
বিশেষ প্রতিনিধি
“যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবিব দুর্নীতির মাধ্যমে কোটিপতি” শিরোনামে ৩০শে সেপ্টেম্বর-০২৪ ইং তারিখে দৈনিক মুক্তি লড়াই পত্রিকার অনলাইন ভার্সন ও ২ই অক্টোবর-০২৪ ইং তারিখে প্রিন্ট ভার্সনে তার অনিয়ম দুর্নীতির একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর দুর্নীতিবাজ আহসান হাবিব প্রথমে তার পোষ্য (মাসিক মাসোয়ারা প্রাপ্ত) সাংবাদিক নামধারী কিছু কতিপয় দালালের মাধ্যমে এই প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে সংবাদটি অনলাইন থেকে সরিয়ে নেওয়া এবং প্রিন্ট ভার্সনে প্রতিবাদ দেওয়ার বিনিময়ে উৎকোচ দেওয়ার প্রস্তাব দিতে থাকেন, যাহা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ সাংবাদিকতা পেশার সাথে সাংঘর্ষিক।
ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবিবের পক্ষে সাফাই গাওয়া ওই সকল পোষ্য,তথাকথিত সাংবাদিক নামধারী কতিপয় দালাল গংদের প্রত্যেকে এই প্রতিবেদক প্রশ্ন করেন আহসান হাবিব এর বিরুদ্ধে প্রকাশিত অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ কি মিথ্যে? উত্তরে তারা বলেন ভাই সরকারি চাকরি যখন করে তখন অনিয়ম-দূর্নীতি তো থাকবেই এতো দোষের কিছু নয়! তার পরে ও আপনার কি লাগবে,আপনি কি হলে আহসান হাবিব এর প্রতিবাদ দিতে পারবেন বলেন? (আহসান হাবীবের ওই সকল পোষ্য তথাকথিত সাংবাদিক নামধারী দালাল গংদের কথোপকথনের রেকর্ড সংরক্ষিত) পরবর্তীতে দুর্নীতিবাজ ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবিব প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে বলেন সাংবাদিক ইলিয়াস এর সাথে আপনি কথা বলেন আমার বিষয় নিয়ে, আমি আমার বক্তব্য তার কাছে বলেছি দয়া করে আপনি সাংবাদিক ইলিয়াছ নামক ব্যক্তির সাথে কথা বলেন এই বলে মুঠোফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
ট্রান্সপোর্ট মেকানিক দুর্নীতিবাজ আহসান হাবিব এর মুঠো ফোনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াসের ছোট ভাই জনৈক মাহমুদ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ে ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত।এবং ড্রাইভার মাহমুদ এর ভাই হচ্ছে একটি দৈনিক পত্রিকা অফিসের স্টাফ (ওই দৈনিক পত্রিকাটির নাম আপাতত গোপন রাখা হয়েছে প্রয়োজনে প্রকাশিত করা হবে)।
পরবর্তীতে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে গিয়ে বেশ কয়েকজন কর্মচারীর সাথে কথা বললে তার নাম প্রকাশ না করা শর্তে প্রতিবেদককে বলেন ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবিব এর অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পরে যুব উন্নয়ন ভবনে তার মুখোশ উন্মোচিত হয়ে যায় সেই থেকে তিনি প্রকাশ্যে হুংকার দিয়ে বলে বেড়ান প্রয়োজনে আমি আহসান হাবিব ওই সাংবাদিককে কোটি টাকা দিবো তার পরে ও বের করে ছাড়ব কে বা কারা আমার এই সকল অনিয়ম দুর্নীতি ও গাড়ি, বাড়ী, ফ্ল্যাট সহ হুবহু সকল তথ্য প্রমাণ সাংবাদিক কে দিয়েছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কর্মরত আহসান হাবিব এর একজন সহকর্মী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এই প্রতিবেদককে জানান আহসান হাবিবের অনিয়ন দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তিনি এখন আর তার ব্যবহৃত গাড়ি যুব ভবনে নিয়ে আসেন না গাড়ি মতিঝিল থানা এলাকার অন্য কোথাও রেখে পরে অফিসে আসেন। এখন প্রশ্ন জাগে সীমাহীন অনিয়ম-দূর্নীতি করে কোটিপতি বনে যাওয়া আহসান হাবিব এর আসলে খুঁটির জোর কোথায়?
