ভবনের উপর থেকে একটি ইট পড়ে শিশু শ্রেয়া বালা গুরুতর জখম হয়। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।