প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ রোববার ২৪টি কৃষক, ক্ষেতমজুর, শ্রমিক ও পেশাজীবীদের যুক্ত বিবৃতিতে ভোলায় জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ভূমিহীন কিষাণী নেত্রী বকুল বেগমকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার তীব্র নিন্দা, হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতা নেতৃবৃন্দ হলেন, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড বদরুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খান, বাংলাদেশ কিষাণী সভার সভানেত্রী ডাঃ সামসুন নাহার খান ডলি ও সাধারণ সম্পাদিকা সাবিনা ইয়াসমিন, ভ্যাকোলাইট শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সোহরাওয়ার্দী ও সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন লিটন, বাংলাদেশ ভাসমান নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হোসনে আরা বেগম ও সাধারণ সম্পাদক জাহানারা বেগম, বাংলাদেশ গ্রামীন বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহ্বায়ক আবদুল হাই মাষ্টার, গণছায়া সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সভাপতি মোতাহার হোসেন, জাতীয় কৃষক জোটের সভাপতি নুরুল আলম কাওসার ও সাধারন সম্পাদক আশেক এলাহি, শ্রমজীবী আন্দোলনের সভাপতি শ্রমিক নেতা হারুন অর রশিদ, বাংলাদেশ চাষী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সুলতান আহমেদ বিশ্বাস, ভূমিহীন গণপরিষদের আহবায়ক কামরুজ্জামান ফিরোজ, সারা বাংলার কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলি আনোয়ার, সোনার বাংলা পার্টির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ হারুন—অর—রশিদ, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি কুদরাত—ই—খোদা তোতন ও সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শামীম আরা ও সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন, রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি লাভলী ইয়াসমিন, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, একতা গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম আক্তার শিউলি, মাদারল্যান্ড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি সালেহা ইসলাম শান্তনা ও সাধারণ সম্পাদক আল—আমিন, গণতন্ত্রের গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাচ্চু মিয়া, বাঁচতে শিখ নারীর সভাপতি ফিরোজা বেগম।
নেতৃবৃন্দ যুক্ত বিবৃতিতে ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা মুজিবনগর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড সিকদারের চরের মুজিব নগর ভূমিহীন সমবায় সমিতির নেত্রী, বাংলাদেশ কিষাণী সভার স্থানীয় সভানেত্রী ও মুজিব নগর ইউনিয়ন ভূমিহীন সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সদস্য, ভোলা জেলার নেতা আলম বাচ্চুর সহধর্মিনী বকুল বেগমকে গত ৩০ নভেম্বর’২২ গভীর রাতে চিহ্নিত সন্ত্রাসী চক্র দেশীয় ধারালো অগ্র দিয়ে কূপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা এবং বকুলের বড় বোন মুকুল বেগমকে কূপিয়ে জখম করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে চিহ্নিত দুষ্কৃতকারী, সন্ত্রাসী, ভূমি দস্যু ও খুনীদের গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, মুমূর্ষু অবস্থায় মুকুল বেগমকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়। গত ১ লা ডিসেম্বর বরিশাল শেরে ই বাংলা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে চিকিৎসকের পরামর্শে মুকুল বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করেন। তার চিকিৎসার জন্য যাবতীয় খরচাদি সরকারীভাবে বহন করার জন্য সরকারের নিকট আহবান জানান।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে আরো বলেন, নিহত বকুল বেগমের স্বামী আলম বাচ্চু মেলকার ২৯ নভেম্বর দিবাগত রাতে আবদুল মালেক মেম্বারের সাথে ভোলা সদরে ভূমিদস্যু সন্ত্রাসীদের দায়েরকৃত একটি মিথ্যা মামলায় জামিন নেওয়ার জন্য ভোলার মূল ভূমিতে যান। গভীর রাতে ঘুমান্ত অবস্থায় স্বামী—স্ত্রী একই বিছানায় আছে মনে করে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপুর্যপরি কোপাতে থাকেন এবং বকুল বেগমকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, নিহত বকুল বেগম জীবনদ্দশায় তার ও তার স্বামীর জীবননাশের আশাংকা করে হুমকিদাতাদের বিরুদ্ধে দুলার হাট থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও ভোলার জেলার পুলিশ সুপার বরাবর চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতেও তার শেষ রক্ষা হলো না।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে, স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন হত্যা মামলা করার জন্য বকুলের স্বামী আলম বাচ্চু দুলারহাট থানায় অভিযোগ নিয়ে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্কেল এসপির রহস্যময় ভূমিকার কারণে এখনো পর্যন্ত হত্যা মামলা রুজু হয়নি। তাঁরা অনতিবিলম্বে এজাহারে উল্লেখিত আসামীদের নামে মামলা রুজু করে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবী জানান।