ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ৩০ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত Logo আধুনিক ও যুগোপযোগী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান সেনাপ্রধানের Logo বাংলাদেশ আর্মি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজিতে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং উৎসব Logo একই দিনে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন ঘোষণায় জনগণের অভিপ্রায় উপেক্ষা করা হয়েছে.. জামায়াত Logo গণভোটে যে চার প্রশ্ন থাকবে Logo জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন গণভোট… প্রধান উপদেষ্টা Logo জাজিরায় নুসার উদ্যোগে জেন্ডার–বান্ধব স্যানিটেশনে শিক্ষার্থী ব্রিগেড সক্রিয়করন Logo ঈশ্বরগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ চিনির ট্রাকের আগুন (ভিডিও) Logo জাজিরায় নারী গোষ্ঠী ও নেটওয়ার্ককে নুসা’র পুরস্কার প্রদান

মাটি খেকো অহিদুরের নেতৃত্বে কাঁকড়ি নদীতে মাটি কাটার ‘মহোৎসব’

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কাঁকড়ি নদীর ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। দীর্ঘ দিন ধরে মাটি লুটে নিয়ে এই নদীর অপরুপ সৌন্দর্য ধ্বংস করছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এ নিয়ে স্থানীয় সমাজসেবী সংগঠনসহ সচেতন মহলের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করলেও রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন।
উপজেলার উজিরপুর, কালিকাপুর, শ্রীপুর ও কাশিনগরের বিভিন্ন স্থানে কাঁকড়ি নদীর চর এলাকা থেকে ৪ নং শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মফিজুর রহমানের ভাই অহিদুর রহমানের শেল্টারে চক্রটি দিনের বেলায় অবাধে বালি ও মাটি কেটে বিক্রি করে দিলেও নিয়মিত ‘ভাগ’ পেয়ে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না প্রশাসন এমন অভিযোগ এলাকার লোকজনের। এদিকে চরের পাশাপাশি নদী রক্ষা বাধের নিকটস্থ মাটি কেটেও বিক্রি করে দিয়েছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
এলাকার সচেতন মহলের দাবি- যে কোন সময় নদীতে পানি বাড়লে নদীর পাড় ভেঙে নদীর পানিতে এলাকা তলিয়ে যেতে ১ঘন্টাও সময় লাগবে না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চৌদ্দগ্রামের ঐতিহ্য কাঁকড়ি নদীর মিয়া বাজার, ঘাসিগ্রাম, পরাণপুর, রামচন্দ্রপুর, শ্রীপুর, বালুধুম, কলাবাগান ও অলিপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনে-দুপুরে চর কেটে অবাধে মাটি বিক্রি করছে এ চক্রটি।
এছাড়া বিক্রি হওয়া মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে পরিবহনের কারণে নদীর মূল প্রতিরক্ষা বাঁধও হুমকির মুখে। মূল বাঁধের ওপর দিয়ে চর থেকে মাটি কাটার কারণে হাজার হাজার জনসাধারণ ও স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রীদের চলাচল করার জন্য মূল বাঁধের ওপর নির্মিত পাকা-কাঁচা রাস্তা যত্রতত্র ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের লোকজন জানান, প্রশাসনের নাকের ডগায় ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এভাবে মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে আনা-নেওয়ার ফলে এসব এলাকার লোকজনের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
মাটি খেকো অহিদুর রহমান দীর্ঘ দিন থেকে শুকনো মৌসুম আসলেই থানার কিছু অসাধু অফিসারের সহযোগিতায় কোটি কোটি টাকার মাটির ব্যবসা করে আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়ে এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে যাচ্ছেন, মাটির ব্যবসার তার নিজস্ব একটা সিন্ডিকেট আছে এদের মধ্যে অন্যতম ১)মোঃ জাকির হোসেন, পিতা:- আতর আলী,গ্রাম: বাগৈ গ্রাম
২)মোঃ লিটন মিয়া, (থানার সোর্স দাবী করেন নিজেকে) পিতা: ছারু মিয়া,
গ্রাম:- বালুধূম ৩) সফিউল আলম গ্রাম রামচন্দ্রপুর
এদের কে নিয়ে বর্তমানে চলছে হরিলুট মাটি কাটার মহোউৎসব,
বিশেষ করে এলাকায় প্রচলিত আছে মোঃ লিটন মিয়া নিজেকে থানার সোর্স দাবি করে থানা তার হাতের মুঠোয়, থানা তার কথায় উঠে বসে এসব এলাকায় বলে বেড়ান, এছাড়া থানার ভয় দেখিয়ে এলাকার মানুষ কে বিভিন্ন সময় মামলার ভয় দেখিয়ে মারধর করে থাকেন,

প্রতি বছর অবাধে অপরিকল্পিতভাবে বালি ও মাটি কেটে নেওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ২-৩টি পয়েন্টে নদী ভাঙনের সম্ভাবনা দেখা দেয়। যার ফলে তীরবর্তী বাড়ি-ঘর, ভিটে-মাটি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অনেক পরিবারকে বাড়িঘর হারিয়ে অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। নেমে আসে প্রবল বন্যা। জনজীবন হয়ে পড়ে বিপর্যস্ত। এদিকে বেপরোয়া প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও সড়ক ও বাঁধের বিধ্বস্ত অংশগুলো মেরামত বা সংস্কারে সরকারকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পালকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

