
লাকসাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:
সনাতন হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে লাকসামে উপজেলা প্রশাসনের সাথে পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে পৌর শহরের জগন্নাথ বাড়িতে এ মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের বলেন, “প্রতিমা বিসর্জন করলে জল নষ্ট হবে। তাই জগন্নাথ দীঘিতে প্রতিমা বিসর্জন করা যাবে না। নিজ নিজ দায়িত্বে প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে।”
আলোচনার পরে প্রতিমা বিসর্জনের পরপরই আবর্জনা সরিয়ে নেয়ার শর্তে শেষবারের মতো জগন্নাথ দীঘিতে পৌরসভার ১১টি প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় মেয়র আরও বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে।
সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী পূজা মন্ডপে যাতায়াতের রাস্তাঘাট ও অবকাঠামোগত বিষয়াদির খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত সমাধানের আশ্বাস দেন।
থানার ওসি আবদুল্লাহ আল মাহফুজ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সকলকে সুদৃষ্টি দেয়ার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই সিদ্দিকী, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পড়শী সাহা, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোঃ রফিকুল ইসলাম হিরা, প্রবীর সাহা, সম্বু সাহা, পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুর্জয় সাহাসহ উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন পূজা মন্ডপের প্রতিনিধিবৃন্দ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে জগন্নাথ দীঘিতে উপজেলার ২৫/৩০টি দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হতো। এবার নিষেধ করায় এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক দুর্জয় সাহা জানান, এবার পৌরসভা এলাকার ২০টিসহ উপজেলার উপজেলায় ৩৫টি মন্ডপে পূজা উদযাপন করা হবে।
তিনি বলেন, পানি নষ্ট হবে তাই বিসর্জনের পরপরই তুলে নেয়ার শর্তে শেষ বারের মতো এবছর জগন্নাথ দীঘিতে প্রতিমা বিসর্জনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকল মন্ডপের প্রতিনিধিবৃন্দ এতে সহমত পোষণ করেছেন।