শিশির ভেজা ভোরে স্নিগ্ধ সকালের রোদ,
আপন করিতে খুঁজে বেড়ায় সবাই রোজ।
সবুজ ঘাসে সাজে মুক্ত-মনির স্নিগ্ধ সান্নিধ্যে,
মনের সাথে মন ছুঁয়ে যায় প্রফুল্লতার চিত্তে।
উষার প্রান্তে সূর্য্যিমামা উঁকি মারে ধরায়,
আবেশ ছড়িয়ে যায় কি-যে যাদু মায়ায়!
সোনালী রোদ ফুটে উঠে বুড়োবুড়ির মুখে,
স্বস্তিতে শিশু কিশোরের ঘুম ভাঙ্গে ভোরে!
গ্রামের নতুন বধূরা কাক ডাকা ভোরে উঠে,
লজ্জাবতী রাঙ্গা হয়ে কলসীকাঁকে পুকুর ঘাটে।
মাইজ্যা ভাই ও সাইজ্যা ভাই কাঁধে নাঙ্গল তুলে,
কুয়াশা ভেজা স্নিগ্ধ সকালের আলো বেধ করে।
মাঠের পর মাঠ সবুজ পাতায় হলুদ সরিষা ফুল
মন কেড়ে নিয়ে, দূর করে দেয় যত বেদনা-ভুল ।
মা-চাচিরা ব্যস্ত থাকেন নতুন পিঠা-পুলি তৈরিতে,
গরম গরম ভাপা পিঠা ও নারকেল গুড়ের সাজে।
তৃপ্তি স্বাদে খেঁজুর পায়েস দুধের খীরের পাটিসাপটা,
শীতের সকালে খেয়ে সবাই পূর্ণ করি তাই প্রাণটা।