ঢাকা ০৫:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

যশোরে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ

উৎপল ঘোষ, যশোর প্রতিনিধিঃ যশোর মনিরামপুর উপজেলার দুই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে একটি পরিবারকে সর্বশান্ত করেছে।
ভূক্তভোগী নজরুল ধাবক (৪০) জানান, উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারঘাটা এলাকার প্রতারকচক্রের হোতা রফিকুল ফকিরের ছেলে রোস্তম আলী ফকির ও গোপালগঞ্জ জেলার টংগীপাড়া, উপজেলার গীমাডাঙ্গা গ্রামের মৃতঃ বারিক সরদারের পুত্র আমিনুল ইসলাম সরদার-(৪৩) তিনটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে মোট ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুই প্রতারক এলাকা থেকে লাপাত্তা।
এলাকার একাধিক ব‍্যাক্তির সাক্ষাৎকালে জানা যায়, নজরুলের পরিবার আজ সর্বশান্ত। তিনটি সরকারি চাকুরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বিষয়টি আমরা জানি।জেনেও আমাদের আজ করার কিছু নেই।খারণ দুই প্রতারক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর এলাকা ছাড়া। প্রতারকরা পুলিশ কনস্টেবল, এনএসআই ও এসেন্সিয়াল ড্রাগ কোংএই তিনটি চাকুরী দিবেন বলে প্রার্থীর নিকট থেকেই মোট ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিল প্রতারকরা। ২০১৯ সালে রুস্তম আলী ফকিরের মাধ্যমে টাকা দেওেয়া হয় আমিনুলকে lসকল প্রতারণায় মূলহোতা আমিনুল ও রুস্তম আলী ফকির।
ভুক্তভোগী জানান রুস্তম ফকির প্রথমে ১৫ লক্ষ টাকা নেয়। কিছুদিন অতিবাহিত হলে, আরও আমিনুলকে ১০লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। প্রতারক আমিনুল ও,রুস্তমকে চাকুরির জন্য চাপ দেয়।তারপর থেকেই ভুক্তভোগীদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে ফেইসবুকে ছবি,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার,চাচাতো ভাই শেখ হেলাল ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরীর উর্ধতন পুলিশ অফিসারদের পাশে থাকা প্রতারক আমিনুল সরদারের ছবি আপলোড দিয়ে প্রতারণার আরো একটি নতুন কৌশল প্রয়োগ করে।ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম কে মুঠো ফোনে জানায়, আমিনুল আপনার ভাগীনার মামাতো ভাই ইনামুলের চাকরি কনফার্ম হয়ে গেছে,তবে বাকি ১০ লক্ষ টাকা দ্রুত পাঠাতে হবে।প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কলঙ্কিত করেছে।ভুক্তভোগীরা তখনই এন জি ওর ঋণ,গরু,জমি বিক্রি করে টাকা পাঠায়। বিভিন্ন সময়ে ব‍্যাংক একাউন্টে বিকাশ,ও এস এ পরিবহনের মাধ্যমে টাকা নেয় প্রতারক আমিনুল সরদার। অবশেষে টাকা পরিশোধ হলে চাকুরীতে জয়েন্ট করবে কখন জানতে চাইলে, একাধিক ওয়াদা দিয়েই চলেছেন দুই প্রতারক।যখন ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারলো তাদের সকলের সাথে চাকুরীরনামে প্রতারণা করেছেন।প্রতারকরা জানায়,আপনারদের টাকা ফেরত‍্য দেওেয়া হবে আপনারা একটুঅপেক্ষা করেন।অবশেষে নিরুপায় হয়ে,
ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালত মনিরামপুর যশোর অভিযোগ করেন। ১৪-০৬-২২,ইং,(সি,আর মামলা নং ৪৪০/২০২২খ্রিঃ) মামলাটি যশোর সি আইডির নিকট তদন্ত দেন মামলাটি এখনো তদন্ত চলছে।
যশোর পুলিশ ব‍্যুরো ইনভিষ্টিকেশন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে,কর্মকর্তা বলেন, তাড়াতাড়ি চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নারীর অধিকার নারীকেই আদায় করে নিতে হবে- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

SBN

SBN

যশোরে সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির নামে প্রতারণার অভিযোগ

আপডেট সময় ১১:৫৯:৩২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২ জানুয়ারী ২০২৩