রাজশাহীতে বাসায় ঢুকে বিচারকের ছেলেকে কুপিয়ে হত্যা, স্ত্রী আহত

SBN

SBN

মাটি খেকো অহিদুরের নেতৃত্বে কাঁকড়ি নদীতে মাটি কাটার ‘মহোৎসব’

আপডেট সময় ০২:৩৫:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ জুলাই ২০২৩

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ঐতিহ্যবাহী কাঁকড়ি নদীর ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। দীর্ঘ দিন ধরে মাটি লুটে নিয়ে এই নদীর অপরুপ সৌন্দর্য ধ্বংস করছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা। এ নিয়ে স্থানীয় সমাজসেবী সংগঠনসহ সচেতন মহলের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করলেও রক্ষক হয়ে ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন।
উপজেলার উজিরপুর, কালিকাপুর, শ্রীপুর ও কাশিনগরের বিভিন্ন স্থানে কাঁকড়ি নদীর চর এলাকা থেকে ৪ নং শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার মফিজুর রহমানের ভাই অহিদুর রহমানের শেল্টারে চক্রটি দিনের বেলায় অবাধে বালি ও মাটি কেটে বিক্রি করে দিলেও নিয়মিত ‘ভাগ’ পেয়ে কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না প্রশাসন এমন অভিযোগ এলাকার লোকজনের। এদিকে চরের পাশাপাশি নদী রক্ষা বাধের নিকটস্থ মাটি কেটেও বিক্রি করে দিয়েছে সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
এলাকার সচেতন মহলের দাবি- যে কোন সময় নদীতে পানি বাড়লে নদীর পাড় ভেঙে নদীর পানিতে এলাকা তলিয়ে যেতে ১ঘন্টাও সময় লাগবে না।

অনুসন্ধানে জানা যায়, চৌদ্দগ্রামের ঐতিহ্য কাঁকড়ি নদীর মিয়া বাজার, ঘাসিগ্রাম, পরাণপুর, রামচন্দ্রপুর, শ্রীপুর, বালুধুম, কলাবাগান ও অলিপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় দিনে-দুপুরে চর কেটে অবাধে মাটি বিক্রি করছে এ চক্রটি।
এছাড়া বিক্রি হওয়া মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে পরিবহনের কারণে নদীর মূল প্রতিরক্ষা বাঁধও হুমকির মুখে। মূল বাঁধের ওপর দিয়ে চর থেকে মাটি কাটার কারণে হাজার হাজার জনসাধারণ ও স্কুল-কলেজ পড়–য়া ছাত্রছাত্রীদের চলাচল করার জন্য মূল বাঁধের ওপর নির্মিত পাকা-কাঁচা রাস্তা যত্রতত্র ভেঙে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের লোকজন জানান, প্রশাসনের নাকের ডগায় ভোর থেকে রাত পর্যন্ত এভাবে মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে আনা-নেওয়ার ফলে এসব এলাকার লোকজনের ঘুম হারাম হয়ে গেছে।
মাটি খেকো অহিদুর রহমান দীর্ঘ দিন থেকে শুকনো মৌসুম আসলেই থানার কিছু অসাধু অফিসারের সহযোগিতায় কোটি কোটি টাকার মাটির ব্যবসা করে আংগুল ফুলে কলাগাছ হয়ে এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন করে যাচ্ছেন, মাটির ব্যবসার তার নিজস্ব একটা সিন্ডিকেট আছে এদের মধ্যে অন্যতম ১)মোঃ জাকির হোসেন, পিতা:- আতর আলী,গ্রাম: বাগৈ গ্রাম
২)মোঃ লিটন মিয়া, (থানার সোর্স দাবী করেন নিজেকে) পিতা: ছারু মিয়া,
গ্রাম:- বালুধূম ৩) সফিউল আলম গ্রাম রামচন্দ্রপুর
এদের কে নিয়ে বর্তমানে চলছে হরিলুট মাটি কাটার মহোউৎসব,
বিশেষ করে এলাকায় প্রচলিত আছে মোঃ লিটন মিয়া নিজেকে থানার সোর্স দাবি করে থানা তার হাতের মুঠোয়, থানা তার কথায় উঠে বসে এসব এলাকায় বলে বেড়ান, এছাড়া থানার ভয় দেখিয়ে এলাকার মানুষ কে বিভিন্ন সময় মামলার ভয় দেখিয়ে মারধর করে থাকেন,

প্রতি বছর অবাধে অপরিকল্পিতভাবে বালি ও মাটি কেটে নেওয়ায় বর্ষা মৌসুমে ২-৩টি পয়েন্টে নদী ভাঙনের সম্ভাবনা দেখা দেয়। যার ফলে তীরবর্তী বাড়ি-ঘর, ভিটে-মাটি, ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অনেক পরিবারকে বাড়িঘর হারিয়ে অসহায় অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়। নেমে আসে প্রবল বন্যা। জনজীবন হয়ে পড়ে বিপর্যস্ত। এদিকে বেপরোয়া প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও সড়ক ও বাঁধের বিধ্বস্ত অংশগুলো মেরামত বা সংস্কারে সরকারকে প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পালকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।