ঢাকা ০৬:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
Logo বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবন্ধের দাবিতে বরুড়া মানববন্ধন Logo শেরপুরে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo শেরপুরে মাদক বিক্রেতা-মাদকসেবীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন Logo চাঁদপুরের কচুয়ায় জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উদযাপিত Logo মুরাদনগরে গণপিটুনিতে চোরের মৃত্যু Logo চাঁদপুরে বিনামূল্যে মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo রূপসায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গৃহকর্মী কে উপজেলা প্রশাসনের সহায়তা প্রদান Logo কচুয়ায় সাপের কামড়ে গৃহবধূর মৃত্যু Logo পাকিস্তানের হামলা, ভারতের ৩২ বিমানবন্দর ১৫ মে পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা Logo কুমিল্লায় সিনিয়র জেল সুপারকে গ্রেফতারের হুমকি এডিসির, অডিও ভাইরাল

শেরপুরে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে যুবককে হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিত

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে চালকলের মাঠে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হাবিবুর রহমান তালুকদার ওরফে লেমনকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িত সকল আসামির গ্রেপ্তার ও ফাঁসির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শেরপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়। নিহত হাবিবুর রহমান পৌরসভার দিঘারপাড় এলাকার ধান–চাল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা তালুকদারের ছেলে।

বুধবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য নূরুল ইসলাম তালুকদার, নিহত হাবিবুর রহমানের বাবা গোলাম মোস্তফা তালুকদার, মা হাসনা বানু, বোন মিতালী বেগম, ফুফু (বাবার বোন) রাশিদা বেগম, প্রতিবেশী আব্দুল গনি, মো. শাহজাহান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত শুক্রবার দিঘারপাড় এলাকায় হাবিবুরের বাবার মালিকানাধীন চালকলের মাঠে কয়েকজন তরুণ ক্রিকেট খেলতে যান। এ সময় হাবিবুর তাঁদের ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই তরুণেরা তাঁকে (হাবিবুর) ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। শনিবার রাতে ঢাকার মহাখালী মেট্রোপলিটন মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুর রহমান মারা যান। এ ঘটনায় নিহত হাবিবুরের বাবা বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। কিন্তু এখনো কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এতে নিহতের পরিবারে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। বক্তারা হাবিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আসামিদের দ্রুত বিচারসহ ফাঁসির দাবি জানান তাঁরা। কর্মসূচিতে তিন শতাধিক এলাকাবাসী অংশ নেন।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, হাবিবুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আশা করা যায়, শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।

ট্যাগস
আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বব্যাপী যুদ্ধবন্ধের দাবিতে বরুড়া মানববন্ধন

SBN

SBN

শেরপুরে ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে যুবককে হত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবিত

আপডেট সময় ০৭:২৩:৩৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শেরপুর প্রতিনিধি

শেরপুরে চালকলের মাঠে ক্রিকেট ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে হাবিবুর রহমান তালুকদার ওরফে লেমনকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িত সকল আসামির গ্রেপ্তার ও ফাঁসির শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শেরপুর পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে এই মানববন্ধন করা হয়। নিহত হাবিবুর রহমান পৌরসভার দিঘারপাড় এলাকার ধান–চাল ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা তালুকদারের ছেলে।

বুধবার বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য নূরুল ইসলাম তালুকদার, নিহত হাবিবুর রহমানের বাবা গোলাম মোস্তফা তালুকদার, মা হাসনা বানু, বোন মিতালী বেগম, ফুফু (বাবার বোন) রাশিদা বেগম, প্রতিবেশী আব্দুল গনি, মো. শাহজাহান প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত শুক্রবার দিঘারপাড় এলাকায় হাবিবুরের বাবার মালিকানাধীন চালকলের মাঠে কয়েকজন তরুণ ক্রিকেট খেলতে যান। এ সময় হাবিবুর তাঁদের ক্রিকেট খেলতে নিষেধ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই তরুণেরা তাঁকে (হাবিবুর) ক্রিকেটের ব্যাট দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। শনিবার রাতে ঢাকার মহাখালী মেট্রোপলিটন মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাবিবুর রহমান মারা যান। এ ঘটনায় নিহত হাবিবুরের বাবা বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। কিন্তু এখনো কোন আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। এতে নিহতের পরিবারে ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। বক্তারা হাবিবুর রহমানকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল আসামিকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও আসামিদের দ্রুত বিচারসহ ফাঁসির দাবি জানান তাঁরা। কর্মসূচিতে তিন শতাধিক এলাকাবাসী অংশ নেন।

এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুবায়দুল আলম বলেন, হাবিবুর হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। আশা করা যায়, শিগগিরই তাঁদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে।