ঢাকা ০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo ওবায়দুল কাদের আমার বাসায় না এসে বিদেদেশ পালিয়েছে : মির্জা ফখরুল Logo খাগড়াছড়িতে গণপিটুনিতে যুবকের মৃত্যু Logo খাগড়াছড়িতে ইসলামী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দুদের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় Logo সিএমজি’র ‘রিটেন ইন দ্য স্কাই: মাই চায়না স্টোরি’ কার্যক্রম Logo দক্ষিণ চীন সাগরে উস্কানির পিছনে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা রয়েছে Logo সিলেটের গোয়াইনঘাট রাতারগুল হারাচ্ছে পর্যটন আকর্ষণ Logo কৃষি ও গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নে চীন অনেক দেশের জন্য অনুকরণীয় Logo চীনা দ্রব্যে মার্কিন শুল্কারোপের পিছনে রাজনৈতিক অর্থ খুবই সুস্পষ্ট Logo মেধাবীরা কেন সাংবাদিকতা ছাড়ছেন Logo খাগড়াছড়িতে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের বিক্ষোভ মিছিল

মুক্তিযোদ্ধা বিশু সরেনের কবর ফিরে পেলেন স্থানীয় আদিবাসিরা

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে;
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সংখ্যালঘু আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রায় দুইশত বছরের পুরনো পুর্ব পুরুষের স্মৃতি বিজড়িত কবরস্থান প্রভাবশালী কর্তৃক দখল ও কবরস্থান ধবংস করার প্রতিবাদে করা মানববন্ধনের সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচারের পর মুক্তিযোদ্ধা বিশু সরেনের গুড়িয়ে দেওয়া কবরসহ কবরস্থান ফিরে পেলেন স্থানীয় আদিবাসিরা।

গত ১২ নভেম্বর দুপুর ১২ টায় উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের জয়ন্তীসহ তিন গ্রামের প্রায় ২শত জন আদিবাসী নারী ও পুরুষ কবরস্থান ফিরে পাবার দাবিতে মানববন্ধন করেন। সেই সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচারের পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মানিক রতন এর মধ্যস্থতায় কবরস্থান এর জায়গার দাবিদার রুদ্রানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাদেকুল ইসলাম ও আদিবাসীদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত বিষু সরেনের ছেলে বাপুই সরেন বাবুলাল হাসদা, ভগলু সরেন। দু’পক্ষের আলোচনার মধ্যে ২৫ শতক জায়গা কবরস্থানের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং গুড়িয়ে দেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশু সরেনের কবরটি মেরামত করে সেখানে একটি নাম ফলক লাগানোর সিন্ধান্ত হয়। এতে তিন গ্রামের সকল আদিবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, রুদ্রানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত জায়গায় প্রায় ২শত বছর ধরে স্থানীয় আদিবাসীরা তাদের মৃত্য ব্যাক্তিদের কবরস্থ্য করে আসছিলো। বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে সেই জায়গায় মাল্টা চাষের জন্য ইজারা দিলে ইজারাদার সেই জায়গায় চাষ দেয়। সেখানে থাকা কবর গুলো ধবংস হলে আদিসাবীরা তাদের স্মৃতি বিজড়িত কবরগুলোর রক্ষায় ও কবরস্থান ফিরে পাবার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। সেই সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ হলে গতকাল স্থানীয় প্রতিনিধি ও আদিবাসীদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিষু সরেনের স্মরণে একটি ফলক তার কবরস্থানে স্থাপন করা হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ওবায়দুল কাদের আমার বাসায় না এসে বিদেদেশ পালিয়েছে : মির্জা ফখরুল

SBN

SBN

মুক্তিযোদ্ধা বিশু সরেনের কবর ফিরে পেলেন স্থানীয় আদিবাসিরা

আপডেট সময় ১০:৫৭:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০২২

মোহাম্মদ আজগার আলী, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) থেকে;
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সংখ্যালঘু আদিবাসী সম্প্রদায়ের প্রায় দুইশত বছরের পুরনো পুর্ব পুরুষের স্মৃতি বিজড়িত কবরস্থান প্রভাবশালী কর্তৃক দখল ও কবরস্থান ধবংস করার প্রতিবাদে করা মানববন্ধনের সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচারের পর মুক্তিযোদ্ধা বিশু সরেনের গুড়িয়ে দেওয়া কবরসহ কবরস্থান ফিরে পেলেন স্থানীয় আদিবাসিরা।

গত ১২ নভেম্বর দুপুর ১২ টায় উপজেলার কাজিহাল ইউনিয়নের জয়ন্তীসহ তিন গ্রামের প্রায় ২শত জন আদিবাসী নারী ও পুরুষ কবরস্থান ফিরে পাবার দাবিতে মানববন্ধন করেন। সেই সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রচারের পর স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মানিক রতন এর মধ্যস্থতায় কবরস্থান এর জায়গার দাবিদার রুদ্রানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাদেকুল ইসলাম ও আদিবাসীদের পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত বিষু সরেনের ছেলে বাপুই সরেন বাবুলাল হাসদা, ভগলু সরেন। দু’পক্ষের আলোচনার মধ্যে ২৫ শতক জায়গা কবরস্থানের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং গুড়িয়ে দেওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশু সরেনের কবরটি মেরামত করে সেখানে একটি নাম ফলক লাগানোর সিন্ধান্ত হয়। এতে তিন গ্রামের সকল আদিবাসী সন্তোষ প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, রুদ্রানী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যাক্ত জায়গায় প্রায় ২শত বছর ধরে স্থানীয় আদিবাসীরা তাদের মৃত্য ব্যাক্তিদের কবরস্থ্য করে আসছিলো। বিদ্যালয়ের প্রয়োজনে সেই জায়গায় মাল্টা চাষের জন্য ইজারা দিলে ইজারাদার সেই জায়গায় চাষ দেয়। সেখানে থাকা কবর গুলো ধবংস হলে আদিসাবীরা তাদের স্মৃতি বিজড়িত কবরগুলোর রক্ষায় ও কবরস্থান ফিরে পাবার দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে। সেই সংবাদ বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশ হলে গতকাল স্থানীয় প্রতিনিধি ও আদিবাসীদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান হয়। পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা বিষু সরেনের স্মরণে একটি ফলক তার কবরস্থানে স্থাপন করা হয়।