
পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে লাকসামে দুই ব্যবসায়ীর মাঝে সংঘর্ষে অন্তত ৩ আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আবুল বাশার চোটন (৩৫) কুমিল্লা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ১২টায় লাকসাম রেলওয়ে জংশন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ইয়াকুব আলী সুমন বাদী হয়ে স্থানীয় হোটেল ব্যবসায়ী শফিকুর রহমান ও তার দুই ছেলে রকি ও রনি’র বিরুদ্ধে রবিবার বিকালে লাকসাম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, লাকসাম পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড রেলওয়ে জংশন বাজারে মুরগী ব্যবসা করতেন ইয়াকুব আলী। ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩/৪ বছর ধরে
নগদ/বাকীতে মুরগী ক্রয় করতেন একই বাজারে আজমির হোটেলের মালিক সফিকুর রহমান। ওই হোটেল মালিকের কাছে মুরগীর বকেয়া ৩০ হাজার টাকা পাওনা মুরগী ব্যবসায়ী ইয়াকুব আলী। রবিবার মুরগী ব্যবসায়ী ইয়াকুব ও আবুল বাশার চোটন সকালে আজমির হোটেল মালিকের কাছে সেই টাকা চাওয়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে যায়।
এসময় হোটেল ব্যবসায়ি শফিকুর রহমানের ছেলে রকি ও রনি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুরগী ব্যবসায়ী ইয়াকুব ও তার ভাই আবুল বাশার চোটনকে বেদম মারধর দিয়ে গুরুতর আহত করে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সফিকুর রহমান বলেন, মুরগী ব্যবসায়ী ইয়াকুব আমার কাছে টাকা পাবে এটা সত্যি কথা। সকালে মুরগীর জন্য গেলে সে আমার সন্তানদেরকে খারাপ গালিগালাজ করে। বিষয়টি শুনে আমি আসার পূর্বে চোটন ও ইয়াকুব আমি এবং আমার ছেলেদের মারধর করে। সেখানে আমি জ্ঞান হারালে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে বাদী সুমন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শফিকুর রহমান আমাদের দোকান থেকে মুরগী বাকী নগদে হোটেলের জন্য ক্রয় করে নিতো। বিগত কয়েক মাসের প্রায় ৩০ হাজার টাকা দিচ্ছে না। আজ পাওনা টাকা চাওয়ায় শফিকুর রহমান ও তার দুই ছেলে রনি ও রকি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমাদের দুই ভাইকে এলোপাতাড়ি মারধর করে আহত করে। আনার ভাই চোটনের একটি চোখ উপড়ে ফেলার চেষ্টা করে, বর্তমানে সে গুরুতর আহত হয়ে কুমিল্লা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
লাকসাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মেজবাহ উদ্দিন ভুইঁয়া বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।