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ে ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এইসব অভিযোগ করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয় কর্মরত তার সহকর্মীরা।যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে তৃতীয় শ্রেণীর পদে চাকরি করা আহসান হাবিব এর রয়েছে অত্যাধুনিক বাড়ি গাড়ি ফ্ল্যাট প্লট ও বিভিন্ন ব্যাংকের নামে কোটি টাকার এফডিআর ও সঞ্চয়পত্র।এছাড়া ওর নামে বেনামে রয়েছে প্রায় কয়েক কোটি টাকা সম্পত্তি।
অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় গড়েছেন রাজধানী ঢাকার সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় চারতালা বাড়ি, পুরান ঢাকার নারিন্দা এলাকায় প্রায় কোটি টাকা মূল্যের অত্যাধুনিক ফ্ল্যাট, গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার লাকসামে বিলাসবহুল ডুপ্লেক্স বাড়ি পরিবারের ব্যবহারের জন্য রয়েছে গাড়ি। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীব এর তিন ছেলের মধ্যে দুই জন লেখা পড়া করে ঢাকার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে আরেক ছেলে সেন্ট জোসেফ স্কুলে অধ্যায়নরত রয়েছে।
অন্যদিকে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান, পদ পদবী অনুযায়ী পাসপোর্ট মেকানিক আহসান হাবিবের সরকারি বরাদ্দকৃত গাড়ি গুলো তার ব্যবহারের অনুমতি না থাকলেও তিনি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জন্য বরাদ্দকৃত গাড়ি নিজের ইচ্ছামতো যখন যেটা খুশি ওই গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন যাহা সম্পূর্ণরূপে বেআইনি ও সরকারি চাকরির বিধি-বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের অন্য একটি সূত্র থেকে জানা যায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে নিলাম কয়েকটি গাড়ি বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ উক্ত নিলামকৃত গাড়ি থেকে আহসান আবির একটি গাড়ির নিজ নামে ক্রয় করেন এবং উক্ত গাড়ির সকল প্রকার জ্বালানি এবং রক্ষণাবেক্ষণ গাড়ি চালানোর জন্য যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ড্রাইভার সহ যাবতীয় খরচ সরকারি কোষাগার থেকে ব্যয় করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রধান কার্যালয়ের ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবিব এর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ তিনি তার ব্যক্তিগত কাজের জন্য একজন এমএলএসএস কে সার্বক্ষণিক তার ব্যক্তিগত কাজের জন্য ব্যবহার করে থাকেন বিনিময়ে ঐ এমএলএসএস কে তিনি সরকারি অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকেন।নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কয়েকজন কর্মচারী বলেন মাত্র ৩০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করে আহসান হাবিব কিভাবে ঢাকায় বাড়ি গাড়ি ফ্ল্যাট প্লট গ্রামের বাড়িতে গ্রামের বাড়িতে ডুপ্লেক্স বাড়ি তিন ছেলের স্বনামধন্য স্কুলে লেখাপড়ার খরচ বহন করেন তা আমাদের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারীদের বোধগম্য নয়।তারা আরও বলেন এহেন দুর্নীতিবাজ গংরা দেশ ও জাতির শত্রু।
অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে জানতে ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীবের মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জানার সাথে সাথে মুঠো ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন,পরবর্তীতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও খুঁদে বার্তা পাঠালেও কোন প্রকার সাড়া পাওয়া যায়নি।
ট্রান্সপোর্ট মেকানিক আহসান হাবীবের অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত আরও সম্পদের অনুসন্ধান চলমান,,,,,