উৎপল ঘোষ, যশোর প্রতিনিধিঃ যশোর মনিরামপুর উপজেলার দুই প্রতারকের খপ্পরে পড়ে একটি পরিবারকে সর্বশান্ত করেছে।
ভূক্তভোগী নজরুল ধাবক (৪০) জানান, উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের কুমারঘাটা এলাকার প্রতারকচক্রের হোতা রফিকুল ফকিরের ছেলে রোস্তম আলী ফকির ও গোপালগঞ্জ জেলার টংগীপাড়া, উপজেলার গীমাডাঙ্গা গ্রামের মৃতঃ বারিক সরদারের পুত্র আমিনুল ইসলাম সরদার-(৪৩) তিনটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে মোট ২৫ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে দুই প্রতারক এলাকা থেকে লাপাত্তা।
এলাকার একাধিক ব‍্যাক্তির সাক্ষাৎকালে জানা যায়, নজরুলের পরিবার আজ সর্বশান্ত। তিনটি সরকারি চাকুরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয় বিষয়টি আমরা জানি।জেনেও আমাদের আজ করার কিছু নেই।খারণ দুই প্রতারক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পর এলাকা ছাড়া। প্রতারকরা পুলিশ কনস্টেবল, এনএসআই ও এসেন্সিয়াল ড্রাগ কোংএই তিনটি চাকুরী দিবেন বলে প্রার্থীর নিকট থেকেই মোট ২৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিল প্রতারকরা। ২০১৯ সালে রুস্তম আলী ফকিরের মাধ্যমে টাকা দেওেয়া হয় আমিনুলকে lসকল প্রতারণায় মূলহোতা আমিনুল ও রুস্তম আলী ফকির।
ভুক্তভোগী জানান রুস্তম ফকির প্রথমে ১৫ লক্ষ টাকা নেয়। কিছুদিন অতিবাহিত হলে, আরও আমিনুলকে ১০লক্ষ টাকা দেওয়া হয়। প্রতারক আমিনুল ও,রুস্তমকে চাকুরির জন্য চাপ দেয়।তারপর থেকেই ভুক্তভোগীদের পরিবারকে সান্ত্বনা দিতে ফেইসবুকে ছবি,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখহাসিনার,চাচাতো ভাই শেখ হেলাল ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরীর উর্ধতন পুলিশ অফিসারদের পাশে থাকা প্রতারক আমিনুল সরদারের ছবি আপলোড দিয়ে প্রতারণার আরো একটি নতুন কৌশল প্রয়োগ করে।ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম কে মুঠো ফোনে জানায়, আমিনুল আপনার ভাগীনার মামাতো ভাই ইনামুলের চাকরি কনফার্ম হয়ে গেছে,তবে বাকি ১০ লক্ষ টাকা দ্রুত পাঠাতে হবে।প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কলঙ্কিত করেছে।ভুক্তভোগীরা তখনই এন জি ওর ঋণ,গরু,জমি বিক্রি করে টাকা পাঠায়। বিভিন্ন সময়ে ব‍্যাংক একাউন্টে বিকাশ,ও এস এ পরিবহনের মাধ্যমে টাকা নেয় প্রতারক আমিনুল সরদার। অবশেষে টাকা পরিশোধ হলে চাকুরীতে জয়েন্ট করবে কখন জানতে চাইলে, একাধিক ওয়াদা দিয়েই চলেছেন দুই প্রতারক।যখন ভুক্তভোগীরা বুঝতে পারলো তাদের সকলের সাথে চাকুরীরনামে প্রতারণা করেছেন।প্রতারকরা জানায়,আপনারদের টাকা ফেরত‍্য দেওেয়া হবে আপনারা একটুঅপেক্ষা করেন।অবশেষে নিরুপায় হয়ে,
ভুক্তভোগী নজরুল ইসলাম, বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালত মনিরামপুর যশোর অভিযোগ করেন। ১৪-০৬-২২,ইং,(সি,আর মামলা নং ৪৪০/২০২২খ্রিঃ) মামলাটি যশোর সি আইডির নিকট তদন্ত দেন মামলাটি এখনো তদন্ত চলছে।
যশোর পুলিশ ব‍্যুরো ইনভিষ্টিকেশন এর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে,কর্মকর্তা বলেন, তাড়াতাড়ি চার্জশিট আদালতে দাখিল করা হবে।